কবিয়াল গুমানি দেওয়ান সম্বন্ধে অনেক কথা লেখা হলেও বাদ পড়ে গিয়েছে ছোটখাটো কিছু ঘটনা। যার উপরে শিল্পীর পরবর্তী জীবন গড়ে ওঠে। গীতা, উপনিষদ, রামায়ণ ও মহাভারতের মতো শাস্ত্র ও পুরান তাঁর ভীষণ ভাবে চর্চিত ছিল। কবিয়াল হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই সেটি জরুরি ছিল। ওই বিষয়ে তাঁর প্রথম গুরু ছিলেন এক মহিলা। গুমানির নিজের গ্রাম জঙ্গিপুর মহকুমার জিনদিঘির পাশের তাঁতিবিড়াল গ্রামের ওই মহিলা এলাকায় ‘দাস্যান’ নামে খ্যাত ছিলেন। আসল নাম ত্রিগুণ মোহিনী দাসী। ধর্মপ্রাণ মহিলার আরাধ্য দেবতা ছিলেন গৃহে প্রতিষ্ঠিত অষ্টধাতুর গোপাল। প্রতি দিন দুপুরে গ্রামের বয়স্ক সধবা ও বিধবারা গোপাল ঘরের সামনের বারান্দায় ধর্মালোচনায় যোগ দিতেন। দাস্যানের আলোচনায় উঠে আসত এক এক দিন এক একটি ধমর্গ্রন্থ। ওই আলোচনা চলত দুপুর গড়িয়ে রাত পর্যন্ত। সেখানে গুরু দাস্যানের এক পাশে মনোযোগী ছাত্র গুমানি দেওয়ান। গুরুর একটাই শর্ত ছিল, ধুতি পড়ে গলায় কাপড়ের খুঁট জড়িয়ে বসতে হবে। উনার ধুতি ও উত্তরীয় পরার শুরু বোধহয় এখান থেকেই। গুমানির প্রথম দিকের প্রতিপক্ষ ছিলেন তাঁতিবিড়াল গ্রামের অশ্বিনী কোটাল (মাল)। ওই সময় ইউনিয়ন বোর্ড়ের সভাপতি ছিলেন তাঁতিবিড়াল গ্রামের ফণীভূষণ দাস। তাঁর উদ্যোগে আমাদের তাঁতিবিড়াল গ্রামের বকুলতলায় অশ্বিনী কোটালের সঙ্গে গুমানির প্রথম কবিগানের আসর বসে। ঘটনাটি আমার জন্মের (আমার বয়স এখন ৭৮) আগে হলেও মা ও দাদাদের কাছ থেকে তা শুনেছি। কবিয়াল মেলা উপলক্ষে যে স্মরণিকা এ বার বের হয়েছে তাতে লেখা কবিয়ালের মেয়ে লতার বয়স ঠিক নয়। জিনদিঘি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লতা আমার থেকে নীচু ক্লাসে পড়ত। আমার জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৮ এপ্রিল। অথচ স্মরণিকায় লেখা হয়েছে লতার জন্ম ১৯৩২ সাল। আমার থেকে দু’বছরের বড় লেখা হয়েছে। লতা আসলে আমার থেকে অন্তত দু’বছরের ছোট।
কৃত্তিকারঞ্জন সিংহ, তাঁতিবিড়াল
|
ঐতিহাসিক কৃষ্ণনগর শহরে আর্বজনা তোলার সময় পরিবেশ দূষণ রোধের জন্য পুরসভা থেকে বিজ্ঞান সম্মত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু শহরের ডাস্টবিন গুলো যথাযথ রক্ষনাবেক্ষণ না করায় সেখানের আর্বজনা উপচে গিয়ে রাস্তা এসে পড়েছে। দূর্গন্ধও ছড়াচ্ছে। ব্যস্ততম এম এম ঘোষ স্ট্রিটের পাশের পেট্রোল পাম্প লাগোয়া ময়লা ফেলার জায়গা ও জজ কোর্টের গেট লাগোয়া ময়লা ফেলার জায়গার বেহাল দশা দেখলেই পরিবেশ কি রকম দূষিত হচ্ছে তা মালুম হবে। এ বিষয়ে পুরকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তন্ময় ঘোষ, কৃষ্ণনগর |