|
|
|
|
ধৃত সিপিএম কর্মীদের জামিন নামঞ্জুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁকসা |
তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয়ে বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে কাঁকসা থানার ১১ মাইল এলাকা থেকে ধৃত ২০ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর হল। বৃহস্পতিবার তাঁদের দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের মধ্যে ১৫ জনকে জেল হাজত এবং বাকি ৫ জনকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
তৃণমূলের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুরে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের সভা থেকে ফিরে কাঁকসার এগারো মাইল এলাকার কয়েক জন সিপিএম কর্মী তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে গিয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। তৃণমূল কর্মীরা প্রতিবাদ করলে তাঁরা পালিয়ে যান। অভিযোগ, বুধবার সকালে ওই সিপিএম কর্মীরা ফের ওই এলাকায় গিয়ে স্থানীয় কিছু তৃণমূল সমর্থকের বাড়ির চাল ভেঙে দেন। তছনছ করা হয় আসবাবপত্র। ‘হামলা’য় জখম দুই তৃণমূল কর্মী বাবলু মণ্ডল ও পুলিন বিশ্বাসকে কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়।
হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিপিএমের পাল্টা দাবি, রাতে তাদের কর্মীরা সভা থেকে ফেরার সময়ে তৃণমূলের লোকেরাই আক্রমণ করেন। তাতে গোবিন্দ মণ্ডল নামে এক সিপিএম কর্মী জখম হন। তাঁকে দুর্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, প্রতিবাদে এ দিন সকালে তাঁরা এলাকায় মিছিল করেন। পুলিশ সুপারের কাছে তৃণমূলের ‘হামলা’র ব্যাপারে অভিযোগও করা হয়। পরে দলীয় কর্মীরা যখন একটি মাঠে বসেছিলেন, আচমকা পুলিশ তাঁদের ধরে। জেলা পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জা জানান, ধৃতদের কাছ থেকে একটি পাইপ গান, বেশ কিছু তীর-ধনুক, লাঠি উদ্ধার করা হয়। সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে চক্রান্ত করে পুলিশ ঘটনাটি সাজিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ধৃত সিপিএম নেতা-কর্মীদের আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে দেন। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার এক তৃণমূল কর্মীকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়ে যায়। সিপিএমের জোনাল সম্পাদক অলোক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে পুলিশ মামলা সাজিয়েছে। তাই তৃণমূল কর্মী জামিন পেয়ে গেলেও আমাদের কেউ জামিন পেল না।”
ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে। এর মধ্যে সাজানো কিছুই নেই।” |
|
|
|
|
|