এ বার হিজলি কলেজে ছাত্র সংঘর্ষ, জখম ৮ জন
র্তির ফর্ম তোলাকে কেন্দ্র করে এ বার খড়্গপুরের হিজলি কলেজে সংঘর্ষে জড়াল ছাত্র পরিষদ (সিপি) এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। দু’পক্ষের ৮ জন জখম হন। সিপি-র অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে ‘বহিরাগতদের’ এনে হামলা চালিয়েছে টিএমসিপি। অভিযোগ উড়িয়ে টিএমসিপির দাবি, ছাত্র পরিষদ কর্মীরাই কলেজ ক্যাম্পাসে অশান্তি তৈরি করে। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
সংগঠনের জখম কর্মীদের দেখতে শুক্রবার মেদিনীপুরে এসেছিলেন ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি রাহুল রায়। বৃহস্পতিবারই মেদিনীপুরের কমার্স কলেজে সিপি-টিএমসিপি সংঘর্ষে দু’পক্ষের ৯ জন জখম হন। অরূপ ধাড়া নামে এক ছাত্রের চোখে আঘাত লাগে। অরূপ ছাত্র পরিষদ কর্মী। তিনি এখন মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। রাহুল বলেন, “এসএফআইয়ের অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন কলেজে টিএমসিপির মূল নিশানায় এসে গিয়েছে ছাত্র পরিষদ। দলীয় কর্মী- সমর্থকদের উপর হামলা হচ্ছে। কলেজে কলেজে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করেছি। নির্দিষ্ট কিছু দাবি রেখেছি।”
কমার্স কলেজে ছাত্র পরিষদের ‘কালা দিবস’।
কমার্স কলেজের মতো খড়্গপুরের হিজলি কলেজের ছাত্র সংসদও ছাত্র পরিষদের দখলে। শুক্রবার দুপুরে এখানে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই শরিক দলের ছাত্র সংগঠন। দু’পক্ষের ৮ জন জখম হন। টিএমসিপির জেলা চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ গিরির অভিযোগ, “ছাত্র পরিষদ কর্মীরাই প্রথমে হামলা চালায়।” অভিযোগ অস্বীকার করেন ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুলের বক্তব্য, “বহিরাগতদের এনে ক্যাম্পাসে হামলা চালানো হয়েছে। টিএমসিপি হামলা চালিয়েছে।” এ দিন কমার্স কলেজে নতুন করে অশান্তি হয়নি। তবে বৃহষ্পতিবারের ঘটনার প্রতিবাদে ‘কালা দিবস’ পালন করে ছাত্র পরিষদ। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

বাড়ি ভাঙচুরে ধৃত তৃণমূলের চার
লোধা-শবরদের বাড়ি ভাঙচুরে জড়িত অভিযোগে ৪ তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি বেলদার। বেলদা থানার ওসি পলাশ মিত্র বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” গত রবিবার বেলদায় সভা ও মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা তথা নারায়ণগড়ের বিধায়ক সূর্যকান্ত মিশ্র। অভিযোগ, কর্মসূচি ভেস্তে দিতে বিভিন্ন গ্রামে ‘সন্ত্রাস’ চালায় তৃণমূল। মিছিল, সভার পরেও গ্রামে গ্রামে বাম কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গত কয়েক দিনে বেলদার হেমচন্দ্র ও সংলগ্ন এলাকায় ‘সন্ত্রাস’ চলে। বাড়ি ভাঙচুর হয়। অভিযোগ, তৃণমূলের একটি মিছিল থেকেই হামলা চালানো হয়। বিভিন্ন ঘটনায় থানায় অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। নিতাই দত্ত, শঙ্কর দাস, শিশির পাল-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রত্যেকের নামেই ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূলের নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি সূর্য অট্ট বলেন, “সিপিএম মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতেই পুলিশ দলীয় কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করেছে।” ব্লক সভাপতির দাবি, “পুলিশ এ ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করেছে।” পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.