সমুদ্রপথে নিঃশ্বাস ফেলছে ড্রাগন! ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির সংলগ্ন বন্দরে, ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ চিন সাগরে নৌ-আধিপত্য এবং কৌশলগত ঘাঁটি বাড়িয়ে চলেছে চিন।
বেশ কিছু দিন ধরেই এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল দিল্লির। চেষ্টা চলছিল চিনের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলার। অবশেষে এই প্রথম দু’দেশের নৌ কার্যকলাপ সংক্রান্ত আলোচনা (মেরিটাইম ডায়লগ) হতে চলেছে। ১১ জুন দিল্লিতে ওই বৈঠকে থাকবেন বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা। সূত্রের দাবি, বেজিং ভবিষ্যতে কী ভাবে নৌ-ঘাঁটি বাড়াতে চায়, বৈঠকে তার একটা আন্দাজ মিলবে। পাশাপাশি, কূটনৈতিক মেকানিজম তৈরি হলে ভবিষ্যতে চিনের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে তৎক্ষণাৎ তা তুলে ধরা যাবে। বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে থাকবে দু’দেশের নৌ-সেনার সমন্বয়বৃদ্ধি, সমুদ্র গবেষণায় সহযোগিতা, জলদস্যু সমস্যার মতো বিষয়। কিন্তু দিল্লির ‘আসল’ লক্ষ্য হবে চিনের কৌশলগত পদক্ষেপ বোঝা।
বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার বক্তব্য, “চিনের বিশাল সামরিক বাজেট এবং শক্তি ও প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে ক্রমবর্ধমান সক্রিয়তার ফলে সে দেশে এক বিরাট নৌ-পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান-সহ ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় একাধিপত্য তৈরিই তাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য।”
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চিন সাগরে একটি ভারতীয় সংস্থার তেল উত্তোলনের ব্যাপারে সম্প্রতি তীব্র আপত্তি করে বেজিং। পিছিয়ে আসতে হয় সংস্থাটিকে। ভারতকে চার দিক থেকে ঘিরে চিনের কৌশলগত চাপ বাড়ানোর নীতিও (‘স্ট্রিং অব পার্লস’) কেন্দ্রকে চিন্তায় রেখেছে। পাকিস্তানের গদর বন্দরের উন্নয়ন সংক্রান্ত চুক্তি, বঙ্গোপসাগরের দ্বীপে গোয়েন্দা-ঘাঁটি গড়া, তাইল্যান্ডে ক্যানাল তৈরি, কম্বোডিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তি চিনের প্রতিটি পদক্ষেপ ভারতকে ভাবাচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, মায়ানমারের কোকো দ্বীপে নৌ-ঘাঁটি গড়তে চাইছে বেজিং। চট্টগ্রামে বন্দর গড়া হচ্ছে চিনা সাহায্যে, শ্রীলঙ্কার হাম্বানতোতায় চিনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বন্দর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি বলেন, “চিন তার সামরিক পরিকাঠামো এবং দক্ষতা দেশের বাইরেও দ্রুত ছড়িয়ে দিচ্ছে। ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে তাদের সক্রিয়তা যে বেশি, সে ব্যাপারে আমরা অবহিত।” বৈঠকে এই সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখতে চায় দিল্লি। |
অস্ট্রেলিয়ায় মৃত্যু তিন ভারতীয়ের
সংবাদসংস্থা • মেলবোর্ন |
বাড়িতে আগুন লেগে অস্ট্রেলিয়ায় এক ভারতীয় পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। কোনও কারণে বাড়িতে আগুন লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, নাকি কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আবার আত্মহত্যার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িটিতে দুই ছেলেকে নিয়ে এক মহিলা থাকতেন। ছেলেগুলির বয়স পাঁচ ও দশ বছর। মহিলার স্বামী তাঁর অসুস্থ মাকে দেখতে ভারতে গিয়েছেন। সেই সময়েই এই কাণ্ড ঘটেছে। |