টুকরো খবর
প্রতীকী অবরোধ
হামলার প্রতিবাদে বোলপুর থানায় বিক্ষোভ। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
কঙ্কালীতলার পথসভায় হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তুলল জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবারের হামলার প্রতিবাদে বোলপুরের বামফ্রন্ট নেতৃত্ব শুক্রবার সকালে বোলপুর চৌরাস্তায় ১৫ মিনিটের প্রতীকী পথ অবরোধ করে। পরে তাঁরা বোলপুর থানায় অবস্থান বিক্ষোভও দেখান। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সমীর ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “বামপন্থীদের উপর পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবারের হামলায় তৃণমূল আশ্রিত সমাজবিরোধীরাই জড়িত।” এ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আরএসপির প্রক্তন বিধায়ক তপন হোড়-সহ বামফ্রন্টের অন্যন্য শরিক দলের নেতৃত্বও যোগ দেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বোলপুরের কঙ্কালীতলায় বামপন্থীদের এক পথ সভায় আরএসপি জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন মণ্ডল, সিপিএমের বোলপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক উৎপল রুদ্র-সহ চারজনের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও বোলপুর শহর তৃণমূলের সভপতি সুদীপ্ত ঘোষ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে বামপন্থীদের একাংশ সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় বাসিন্দারাই তা প্রতিহত করেন।” তৃণমূল নেতৃত্বও বোলপুর থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছে। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেষ মিনা বলেন, “তদন্ত শুরু হলেও কেউ ধরা পড়েনি।”

চায়ের দোকান সামলে সাফল্য
ভোরের আলো ফুটলেই ছেলেটাকে ছুটতে হত বাবার চায়ের দোকানে। সারা দিন দাদার সঙ্গে হাতে হাতে চলত চা বিক্রি। দিনভর হাড়ভাঙা খাটুনির পরে রাতে বাড়ি ফিরে খুলত বই-খাতা। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে এক মাস এই রুটিনে থেকেই বড়জোড়ার মালিয়াড়া রাজনারায়ণ হাইস্কুলের অঙ্কিত তেওয়ারি ৫৬৯ নম্বর পেয়েছে। সেই সময় তার বাবা মিলন তেওয়ারি সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে পাঁজরে চোট পাওয়ায় এক মাস চায়ের দোকানে যেতে পারেননি। অঙ্কিতরা দুই ভাইয়ে তখন দোকান সামলেছে। টালির ছাউনির একটা মাত্র ঘর। ওর মা শুক্লা তেওয়ারি জানান, চাষের জমি নেই। চায়ের দোকানে বেচাকেনা করেই তাঁদের সংসার চলে। ছেলেবেলা থেকেই অঙ্কিতরা দুই ভাই বাবার সঙ্গে চা বিক্রি করছে। এ ভাবেই স্কুল গিয়ে, টিউশন ছাড়া পড়াশোনা করে অঙ্কিতের এই সাফল্য। তিনি বলেন, “পরীক্ষার আগে স্বামীর দুর্ঘটনা না ঘটলে ও হয়ত আরও ভাল ফল করত।’’ চায়ের কাপ-প্লেট ধোয়া মোছা করতে করতেই অঙ্কিতের মধ্যে ভাল ফল করার জেদটা বোধহয় তৈরি হয়েছিল। তাই সে দীপ্ত গলায় বলে, “আমি আরও পড়তে চাই। ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। বাড়ির লোকেদের একটু সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে রাখতে চাই।’’ ছেলের স্বপ্নের পাল্লা শুনে আক্ষেপ করেন তার মা শুক্লাদেবী। বলেন, “বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার খরচ তো কম নয়। কী ভাবে পড়াব ওকে?” মালিয়াড়া রাজনারায়ণ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তপন ওঝা বলেন, “অঙ্কিত যথেষ্ট মেধাবী। সেই সঙ্গে পরিশ্রমীও। স্কুলের শিক্ষকরা তাকে ভাল ফল করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। ওর সাফল্যে আমরা খুশি।”

বাস উল্টে মৃত্যু যুবকের
বিষ্ণুপুর হাসপাতালে আহতের ছবিটি তুলেছেন শুভ্র মিত্র।
বাস উল্টে মৃত্যু হল এক যাত্রীর। আহত আরও ৩৩ জন। শুক্রবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া-বরাবাজার রাস্তায় রঘুনাথপুর গ্রামের কাছে। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই বড়মুকরু গ্রামের অঙ্কুর মহাপাত্র (২২) নামে এক যুবক মারা যান। আহত ১০ জন পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে সিপিএমের মহিলা সমিতির এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে বড়মুকরু থেকে বাসটি বরাবাজারে আসছিল। বরাবাজারের বাসিন্দা, সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক মণীন্দ্র গোপ বলেন, “বরাবাজার থানা ও ব্লকে ডেপুটেশনে যোগ দিতে আসছিলেন মহিলা সমিতির সদস্যরা। ঠিক ভাবে নিয়ে যাওয়ার জন্য গ্রামের দু-একজন যুবক বাসে ছিলেন। রঘুনাথপুর গ্রামের কাছে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেচখালে পড়ে যায়।” এ দিন দুপুরে বিষ্ণুপুর বাইপাসে বাসের দরজা খুলে নীচে পড়ে গুরুতর জখম হলেন এক যাত্রী। তাঁকে প্রথমে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতাল ও পরে বাঁকুড়া মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাসটি জামালপুর থেকে বাঁকুড়া যাচ্ছিল। জখম ব্যক্তির নাম অজিত পুরকায়েত। ওই বাসেই থাকা তাঁর শ্যালক সুশান্ত ঝাড়িমুন্ডা বলেন, “বাসে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎই বাসের দরজা খুলে যায়।”

স্কুলের মুখ রেখেছে জয়
বাবা রিকশা নিয়ে বের হলে তবেই হাঁড়িতে ভাত চড়ে। এমন পরিবার থেকেই আদ্রার বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের জয় বাউড়ি মাধ্যমিকে ৬০৩ নম্বর পেয়েছে। টিউশন নেওয়া দূরের কথা, পাঠ্য বই কিনে দেওয়ার সামর্থ্য নেই জয়ের পরিবারের। আদ্রার রতনডি গ্রামের ইন্দিরা আবাসের বস্তির ছোট্ট একটি মাত্র ঘরে মা, বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে জয় থাকে। পরিবারের দুরাবস্থার কথা জেনে স্কুলের শিক্ষকরা তাকে স্কুলের ছাত্রাবাসে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন। সেখানেই স্কুলের শিক্ষকদের কাছে পড়া দেখিয়ে নিত জয়। তাই পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরে জয়ের গলায় শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা শোনা গিয়েছে। সে বলে, “স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্য না পেলে মাধ্যমিকে ভাল ফল করা সম্ভব হত না। তাই বড় হয়ে শিক্ষকতা করতে চাই। শিক্ষকরা আমাকে যেমন সাহায্য করেছেন, দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের তেমনই সাহায্য করতে চাই।” বিজ্ঞানের বিষয়গুলিতে গড়ে ৯২ শতাংশের কাছাকাছি নম্বর পাওয়া এই ছাত্রের মনে এখন আশঙ্কার মেঘ। উচ্চ শিক্ষার খরচের ভার সামলাবে কী করে-- এই প্রশ্ন তাকে ভাবাচ্ছে। তার বাবা হেমু বাউড়ি আদ্রা শহরে রিকশ চালান। তিনি বলেন, “এক দিন রিকশা চালানো বন্ধ রাখলেই সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়ে। তবে ছেলেটাকে পড়ানোর ইচ্ছা রয়েছে। কী ভাবে তা হবে জানি না।” জয়ের স্কুলের প্রধান শিক্ষক নীলোৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “জয়ের মধ্যে সম্ভবনা ছিল বলে ওকে ছাত্রাবাসে রেখে স্কুলের ‘লাইব্রেরি’ থেকে পড়ার বই দেওয়া হয়েছিল। স্কুলের মধ্যে সবোর্চ্চ নম্বর পেয়ে ও আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে।”

মারধরের অভিযোগ
পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে তাঁর অফিসেরই পঞ্চায়েত সচিবকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মানবাজার দুই ব্লকের বুড়িবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। সচিব তপন মুর্মুর অভিযোগ, “বুধবার আমি পঞ্চায়েত অফিসে বসে কাজ করছিলাম। দুপুরে প্রধান ধনঞ্জয় সিংহ ও পঞ্চায়েত সদস্য বলরাম সিংহ এসে ব্রজরাজপুর গ্রামের মহিলা সমিতির গুদামের সংস্কারের হিসাব দেখতে চান। পরের দিন হিসাব দেখাব জানালে আমাকে ওঁরা মাটিতে ফেলে পেটান। প্রাণনাশের হুমকিও দেন। আমি পালিয়ে বিডিও-কে সব জানাই।” বুধবারই বোরো থানার জামতাড়িয়া ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করেন তপনবাবু। সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান অবশ্য দাবি করেন, “ওই দিন সচিবের সঙ্গে হিসাব নিয়ে বচসা হয়েছিল। মারধরের কোনও ঘটনাই ঘটেনি।” পঞ্চায়েত সদস্যও অভিযোগ খারিজ করেছেন। বিডিও (মানবাজার ২) পার্থ কর্মকার বলেন, “একই অফিসে কাজ করতে গিয়ে একটু আধটু এমন হতে পারে। দু’পক্ষকে বসিয়ে মিটিয়ে দিয়েছি।”

অবসরের বয়স বৃদ্ধি উপাচার্যের
বিশ্বভারতীর উপাচার্যের অবসরের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৭০ বছর করা হল। বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অমৃত সেন জানিয়েছেন, বিশ্বভারতীর কর্মসমিতিতে বিষয়টি গৃহীত হয়েছিল। চলতি বছরের মার্চ মাসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই আবেদন জানান কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে। তাদের মাধ্যমে বিশ্বভারতীর পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের কাছে সেই আবেদন পৌঁছয়। রাষ্ট্রপতি সম্মতি দেন। বিশ্বভারতীর আইন সংশোধন করে উপাচার্যের অবসরের মেয়াদ বাড়ানো হয়। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, বর্তমান উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের অবসর নেওয়ার কথা ছিল এ বছর ডিসেম্বরে। আইন সংশোধনের ফলে তিনি পূর্ণ মেয়াদ উপাচার্য থাকবেন।

ইন্দাসে সংঘর্ষ
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে জখম হলেন ৮ জন। বৃহস্পতিবার ইন্দাসের নাড়রা গ্রামের এই ঘটনায় পুলিশ দু’পক্ষের ৬ জনকে গ্রেফতার করে। দু’জন জখমকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূলের ইন্দাস ব্লক সভাপতি তথা বিধায়ক গুরুপদ মেটের অভিযোগ, “তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত প্রাক্তন ব্লক সভাপতি রবিউল হোসেন ও তাঁর গোষ্ঠীর লোকেরা আমাদের কয়েকজনকে মারধর করেছে।” রবিউলের পাল্টা দাবি, “দলের পুরনো কর্মী-সমর্থকদের শায়েস্তা করার জন্য পরিকল্পনা করে নাড়রা গ্রামে হামলা করেছে বিধায়কের লোকেরাই।”

ছাত্রী নিখোঁজ
টিউশন পড়তে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি শ্রীমতি কিস্কু নামের এক স্কুলছাত্রী। মানবাজারের গোপালনগর আশুতোষ হাইস্কুলের সে দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার মামা, মানবাজার থানার গোপীনাথপুরের বাসিন্দা সুনীল মুর্মু বলেন, “সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ স্থানীয় সিন্দুরপুর গ্রামে টিউশন পড়তে যাওয়ার পর থেকে ওর কোনও খোঁজ নেই।” শুক্রবার মানবাজার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন সুনীলবাবু।

পুলিশের উদ্যোগ
ছবি: সুজিত মাহাতো
পুরুলিয়া জেলা জুড়ে চলা দাবদাহে পথচলতি লোকজন ও গাড়ির চালক-যাত্রীদের জল খাওয়াচ্ছে পুলিশ। রঘুনাথপুর মহকুমায় ওই জলসত্র শুরু করেছে পুলিশ। পথচারী এবং পণ্য ও যাত্রিবাহী গাড়িগুলির আরোহীদের জল খাওয়ানো হচ্ছে। শনিবার সাঁতুড়ি থানায় সূচনা হয়। বাকি ছ’টি থানাতেও তা চালু করে পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.