|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
হাঁসবাচ্চার বড় হওয়া |
বাড়িতে অনেকগুলো হাঁসবাচ্চা কেনা হয়েছিল। ওদের বয়স তখন মাত্র ছ’দিন। মা অনেক যত্ন করে কোলের কাছে নিয়ে বাচ্চাগুলোর ঠোঁট ফাঁক করে ড্রপারে করে দুধ, শশা থেঁতো, গুগলি থেঁতো, ছোট মাছ, আটা গোলা ইত্যাদি খাইয়ে বড় করেছে। বাচ্চাগুলো এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। সারা দিন মা কত কষ্ট করেছে ওদের জন্য। হাঁসগুলো জলে একদম নামতে চায় না। সব সময় বাড়ির সামনের জায়গাটায় কেঁচো ও নানা শষ্যদানা খেয়ে ঘোরাফেরা করে। মা যদি এক বার ‘আয় আয়’ বলে ডাকে, তবে ওরা সবাই একসঙ্গে প্যাঁক প্যাঁক করে ছুটে আসে। মা’র যদি কোনও দিন একটু দেরি হয় ওদের ডাকতে, তবে ওরা নিজেরাই প্যাঁক প্যাঁক করে ডেকে মাকে জানিয়ে দেয় আমরা এসে গিয়েছি। মা তখন ওদের খেতে দিয়ে ওদের ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। মা বাড়িতে না থাকলে ওরা কিন্তু বুঝতে পারে।
সন্দীপা সোম। সপ্তম শ্রেণি, গুড়াপ শীতলকুমার বালিকা বিদ্যালয়, হুগলি |
|
|
কাকের ছানা |
আমার পড়ার ঘরের জানলার পাশেই একটা বেল গাছ আছে। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে জানলা দিয়ে বাইরে তাকাই। এক দিন দেখি, দুটো কাক মুখে করে কাঠি, ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র তুলে ওই বেল গাছে বাসা বাঁধছে। তার পর দেখলাম, একটা কাক সব সময় ওই বাসায় বসে থাকে। তার কিছু দিন বাদে দেখলাম কতগুলি বাচ্চা হয়েছে। আর মা-কাক তাদের হাঁ-করা ঠোঁটের মধ্যে খাবার দিচ্ছে। আস্তে আস্তে ছানাগুলো বড় হল, কিন্তু বাবার কাছে শুনেছি কাকের বাসায় কোকিলের ছানা জন্মায়। কিন্তু কোকিলের ছানা তো দেখলাম না।
মহঃ রাসেল হায়দার। ষষ্ঠ শ্রেণি, শ্রীঅরবিন্দ ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন, সল্ট লেক |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|