শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যাঙ্কের নীচের তলায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়তে দেখে আতঙ্কে গ্রাহকেরা দৌড়ে গিয়েছিলেন দরজার দিকে। কাউন্টার ছেড়ে কয়েকজন কর্মীও বেরিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু দোতলায় থাকা কর্মী ও কয়েকজন গ্রাহক ধোঁয়ায় ভরে যাওয়া সিঁড়ি ভেঙে আর নীচে নামতে পারেননি। বাঁচার জন্য তাঁদের কেউ কেউ ছাদে উঠে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরে দমকলের কর্মীরা মই নিয়ে এসে তাঁদের ছাদ থেকে নামিয়ে আনেন। জানলার বন্ধ কাচ ভেঙে তাঁরা ব্যাঙ্কের ভিতরে জমে থাকা ছোঁয়া বের করার ব্যবস্থা করেন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরুলিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রের ব্যাঙ্কটিতে আগুন আয়ত্তে আনা যায়। |
ব্যাঙ্কের শাখা-প্রবন্ধক মিহিরকুমার সাহা বলেন, “দুপুরে আমি বাইরে ছিলাম। আমার অফিসের ভিতরে কোনও ভাবে আগুন লেগে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার মাধ্যমে ধোঁয়া দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কিছু কম্পিউটার-সহ আসবাবপত্র, গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গিয়েছে। তবে ‘ক্যাস সেকশন’ রক্ষা পেয়েছে।” জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজের পরিদর্শন করেন। পুরুলিয়া দমকল কেন্দ্রের ওসি দেবায়ন পোদ্দার বলেন, “শর্ট-সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে অনুমান। ফরেন্সিক পরীক্ষার পরে নিদিষ্ট ভাবে জানা যাবে।” দমকলকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্মী কার্তিক মুখোপাধ্যায়, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে গ্রাহক তারক পরামাণিকরা। কার্তিকবাবু বলেন, “দোতলা থেকে শুনতে পাই নীচে আগুন লেগেছে। সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে গিয়ে দেখি ধোঁয়া উঠে আসছে। পড়ে গিয়েছিলাম। উঠে কোনওরকমে ছাদে উঠে যাই। সেখানেই দমকলকর্মীরা মই এনে আমাকে উদ্ধার করেন।” |