এই রকম ফল ধরা আতা গাছ দেখা যেত উত্তরবঙ্গের বাড়িগুলোতে। |
ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে উত্তরের মেওয়া ফল। বাংলায় যাকে আমরা আতা বলে থাকি। উত্তরবঙ্গে এই আতা ফলের গাছ আজ আর চোখেই পড়ে না। অথচ এক সময় এই অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়ির সামনে একটি আতাগাছ থাকতো। বর্ষার শেষে এই গাছে ফুল ফুটত। তার মনকাড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়ত চার দিকে। বৈশাখের গরমে ফল পাকতে শুরু করতো। এখন উত্তরের গ্রামগুলোতে আতাফলের গাছ নেই বললেই চলে। যদিও দুই-এক জায়গায় এর অবস্থান টের পাওয়া যায়, তা-ও থাকে অনাদরে ঝোপের আড়ালে। এ রকম চলতে থাকলে এক দিন এমন সময় আসবে, যখন উত্তরবঙ্গের থেকে হারিয়ে যাবে আতা নামের ফলটি।
শুভাশিষ দাস। দিনহাটা, উত্তর দিনাজপুর
|
পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা বিগত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বন্যা ও নদীভাঙন বিপর্যয়ে আক্রান্ত। মালদহে বন্যা ও নদীভাঙন হয় মূলত গঙ্গা, মহানন্দা, ফুলহার, টাঙ্গন, কালিন্দী প্রভৃতি নদীতে অতিরিক্ত জলস্ফীতির কারণে। এর মধ্যে গঙ্গা নদী দ্বারা বন্যা ও নদীভাঙন সবচেয়ে বেশিমাত্রায় হতে দেখা যায়। আর এই সব প্রাকৃতিক বিপর্যয় ডেকে আনছে এইডসের মতো মারাত্মক অসুখ। জেলার ১৫টি থানার মধ্যে কালিয়াচক-১, কালিয়াচক-২, কালিয়াচক-৩, মানিকচক, রতুয়া,-১ এবং ইংরেজবাজার থানার কিছু অংশ বন্যা ও নদীভাঙন বিপর্যয়ে জর্জরিত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত। গঙ্গানদী ক্রমশই তার গতিপথ পরিবর্তন করে মালদহ জেলার মধ্যে প্রবেশ করছে এবং ক্রমাগত ভাঙন ঘটিয়ে চলছে। গঙ্গানদী দ্বারা মালদহে যে ভাবে ও যে হারে ভাঙন হচ্ছে, তা বহু চেষ্টা করেও ঠেকানো যায়নি। আর এই বন্যা ও নদীভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব মালদহ জেলার পরিবেশ, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, সামাজিক ব্যবস্থা ও সংস্কৃতির উপর প্রভাব ফেলছে। ক্রমাগত নদীভাঙনে জেলার মুখ্য কৃষিজমি, জনবসতি, আমবাগান সহ অর্থনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলি তলিয়ে যাচ্ছে। বহু সংখ্যক মানুষ ‘বাস্তুহারা বন্যাক্রান্ত উদ্বাস্তু’তে পরিণত হয়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এরা রুজি হারিয়েছে।জীবনধারণের জন্য কাজের সন্ধানে এই উদ্বাস্তুদের দেশের তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যেতে হচ্ছে। পরিবার থেকে দূরে গিয়ে এরা বেশির ভাগ অসুরক্ষিত যৌন আচরণে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ফলস্বরূপ পরবর্তীতে এইডস-এ আক্রান্ত হয়ে যায়। এই সব মানুষ যখন পুনরায় নিজেদের ঘরে ফিরে আসে, তখন তারা তাদের স্ত্রীদের এইচআইভি দ্বারা সংক্রামিত করে। এদের সন্তান জন্মালে তারাও এইচআইভি দ্বারা সংক্রামিত হয় এবং সকলেই এক সময় এইডস আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এ ধরনের ঘটনা মালদহের বন্যা ও নদীভাঙন বিপর্যয় এলাকায় প্রতি বছর বেড়েই চলেছে। যত বেশি সংখ্যক বাস্তুহারা বন্যাক্রান্ত উদ্বাস্তু কাজের সন্ধানে গিয়ে এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হচ্ছে, তত এইচআইভি/এইডস সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। মালদহে বন্যা ও ভাঙন বিপর্যয় এলাকার এইচআইভি/এইডস সংক্রামিত মানুষদের নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত এলাকায় এইচআইভি/এইডস সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। প্রশাসন এই বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে না ভাবলে এ ভাবেই এইডস মহামারি আকার নেবে।
অরুণায়ন শর্মা। নেতাজি সুভাষ রোড, মালদহ
|
আমরা ভোকেশনাল ট্রেনিং বা বৃত্তিমূলক শিক্ষার শিক্ষক। বেশ কয়েক বছর ধরে বলতে গেলে আগাছার মতো বেঁচে আছি। ভেবেছিলাম শিক্ষাদানের মাধ্যমে অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মতো নিজেদের কাজের যোগ্য সাম্মানিক পাবো, মাথা উঁচু করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবো।
নতুন সরকার আসার পর কিছু আশার সঞ্চার হয়েছিল। হয়তো আমরা শিক্ষাজগতের মূল স্রোতে ঢুকতে পারবো। কিন্তু ‘লাল’ বা ‘সবুজ’ যে সরকারই আসুক না কেন, আমাদের কথা মনে রাখে না কেউ। নানা নিয়মের বেড়াজালে আমাদের প্রাপ্য রুজিটুকু থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। কী ভাবে যে সংসার চলছে, তা আমরাই জানি। আমাদের ভবিষ্যৎ কী, জানি না।
রবীন্দ্রনাথ বর্মন। শিলিগুড়ি
|
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
উত্তরের চিঠি,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
১৩৬/৮৯ চার্চ রোড
শিলিগুড়ি- ৭৩৪৪০১ |
|