বেশ কয়েক দফা দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন ঠিকাকর্মীরা। কাজ বন্ধ রেখে এই কর্মসূচির ফলে হাসপাতালের পরিষেবাও ব্যাহত হয়। সমস্যায় পড়েন রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। পরে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করেন কর্মচারীরা। অধ্যক্ষ তাঁদের জানান, এ ক্ষেত্রে হাসপাতালের সরাসরি কিছু করার নেই। তবে, দাবি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে। শেষমেশ তাঁর পরামর্শেই অবস্থান-বিক্ষোভ স্থগিত রেখে কাজে যোগ দেন ঠিকাকর্মীরা। কর্মীদের এই কর্মসূচির ফলে যে পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে, তা স্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ শুদ্ধধন বটব্যালও। তবে তাঁর কথায়, “সকালের দিকে কিছু সমস্যা হয়েছিল। ওঁরা এক ঘণ্টা কাজ বন্ধ রেখেছিলেন বলে শুনেছি। আলোচনার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।” |
হাসপাতালের মতো জায়গায় কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করা যেতে পারে না-বলেও এ দিন ঠিকা-কর্মীদের জানান অধ্যক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, দাবি থাকতেই পারে। তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোও যেতে পারে। কিন্তু কাজ বন্ধ রাখা চলে না। এর ফলে জরুরি পরিষেবায় প্রভাব পড়ে।
আহত ব্যক্তির ড্রেসিং করা থেকে শুরু করে ওয়ার্ডে সময় মতো প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া--সবই করতে হয় তাঁদের। ঠিকাকর্মী নিয়োগের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর দরপত্র আহ্বান করেন। এখন চন্দন সেনগুপ্ত নামে এক ঠিকাদারের অধীনে ১৪০ জন কর্মচারী রয়েছেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ২৫ এপ্রিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নতুন দরপত্র আহ্বান করেন। পরে তা যদিও বাতিল করা হয়। নতুন করে ফের ২৫ মে দরপত্র আহ্বান করা হয়। টেন্ডার-প্রক্রিয়া চলছে। এই পরিস্থিতিতেই আন্দোলনে নামেন ঠিকাকর্মীরা। নতুন সরকারি আদেশ অনুযায়ী ন্যূনতম বেতন দিনে ২১৭ টাকা করা, সপ্তাহে এক দিন সবেতন ছুটি, মহিলা ঠিকাকর্মীদেরও মাতৃত্বকালীন সবেতন ছুটি, সকল কর্মীকে পোশাক ও পরিচয়পত্র দেওয়া-সহ বেশ কয়েকটি দাবিতেই এই আন্দোলন বলে জানান ঠিকাকর্মীরা। ‘স্ক্যাভেনজিং অ্যান্ড সিকিউরিটি এমপ্লয়িজ ফেডারেশনে’র মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ইউনিটের উদ্যোগেই এই কর্মসূচি। কমিটির সভাপতি রবিশঙ্কর পাণিগ্রাহী বলেন, “ন্যায্য কয়েকটি দাবিতেই আমাদের
এই আন্দোলন।” |
প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ শতাধিক
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন শতাধিক গ্রামবাসী। জ্বর, বমি, পেটে ব্যথা নিয়ে রেজিনগরের কামনগর পঞ্চায়েতের কাজিপাড়া-দাসপাড়ার ওই বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শক্তিপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হন। শুক্রবার সকালে তাঁদের অনেককেই ছেড়ে দেওয়া হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তবে এখনও ৩০ জন রোগী ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি বলে চিকিৎসক দেবাশিস সাহা জানান। দেবাশিসবাবু বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই শতাধিক গ্রামবাসী ভর্তি হন। ৩০ জন এখনও ভর্তি রয়েছেন। তিন জন শিশুর অবস্থা সঙ্কটজনক।” প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গাপুজোর প্রসাদ খেয়েছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা নিদয় দাস বলেন, “পুজোয় খিচুড়ি ও কাটা ফল খেয়েছিলেন সবাই। ওই রাতে কিছু না হলেও বৃহস্পতিবার বিকেলের পরে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়।” |