পূর্ব কলকাতা
ঝুঁকির পারাপার
শিকেয় সচেতনতা
ড়ালপুল আছে। আছে ফুটব্রিজও। কিন্তু সচেতনতা নেই। তাই বিপদের ঝুঁকি নিয়ে বারাসতের ১২ নম্বর রেলগেটে অধিকাংশ মানুষই রেললাইন পেরিয়েই যাতায়াত করেন।
বারাসত স্টেশনে ১২ নম্বর রেলগেটে আগে লেভেল ক্রসিং ছিল। স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থায় রেলগেট খোলা, বন্ধ হত। অসংখ্য পথচারী, বাস, ট্যাক্সি যাতায়াত করত। রেলগেটের পূর্ব দিকে রয়েছে বারাসত পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড, হরিতলা বাজার, কে বি বসু রোড, কে এন সি রোড, চাঁপাডালি মোড়, বারাসত সরকারি কলেজ এবং থান। পশ্চিম দিকে রয়েছে বারাসত পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড, কলোনি মোড়। চাঁপাডালি মোড় ও কলোনি মোড়ের মধ্যে দৈনিক কয়েক হাজার পথচারী আর গাড়ি চলাচল করে। আগে এর জন্য ১২ নম্বর রেলগেটে পেরোতে হত।
২০০৭-এ কলোনি মোড় আর চাঁপাডালির মোড়ের মধ্যে ৮০০ মিটার দীর্ঘ উড়ালপুল চালু হয়। এর পরে লেভেল ক্রসিংটি তুলে দিয়ে রেল লোহার ব্যারিকেড লাগিয়ে দেয়। উড়ালপুল ছাড়াও পথচারীদের জন্য কয়েকশো মিটার দূরে স্টেশনের ফুটব্রিজও আছে। এর পরে গাড়ি চলাচল বন্ধ হলেও অধিকাংশ পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের অভ্যাস বদলায়নি। ব্যারিকেডের ফাঁক গলেই অনেকে যাতায়াত করছেন। চলন্ত ট্রেনের সামনে দিয়েও পারাপার চলে। এ দলে স্কুলপড়ুয়া, মহিলা, প্রবীণরাও রয়েছেন।
যাঁরা লাইন পেরিয়ে যাতায়াত করেন তাঁদের অভিযোগ, উড়ালপুল ব্যবহার করতে প্রায় ২ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়। ফুটব্রিজও অনেক দূরে। তাই লাইন পার করা ছাড়া উপায় নেই। যেমন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবীণ বাসিন্দা দেবীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উড়ালপুলের নীচে ও দু’পাশে অসংখ্য মানুষ বাস করেন। তাঁদের দেড় থেকে দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। অসুস্থ ও প্রবীণদের স্টেশনের ফুটব্রিজ চড়া কঠিন। তাই লাইন পার হয়ে লোকে যাতায়াত করেন। লেভেল ক্রসিং চালু করলেই সুবিধা হয়। এর জন্য রেল দফতর-সহ নানা জায়গায় লিখিত আবেদন করেছি।”
বারাসত পুরসভার পুরপ্রধান তৃণমূলের সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই রেলগেট দিয়ে বহু মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করেন। উৎসবের সময় আমরা মাইকে প্রচার চালাই। সব সময়ে প্রচার চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। রেল বিভাগের কাছে ওখানে একটি আন্ডারপাসের জন্য প্রস্তাব করেছি। আশা করি, এতে সমস্যার সমাধান হবে।” সচেতনতার অভাবের কথা কার্যত স্বীকার করে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামী বলেন, “আন্ডারপাসের কোনও প্রস্তাব এলে তার প্রযুক্তিগত দিক ও খরচের কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

ছবি: সুদীপ ঘোষ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.