জঞ্জালে মুখ ঢেকেছে ইসলামপুর শহর। বুঁজে গিয়েছে নিকাশি নালা। সামান্য বৃষ্টিতে নোংরা জলকাদায় ভাসছে রাস্তা। অভিযোগ উঠেছে, শহর জুড়ে দূষণ বেড়ে চললেও পুরকর্তাদের হেলদোল নেই। যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “প্রতিদিন সকালে শহর এলাকায় সাফাইয়ের কাজ চলছে। হাইড্রেনগুলিও পরিষ্কার করা হচ্ছে। শহরের নালার জল কোনও নদীতে ফেলার ব্যবস্থা করা গেলে কাজে অনেক সুবিধা হত। কিন্তু শহর পাশে নদী না থাকায় কিছু সমস্যা হচ্ছে।” কিন্তু পুরকর্তা যাই বলুন না-কেন শহরের কদর্য ছবি দেখে বাসিন্দাদের বিরক্তি বেড়ে চলেছে। তাঁদের অভিযোগ, সাফাইয়ের কাজ নিয়মিত না-হওয়ায় নিকাশি নালা বুঁজে রাস্তায় জল উপচে পড়ছে। ওই জল পার হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, অযথা বিতর্ক না বাড়িয়ে পুরসভা কেন জঞ্জাল মুক্ত শহর গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে না! পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের জঞ্জাল তুলে বাইরে ফেলার জন্য তিনটি ট্রাক রয়েছে। এ ছাড়াও ব্যবহার করা হয় ট্রলি ভ্যান। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশির ভাগ এলাকায় ওই ট্রাক ও ট্রলি পৌছয় না। বাড়িতে আবর্জনা জমা করে রাখার পরে তা রাস্তায় ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। কিন্তু দীর্ঘদিন রাস্তার পাশে পরে থাকার পরেও সেই আবর্জনা নেওয়ার জন্য সাফাই কর্মীদের দেখা মেলে না। স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সুদীপ্ত ভৌমিক বলেন, “রাস্তার পাশে দিনের পর দিন জঞ্জাল পড়ে থাকায় শহরে দূষণের সমস্যা বেড়েই চলেছে।” মনিকা সাহা ও শুভঙ্কর সিংহ নামে দুই বাসিন্দা জানান, পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। যে নিকাশি নালাগুলি রয়েছে সেগুলি আগাছায় ভরে গিয়েছে। ওই নালা দিয়ে জল বার হয় না। শুভঙ্করবাবু বলেন, “পুরসভা শুধু কর আদায় করে যাবে কিন্তু শহরকে দূষণমুক্ত রাখবে না এটা মেনে নেওয়া যায় না।” গত বছর বর্ষায় ইসলামপুর শহরের রামকৃষ্ণ পল্লি, পালপাড়া, মেলার মাঠ, পুরাতন পল্লি, দূর্গানগর, শান্তিনগর সহ শহরের বিভিন্ন এলাকা জলবন্দি হয়ে পড়ে। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না-থাকার কারণে ভোগান্তি চরমে ওঠে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা এবারও তাঁদের জলে ভাসতে হবে। যদিও পুরসভার কর্তারা জানান, এ বছর যেন শহর এলাকায় জল না-জমে সে জন্য ইতিমধ্যে সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে জঞ্জাল সাফাই অভিযান। প্রতিটি ওয়ার্ডে সাফাইয়ের কাজ যেন নিয়মিত হয় সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে। যদিও পুরকর্তাদের ওই বক্তব্যে বাসিন্দারা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। তাঁরা জানান, প্রত্যেকে চায় দূষণমুক্ত শহর। কিন্তু পুরসভা ঠিকঠাক কাজ শুরু না-করা পর্যন্ত কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না।
|
দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে অরণ্য সুরক্ষার জন্য ফরাসি উন্নয়ন নিগম (এএফডি)-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হল অসম। আজ বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেনের উপস্থিতিতে এএফডির ভারত বিষয়ক অধিকর্তা অঁদে ফ্লোগনি ও রাজ্যের বনসচিব সরস্বতী প্রসাদ একটি চুক্তি সই করেন। ফলে, পাঁচ বছরে অসম ৬০ মিলিয়ন ইউরো বা ৩৭২ কোটি টাকা পেতে চলেছে। বনমন্ত্রী জানান, বৃক্ষরোপণ, পরিকাঠামো উন্নয়ন, বন-সংলগ্ন গ্রামের উন্নতি ও বনরক্ষীদের দক্ষতা বৃদ্ধি-সহ নানা প্রকল্পে এই অর্থ খরচ করা হবে। ফরাসি প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের সঙ্গেও দেখা করেন। ২০০৮ সালে ফরাসি রাষ্ট্রপ্রধান নিকোলাস সারকোজির ভারত সফরের পরে ফরাসি উন্নয়ন নিগম ভারতে কাজ শুরু করে। পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষার উপরেই জোর দিচ্ছে তারা। |