এলাকা দখল করা নিয়েই দুবরাজপুর ও খয়রাশোলের তিন তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন বলে দাবি করলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার। শুক্রবার সিউড়িতে নিজের অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা। তাঁর দাবি, “মূলত এলাকা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে ওই তিন তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন। তাঁদের খুন করারয় ভাড়াটে খুনি লাগানো হয়। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এ দিন তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র।”
তাঁর দাবি, ধৃত শের খান ও হামিদ খান দুবরাজপুরে তৃণমূল নেতা গোলাম সাব্বির কাদেরি খুনের ঘটনায় জড়িত। শের খান ধানবাদের এক ভাড়াটে খুনি। সে গুলি চালিয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। তার কাছ থেকে পুলিশ দু’টি ৯ এমএম পিস্তল উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া অন্য দু’জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে, দু’টি রিভলভার, ওয়ান শর্টার পাইপগান, মাস্কেট-সহ ১২ রাউন্ড কার্তুজ। ওই খুনের ঘটনায় শেখ হাফিজুল নামে অপর এক অভিযুক্তের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।
২৮ মে গোলাম সাব্বির কাদেরি খুন হওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই খয়রাশোলে খুন হন অন্য দুই তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান ও সুখেন্দু সরকার। ওই খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ কাঁকরতলার বড়রাগ্রামের শেখ মনোজকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সুপারের দাবি, জেরায় তারা স্বীকার করেছে, ঘটনার দিন নিজেদের মধ্যে সমস্যা মেটাতে তৃণমূলের ওই নেতারা দুবরাজপুরের একটি হোটেলে আলোচনায় বসেন। কিন্তু আনিসুর রহমান গোষ্ঠী আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এসেছিলেন, বৈঠক সফল না হলে গোলাম সাব্বির কাদেরিকে খুন করা হবে।
বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় তিনি নির্দেশ দেন শের খান ও তার দলকে। মোটরবাইকে আনিসুর ও সুখেন্দ বেরিয়ে যাওয়ার পরেই শের খান গোলামকে খুন করে পালায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোলাম-গোষ্ঠীর আনিসুর ও সুখেন্দুকে বাড়ি ফেরার পথে খয়রাশোলে ঘিরে ধরে খুন করে। |