কোথাও সফল অবরোধ, কোথাও তুললেন যাত্রীরা
পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা বনধে মিশ্র ছবি দেখা গেল বিভিন্ন এলাকায়। কোথাও জনজীবন ছিল পুরোপুরি স্বাভাবিক। কোথাও আবার বনধ সমর্থকদের বিক্ষোভে থেমে গেল বাস-ট্রেন চলাচল।
উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সীমান্ত-বাণিজ্য পুরোদমে চললেও বনগাঁয় বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে, বাজারগুলি খোলা ছিল। বেসরকারি বাস সে ভাবে চলেনি। সরকারি অফিস খোলা ছিল। মহকুমাশাসকরে দফতরে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। সকালে গুমা, অশোকনগর, মছলন্দপুর স্টেশনে কিছু ক্ষণের জন্য রেল অবরোধ করে বনধ সমর্থকেরা। পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দিন পরীক্ষা চিল। কিন্তু যানবাহন কম থাকায় পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে সমস্যায় পড়েন ছাত্রছাত্রীরা। বনগাঁর পাইকপাড়া এবং নহাটাতে কিছু ক্ষণের জন্য সড়ক অবরোধ করা হয়। হাবরা শহরে দোকানপাট বন্ধ ছিল। একই চিত্র অশোকনগরেও।
অটোর চাকার হাওয়া খুলে ‘দাদাগিরি’। বেড়াচাঁপায় বৃহস্পতিবারের নিজস্ব চিত্র।
অবরোধ করেও যাত্রীদের প্রতিবাদে শ্যামনগর বা আগরপাড়া স্টেশনে পিছু হটেন বনধ সমর্থকেরা। কিন্তু অন্য কয়েকটি স্টেশনে দফায় দফায় একাধিক জায়গায় অবরোধ হয়েছে। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তাও অবরোধ করা হয়। তবে, কোথাও বড় আকারের কোনও গণ্ডগোল হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, অবরোধ করা ও আইন ভাঙার অভিযোগে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল থেকে মোট ৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়। বেলঘরিয়া, টিটাগড় ও ব্যারাকপুর ডিপো থেকে দূরপাল্লার সরকারি বাস এ দিন সকালে খুব একটা বেরোয়নি। বেসরকারি বাসও সে ভাবে চোখে পড়েনি।

শ্যামনগরে ধৃত বনধ সমর্থক।

ব্যারাকপুরে সুনসান পথঘাট।
বসিরহাট শহরেও রাস্তায় যানবাহন কম ছিল। সকালে হাসনাবাদ স্টেশনে বনধ সমর্থকেরা আধ ঘণ্টা ট্রেন অবরোধ করেন। পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। বসিরহাট শহরে বন্ধের প্রভাবে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বাদুড়িয়া, মিনাখাঁ, স্বরূপনগর, হাসনাবাদ-সহ মহকুমার অন্যত্র বন্ধের তেমন প্রভাব পড়েনি। দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় দোকান-বাজার বন্ধ রাখা হয়েছিল। সেখানে পথচারী এবং অটো-রিকশা চালকদের বাধা দেওয়া হয়। বনধ সমর্থকেরা অটোরিকশা-সহ অন্যান্য গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেন বলে অভিযোগ। বিজেপি-র উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস মিত্রের অবশ্য দাবি, “গোটা জেলায় বনধে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সাড়া দিয়েছেন।”
জনশূন্য ক্যানিং।
কল্যাণী শিল্পাঞ্চলে বনধে তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি বলেই দাবি করেছেন কল্যাণীর মহকুমাশাসক শৈবাল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘বনধে মদনপুরে ট্রেন অবরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মিনিট পরেই তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাস, অটো সব চলেছে। অফিস-কাছারিতে হাজিরার সংখ্যাও স্বাভাবিক ছিল।’’
বন্ধের মিশ্র প্রভাব ছিল ডায়মন্ড হারবার এবং কাকদ্বীপ দুই মহকুমা এলাকায়। সকাল থেকে কাকদ্বীপ-কলকাতাগামী সরকারি বাস চললেও বেসরকারি বাস চলেনি। ট্রেন চলেছে অনিয়মিত ভাবে। সকালের দিকে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বেলা গড়াতেই বেশ কিছু দোকান খোলে। নৌকা চলাচল ছিল অনিয়মিত। অফিস-কাছারিতে বনধের সে ভাবে প্রভাব পড়েনি। এ দিন সকালে ডায়মন্ড হারবারের কপাটহাট বাসমোড়ে কিছু ক্ষণ পথ অবরোধ করেন বিজেপি সমর্থকেরা। পুলিশ গিয়ে অবরোধ হটিয়ে দেয়। একই পরিস্থিতি ছিল ক্যানিং মহকুমারও।

বৃহস্পতিবার ছবিগুলি তুলেছেন বিতান ভট্টাচার্য ও সামসুল হুদা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.