|
|
|
|
তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’, মার শ্রমিক নেতাকে, ব্যাহত কাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
পুর নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়ক দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়েছিল হলদিয়া। ভোটে দলের বিপর্যয়ের পরে ফের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। মার খেলেন বিধায়কের অনুগামী এক নেতা। কিছু ক্ষণের জন্য কাজ বন্ধ হয়ে গেল মিৎসুবিশি কারখানার প্যাকেজিং বিভাগে।
শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ ওই কারখানার কর্মী তথা তৃণমূল প্রভাবিত আইএনটিটিইউসি-র নেতা দিব্যেন্দু জানাকে বাস থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়। মাথায় ও হাতে চোট নিয়ে তিনি প্রথমে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দিব্যেন্দুবাবুর অভিযোগ, পুরভোটে তাঁর ভূমিকা দলের বিরুদ্ধে গিয়েছে অভিযোগ তুলে তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ মিলন মণ্ডলের গোষ্ঠীর লোকজন তাঁর উপরে হামলা চালিয়েছে। |
|
হলদিয়ায় জখম মিৎসুবিশি কর্মী দিব্যেন্দু জানা। |
নার্সিংহোমে শুয়ে দিব্যেন্দুবাবু বলেন, “মিলন মণ্ডলের নির্দেশেই মনোরঞ্জন জানা, শেখ সেলিম-সহ জনা তিরিশেক লোক আমাকে মারধর করে। বিধায়ক শিউলি সাহাকে আমি দিদির মতো শ্রদ্ধা করি। সেটাই আমার অপরাধ।” মনোরঞ্জন-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলাশাসক (হলদিয়া) সুমন হাওলাদারের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। তবে মিলনবাবুর দাবি, “এ রকম কিছু ঘটেছে বলে জানি না।” মনোরঞ্জনও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুরভোটের আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে ‘অধিকারীদের’ বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন বিধায়ক শিউলি সাহা। ফল প্রকাশের দিন শুভেন্দু অধিকারী আবার বলেন, “দলেরই বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে কথা বললে ভোটে তো তার প্রভাব পড়বেই!” এ দিনের ঘটনার পরে শিউলিদেবীর প্রতিক্রিয়া, “যাঁরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাঁরা প্রকৃত তৃণমূল নন।” এসডিপিও (হলদিয়া) অমিতাভ মাইতি বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
আদতে নন্দীগ্রামের বাসিন্দা দিব্যেন্দুবাবু মিৎসুবিশি কারখানার প্যাকেজিং বিভাগের অপারেটর। কারখানা গেটের সামনে তাঁর মার খাওয়ার খবর পেয়েই ওই বিভাগের ২০ জন কর্মী কাজ বন্ধ করেছিলেন। ঘণ্টা দুয়েক পরে, সকাল ৯টা নাগাদ কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের আশ্বাসে তাঁরা ফের কাজ শুরু করেন। তবে এর ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়নি বলে সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট নবেন্দু দাশগুপ্ত জানিয়েছেন।
|
|
|
|
|
|