শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী সব স্কুলেরই অনুমোদন থাকা জরুরি। তাই অননুমোদিত সব স্কুলকে অনুমোদনের জন্য ৩০ জুনের মধ্যে রাজ্য স্কুল অনুমোদন কমিটির কাছে আবেদন করতে হবে বলে শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছেন স্কুলশিক্ষা সচিব বিক্রম সেন। তিনি জানান, রাজ্যে অনুমোদনহীন অনেক স্কুল রয়েছে। তার মধ্যে প্রাথমিক স্কুলই বেশি।
বিক্রমবাবু বলেন, “৩০ জুনের মধ্যে স্কুলগুলিকে অনুমোদন চেয়ে আবেদন জানাতেই হবে। নইলে আগামী শিক্ষাবর্ষের আগে সব স্কুলকে অনুমোদন দেওয়া যাবে না। তাতে শিক্ষার অধিকার আইনও লঙ্ঘিত হবে।” সচিব জানান, স্কুলের অনুমোদনের বিষয়টি দেখার জন্য স্কুলশিক্ষা অধিকর্তার নেতৃত্বে রাজ্য স্তরে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। স্কুলগুলি সেই কমিটির কাছেই আবেদন জানাবে। তার জন্য ফি-ও দিতে হবে। পরে জেলা পরিদর্শক ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত দল স্কুল পরিদর্শন করে তিন মাসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দেবে। শুনানির জন্য স্কুলের প্রতিনিধি এবং জেলা পরিদর্শককে ডাকবে কমিটি। সচিবের কথায়, “পরিদর্শকদলের রিপোর্ট দেখে এবং শুনানিতে সন্তুষ্ট হলে ওই কমিটিই স্কুলকে ছাড়পত্র দেবে এবং অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট বোর্ডের কাছে সুপারিশ করবে।”
শিক্ষার অধিকার আইন মেনে সব শিশু স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে কি না, স্কুলে শিশুদের শারীরিক নিগ্রহমূলক শাস্তি দেওয়া হচ্ছে কি না, প্রবেশিকা পরীক্ষা বা ক্যাপিটেশন ফি নিয়ে ছাত্র ভর্তি করা হচ্ছে কি না, তা দেখতে এবং প্রয়োজনে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তার সুপারিশ করতে একটি সংস্থা গড়েছে সরকার। ‘রাইট টু এডুকেশন প্রোটেকশন অথরিটি’ (রেপা) নামে ওই সংস্থার কাছে সরকারি ও বেসরকারি যে-কোনও স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “অন্যান্য বোর্ডের স্কুলে কোনও সমস্যা হলেও ওই সংস্থায় অভিযোগ জানানো যাবে। সেই স্কুলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা সুপারিশ করা হবে বোর্ডের কাছে।” |