তৃণমূল নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে খুনে তৃণমূল নেতা শ্যামল ভট্টাচার্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল আলাদত। শ্যামল ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ট তপাই ঘোষ, মধুকুল মণ্ডল ও সঞ্জিত বিশ্বাসকেও এ দিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। শুক্রবার নদিয়ার তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অঞ্জলি সিংহ এই সাজা ঘোষণা করেন।
রায়ের পরে আদালত চত্বরে শ্যামল ভট্টাচার্য। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালের ২৬ জুলাই রাতে খুন হয় নাকাশিপাড়ার বহিরগাছির বাসিন্দা রূপা বিশ্বাস (১১)। পরের দিন সকালে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ মেলে পড়শি তৃণমূল নেতা শ্যামল ভট্টাচাযের বাগানে। পুলিশ জানায়, রূপার দু’চোখ খুঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। রূপার বাবা সুবোধ বিশ্বাস মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ জানান নাকাশিপাড়া থানায়। তদন্তে তৎকালীন তৃণমূলের ধর্মদা অঞ্চল সভাপতি শ্যামল ভট্টাচার্য-সহ তার ৫ ঘনিষ্ট ব্যক্তির নাম উঠে আসে বলে জানায় পুলিশ। তাদের মধ্যে দু’জন এখনও পলাতক। সরকারি আইনজীবী বিকাশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “শ্যামল ভট্টাচার্যের সঙ্গে রূপার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ার সম্পর্ক ছিল। রূপা তা জানতে পেরে গিয়েছিল বলেই ওই তৃণমূল নেতা তার দলবল নিয়ে খুন করে রূপাকে।” যদিও শ্যামল ভট্টাচার্যের ছেলে শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “রাজনৈতিক কারণে বাবাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।” স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, “শ্যামলবাবু চক্রান্তের শিকার।” রূপার বাবা সুবোধ বিশ্বাস বলেন, “ওরা খুব প্রভাবশালী লোক। দোষীরা সাজা পাওয়ায় আমরা খুশি।” তৎকালীন নদিয়ার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “মেয়েটিকে নৃসংশ ভাবে খুন করা হয়। দোষীরা শাস্তি পাওয়ায় আমি খুব খুশি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.