তিনটি দুর্ঘটনায় মৃত ৩, জখম ৫ |
তিনটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। শনিবার গভীর রাতে ফরাক্কার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি গাড়ির সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হন গাড়ির তিন যাত্রী। তাঁদের বহরমপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পথেই মারা যান রিপক সর্দার (২১) নামে এক যুবক। তাঁর বাড়ি ফরাক্কার শিবনগর গ্রামে। ওই দিন রাতেই দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে ফরাক্কার জিগরি মোড়ে। একটি লরির সঙ্গে পণ্যবাহী একটি ছোট লরির ধাক্কায় আহত হন ছোট লরির চালক ও খালাসি। তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ধুলিয়ানের তারাপুর কেন্দ্রীয় বিড়ি শ্রমিক ভর্তি করা হয়। হাসপাতালেই মারা যান চালক রহমত হালদার (৩২)। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার কুলপিতে। রবিবার দুপুরে আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উমরপুরের কাছে। লরির সঙ্গে গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হন রায়গঞ্জের বাসিন্দা মজিবুর রহমান সরকার, তাঁর স্ত্রী, শ্যালিকা ও ছেলে। চার জনকেই জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই মুজিবরের ছেলে রাসেল আহমেদ সরকারের (৭) মৃত্যু হয়।
|
দুর্ঘটনায় মৃত মহিলা, নালিশ |
মোটরবাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। নাম সংযুক্তা সাহা (৪৬)। রবিবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, কল্যাণীর বি ব্লকের ২ নম্বর বাজারের কাছে। রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতিতে আসা বাইকটি তাঁকে ধাক্কা মারে। সংযুক্তাদেবীকে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। কিন্তু সেখান থেকে তৎক্ষণাৎ কলকাতায় রেফার করে দেওয়া হয়। পথেই মারা যান তিনি। মৃতার পরিবারের তরফে অভিযোগ, কল্যাণীর হাসপাতালে গুরুত্ব দিয়ে তাঁকে দেখেনইনি চিকিৎসক। আগেই তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। হাসপাতাল সুপার নিরুপম বিশ্বাস বলেন, ‘‘অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখব।’’ নম্বরবিহীন বাইকটি-সহ চালককে আটক করেছে পুলিশ। মোটরবাইক চালকের কাছে গাড়ি চালানোর বৈধ কাগজও নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
রাস্তা জুড়ে এলোমেলো দাঁড়িয়ে আছে লছিমন আর ভ্যান। রয়েছে ট্রেকারও। আর এর মাঝ দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে নাজেহাল যাত্রীরা। বড়ঞার কুলি মোড়ে রোজকার ছবি এটাই। একদিকে সাঁইথিয়া-বহরমপুর রাজ্য সড়ক, অন্যদিকে হলদিয়া-ফরাক্কা বাদশাহি সড়ক। স্বভাবতই বহু মানুষ যাতায়াত করেন এখান দিয়ে। কিন্তু কোনও ট্রেকার স্ট্যান্ড বা লছিমন রাখার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় নিত্য দুর্ভোগ পোয়াতে হয় তাঁদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেননি তাঁরা। বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, “এলাকাটা সত্যিই ঘিঞ্জি। তবে জায়গার অভাবে গাড়ি রাখার স্ট্যান্ড করতে পারছি না আমরা।”
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে রহিমা বিবি (৩০) নামে এক মহিলার। তিনি বেলডাঙার মহ্যমপুরের বাসিন্দা। তাঁর বাপের বাড়ি ঝুনকার পশ্চিমপাড়ায়। শনিবার শ্বশুরবাড়ি থেকে রহিমার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতার বাবা মহাসিন শেখ রহিমার স্বামী এজাদ আলির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই রহিমার উপরে অত্যাচার করত এজাদ। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
|
ট্রাক্টর থেকে পড়ে চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিমুন্নি পাহারনি (২১) নামে এক মহিলার। তাঁর বাড়ি বাগডাবড়ায়। ফরাক্কার কলাইডাঙা গ্রামে রবিবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ট্রাক্টরটিকে আটক করেছে।
|
স্টেশনে মেলে না পানীয় জল। এমনই অভিযোগ কৃষ্ণনগরের নিত্যযাত্রীদের। স্টেশন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, “ট্যাঙ্ক ছোট। যাত্রীরা প্রচুর অপচয় করেন। সরবরাহ করেও জল মেলে না।” |