আমাদের চিঠি

প্রাণের ঝুঁকি এড়াতে উদ্যোগ
দীর্ঘ কয়েক যুগের আঁধার ঘুচে গেল। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আর নদী পার হতে হবে না অসহায় গ্রামবাসীদের। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ক্যানিং মহকুমার বধুকুলা গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দাপুটে নদী পিয়ালি। এর ওপর দিয়ে গোপালপুর ফেরিগঞ্জ থেকে বধুকুলা গ্রাম সহ অন্যান্য পঞ্চায়েত ও জয়নগর এলাকার বাসিন্দারা খেয়া পারাপার হতেন। হাতে টানা দড়ি বেয়ে নৌকো চলত।
পিয়ালি নদীতে এ ভাবেই টানা দড়ি বেয়ে খেয়া পারাপার করতে হত।
নৌকোয় উঠতে হত বাঁশের মাচা বেয়ে। যে কোনও মুহূর্তে পা পিছলে মাটিতে পড়ে গেলে মৃত্যু হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এই ভাবে খেয়া পারাপার হচ্ছে দীর্ঘ দিন। বিগত সরকারের আমলে কিছুই হয়নি। বর্তমান সরকারেরও নজরে আসেনি। গ্রামবাসীরা মিলিত ভাবে বহু চেষ্টা করলেও ফলাফল শূন্য। অবশেষে সকলে মিলে চাঁদা তুলে পিয়ালি নদীর ওপর কাঠের সেতু তৈরি করা শুরু করেন গত ফেব্রুয়ারিতে। এপ্রিলেই কাজ শেষ হয়। খরচ হয় প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। প্রশাসনের নির্ভরতা ছেড়ে এ ভাবেই নিজেদের সমস্যার সুরাহা করে দৃষ্টান্ত গড়লেন গ্রামবাসীরা।
অকেজো নলকূপ
বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার শ্রীগোপালপুরগ্রামের অধিবাসীদের প্রধান জীবিকা চাষবাস। সেচের জলের সমস্যা মেটাতে আঠারো বছর আগে গোপালপুর মৌজায় বসানো হয়েছিল একটি সরকারি গভীর নলকূপ। নলকূপটি জন্মলগ্ন থেকেই অকেজো। তা থেকে কোনও দিনই জল পাওয়া যায় না। উল্টে সুইচবোর্ড থেকে শুরু করে ইলেকট্রিকের তার, ট্রান্সফর্মার, দরজা-জানলা সবই চুরি হয়ে গিয়েছে। মাঝে মাঝে শোনা যায়, এ বার নলকূপটি চালু হবে। কিন্তু কিছুই হয় না। চাষিভাইরা বার বার অভিযোগ জানালেও কিছু হয়নি। এটি চালু হলে চাষিদের সত্যিই উপকার হয়।
ক্রেতা সুরক্ষা
দূরদর্শন ও দৈনিক সংবাদপত্রের মাধ্যমে ক্রেতা বা উপভোক্তাদের সচেতন করার জন্য ‘জাগো গ্রাহক জাগো’ বিজ্ঞাপনটি হামেশাই দেখতে পাই। আমি বহরমপুর নিবাসী। সম্প্রতি এখানকার বিভিন্ন দোকানে ঠাণ্ডা পানীয় কিনতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে মুদ্রিত মূল্যের থেকে এক টাকা অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে। দোকানিরা কারণ হিসেবে জানাচ্ছেন, এটি ঠাণ্ডা করার চার্জ (ঠাণ্ডা পানীয় তো ঠাণ্ডা হিসেবেই কেনে, এর পর গরম চায়ের জন্য হয়ত অতিরিক্ত মূল্য ধার্য করা হবে)। এই নিয়ে প্রশ্ন করলে বলা হয়, অন্য দোকান দেখুন। গ্রাহক হিসেবে আমরা জেগে থাকলেও বিক্রেতা বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে কে জাগাবে?
সাবওয়ে চাই
নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর সিটি জংশন একটি উল্লেখযোগ্য রেলস্টেশন। সম্প্রতি খেজুরতলা রিক্সা স্ট্যান্ডের নিকট একটি নতুন টিকিট কাউন্টার খোলা হয়েছে। সব সময় এই স্থানে ভিড় হওয়ার জন্য যাত্রী পারাপারে অসুবিধে হচ্ছে। তাই এই টিকিট কাউন্টার থেকে দুই ও তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছনোর জন্য ১নং লাইনের তলা দিয়ে একটা সাবওয়ে হলে খুব ভাল হয়। বেশির ভাগ সময় ১নং লাইনে মালবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য যাত্রীদের পারাপার হতে খুব সমস্যা হয়। অবিলম্বে এই স্থানে একটি সাবওয়ে করার জন্য রেল দফতরের নিকট অনুরোধ জানাই।
লাইব্রেরি চাই
আমি পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর এলাকার তালবাগিচা গ্রামের বাসিন্দা। এই এলাকায় কোনও লাইব্রেরি নেই। সাত মাইল দূরের খড়গপুর থেকে বই সংগ্রহ করতে হয়। এই অঞ্চলের অনেকেই পড়তে ভালবাসেন। এখানে একটি লাইব্রেরি তৈরি হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।
গাছ নিধন
বারো কামরার লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় প্ল্যাটফর্মের সম্প্রসারণ করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের প্রায় সব রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে নতুন করে যাত্রীছাউনি তৈরি করা হচ্ছে। এর জন্য প্রতিটি স্টেশনের কিছু গাছ কাটা হচ্ছে। আবার কোনও স্টেশনের গাছগুলির মাথা কেটে তার ওপরই ছাউনি তৈরি করে ফেলা হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, গাছ না কেটে কী ভাবে যাত্রী ছাউনি তৈরি করা সম্ভব, তা ভেবে দেখুন।
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি,
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.