ওয়েবসাইট, এসএমএস, ফোনেও ফল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এ বারেও ওয়েবসাইট, এসএমএস এবং টেলিফোনে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল জানানোর ব্যবস্থা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, ফল জানা যাবে এই সব ওয়েবসাইটে: http://wbchse.nic.in, http://wbresults.nic.in, http://results.banglarmukh.gov.in, www.calcuttatelephones.com, www.exametc.com, www.rediff.com/exams, Results.sify.com, http://www.indiaresults.com, http://www.examresults.net, Clickcollegestreet.com, www.educationgetway.co.in, www.manabadi.com। এসএমএসে ফল জানার জন্য WB12-এর পরে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে পাঠাতে হবে এই সব নম্বরে: ৫৭৩৩৩, ৫৪২৪২, ৫৪৬৪৬, ৫৬৯৬৯, ৫৫০৭৭ (এয়ারটেল), ৫৫৪৫৬ (আইডিয়া), ৫৬৫০৫ (বিএসএনএল), ৫৬৫০৬ (রিলায়্যান্স), ৫৬৭৩০ (ভোডাফোন), ৫১২৩৪ (টাটা জিএসএম), ৫৩৩৩৩০০ (টাটা ডোকোমো)। এ ছাড়া ৫৮৮৮৮, ৫৬৭৬৭৫০, ৫৬২৬৩ নম্বরেও এসএমএস করে ফল জানা যাবে বলে সংসদের তরফে জানানো হয়েছে।
যে-সব নম্বরে টেলিফোন করে পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন, সেগুলি হল: ৫৪৩২১২২২২ (এয়ারটেল), ৫৫৪৫৬৭৮ (আইডিয়া), ১২৫৫৫৬০ (বিএসএনএল), ৫৬৫৬৬ (রিলায়্যান্স), ৫৬৭৩১ (ভোডাফোন), ৫৪৩২১২৩৪ (টাটা জিএসএম), ১২৯৬৬০ (টাটা), ৫১২৩৪ (ইউনিনর) এবং ৫৮৮৮৮।
|
‘ভারতের যুবসমাজ ও বিবেকানন্দের প্রত্যাশা’ রচনা প্রতিযোগিতায় রাজ্যে প্রথম হয়েছে রাজগঞ্জের লক্ষ্মী রায়। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে লক্ষ্মীর ওই সাফল্যে খুশি বাসিন্দারা। রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র কলকাতায় তাকে ওই পুরস্কার হাতে তুলে দেন। সম্প্রতি কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন গোলপার্ক হলে ওই প্রতিযোগিতা হয়। রাজগঞ্জ আইসিডিএস প্রকল্প থেকে সেখানে লক্ষ্মীকে পাঠানো হয়েছিল। রাজগঞ্জ ব্লক আইসিডিএস আধিকারিক কণিকা সেনগুপ্ত জানান, রাজ্য নারী ও শিশুকল্যাণ দফতর, জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ‘সবলা’ প্রকল্পে ৬ জানুয়ারি ওই প্রতিযোগিতা হয়েছিল। জেলা পর্যায় থেকে নির্বাচিত রাজগঞ্জের লক্ষ্মী রায়-সহ ২৬ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়। কণিকা দেবী বলেন, “রাজ্য পর্যায়ে লক্ষ্মী সেরা হয়েছে। তার সাফল্যে আমরা সকলেই গর্বিত।” বতর্মানে লক্ষ্মী রাজগঞ্জ এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। লক্ষ্মীর বাবা নেই। বাড়ির অবস্থাও তেমন ভাল নয়। এক ভাই, এক বোন। রাজগঞ্জের সুভাষপল্লিতে বাড়ি। বাবা খোকা রায় বছর চারেক হল হদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মা প্রতিমা দেবী গৃহস্থালির কাজ করেন। মামা পরিমল রায়ের বাড়ি রাজগঞ্জের মান্নাপাড়ায়। লক্ষ্মীদের বাড়িতে থাকেন। রাজগঞ্জ বাজারে তার চাউমিন ও ঘুগনির দোকান রয়েছে। সেটা করেই দিদি প্রতিমা, ভাগ্নি লক্ষ্মী, ভাগ্নে আশিস রায়ের পড়ার খরচ-সহ সংসারও চালান। আশিস মামার দোকানে কাজ করে। এবার সে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছে। পরিমলবাবু বলেন, “জামাইবাবু মারা যাওয়ার পর সংসার ভেসে যেত। ওদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। তাই ভাগ্নির সাফল্যে আমরা খুশি। তবে জানি না, কত দিন এ ভাবে টানতে পারব। তাই কেউ যদি সাহায্য করতে এগিয়ে আসে খুব ভাল হয়। ছেলেমেয়েদের লক্ষ্যপূরণ হবে।” |