কালনা, পূর্বস্থলীর কয়েকটি এলাকায় বিজেপি-র সমর্থন রয়েছে। কিন্তু তার বাইরেও বিস্তীর্ণ এলাকায় এক ‘কর্মনাশা’ দিন কাটল বৃহস্পতিবার। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, এ দিন অফিস-কাছারিতে উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। সরকারি বাসও চলেছে। যদিও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, সেই সব বাসে যাত্রীর দেখা বিশেষ মেলেনি। অফিসগুলিতেও সাধারণ মানুষজনের আনাগোনা ছিল কম। জেলার নানা এলাকা থেকে মোট ১৯৪ জন বনধ সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। তবে পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিজেপি-র ডাকা এ দিনের বন্ধে অবশ্য বিশেষ কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। |
জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, এ দিন বর্ধমানে ৩, মেমারিতে ৬, বুদবুদে ৪, কাটোয়ায় ৩, কালনায় ৫০ ও পূর্বস্থলীতে ১১৮ জন বনধ সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্ধমানে পুলিশের উপর হামলা ও কর্ড লাইনে বেলেরহাটে বনধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গুড়াপ ও জৌগ্রামের মধ্যে ট্রেন অবরোধ করার চেষ্টা হলে পুলিশ তা তুলে দেয় বলে জানান পুলিশ সুপার।
বর্ধমানের বিজয়তোরণ সংলগ্ন এলাকায় এ দিন বিজেপি সমর্থকেরা রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশ সেখান থেকে বিজেপি-র জেলা সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ নন্দী ও নবকুমার হাজরাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে দলের জেলা সভাপতি দেবীপ্রসাদ মল্লিক কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে থানা ঘেরাও করেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বচসা থেকে ধস্তাধ্বস্তি বেধে যায়। তাতে আহত হন কনস্টেবল মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পুলিশের উপর হামলা, থানায় চড়াও হওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |