সংবর্ধনার জেরে জেরবার কলকাতা |
কথায় আছে সব ভাল যার শেষ ভাল। কিন্তু শেষটা ভাল হল না মাত্র ১ দিনের পরিকল্পনায় বাস্তবায়িত করতে চাওয়া নাইটদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। হাজরা থেকে শুরু করে ইডেন, কোথাও শৃঙ্খলা দেখা গেল না একটি শৃঙ্খলিত দলকে দেখতে। দেখা গেল না পুলিশি তত্পরতাও। আসলে গতকাল পুলিশ কমিশনার ঘোষণা করার পর অনেকেই ভেবেছিলেন যে যথাযথ পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে শহর জুড়ে, কিন্তু চিত্রটা ছিল তার বিপরীত। প্রথমেই যদুবাবুর বাজারে সংবর্ধনা বাতিল করতে হয়েছিল বিশৃঙ্খলার কারণে। ভিড়ের চাপে ভেঙে পরে বেশ কিছু দোকান। তারপরেও সম্বিত ফেরেনি প্রশাসনের। অতিরিক্ত পুলিশের ব্যবস্থা না করেই চলতে থাকে শোভাযাত্রা। ইডেনে পৌঁছান পর্যন্ত বেশ কয়েকটি জায়গায় পদপিষ্ট হওয়ার মত পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। ইডেনের বেশ কয়েকটি ব্লকে অতিরিক্ত লোক থাকার কারণে পুলিশকে লাঠিও চালাতে হয়। এখানেই শেষ নয়, গ্যালারিতে প্রায় ভর্তি থাকলেও রাস্তায় অপেক্ষারত প্রায় ২৫-৩০ হাজার লোক ইডেনে ঢুকতে শুরু করে। পুলিশ তাদের আটকাতে গেলে বচসা বাধে। এরপর লাঠি উঁচিয়ে পুলিশ তাদের তাড়া করলে ছত্রভঙ্গ হয় জনতা। অনেকে আহত হন। ইডেনের সামনে অনেক ছবি দেখেছে শহর কলকাতা, কিন্তু এত চটি, ওড়না, জলের বোতল পড়ে থাকতে দেখেছে কিনা সন্দেহ রয়েছে।
|
আজ ইডেনে সংবর্ধনা নাইটদের |
আজ আইপিএল জয়ী নাইটদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে ইডেন গার্ডেন্সে। এই উপলক্ষে সকাল ১১টায় হাজরা মোড় থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। ফুল দিয়ে সাজানো একটি ট্রেলারের রয়েছে গোটা দল। দলের সঙ্গেই রয়েছেন দলের কর্তাব্যক্তিরা। যদুবাবুর বাজারে প্রথম সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সেখান থেকে গন্তব্য মহাকরণ। এখানে শাহরুখ খান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে আইপিএল ট্রফি তুলে দেবেন। তারপর গোটা দল যাবে ইডেন গার্ডেন্স। ইডেনে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে অনুষ্ঠান। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ইডেনে অবাধ প্রবেশ থাকবে। ফলে হাজার-হাজার মানুষ সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছেন ইডেনে। এই সংবর্ধনা দিচ্ছে রাজ্য সরকার, কলকাতা পৌরসভা এবং সিএবি।
|
শুরু থেকে শেষ |
সকাল ১০.৪৫ মিনিট
বাইপাসের ধারে এক পাঁচতারা হোটেল থেকে টিম বাসে করে রওনা হলেন নাইটরা। যাবেন হাজরায়।
সকাল ১১টা
ইডেনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
সকাল ১১টা ১০ মিনিট
টিমবাস পৌঁছল হাজরায়। রাস্তার দু’দিকে মানুষের ঢল। একটু পরে এখান থেকেই শুরু হবে শোভাযাত্রা।
সকাল ১১টা ১৫ মিনিট
গোটা নাইট দল
ট্রেলারে উঠে কলকাতাবেসীদের আইপিএল ট্রফি দেখালেন। শুরু হল শোভাযাত্রা।
সকাল ১১টা ৫০ মিনিট
শোভাযাত্রা যদুবাবুর বাজারের কাছে পৌঁছল। সংবর্ধনা দেওয়ার কথা থাকলেও জনতাকে শৃঙ্খলিত করা গেল না। ভিড়ের চাপে ভেঙে পড়ল বেশকিছু দোকান। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার কারণেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান না করেই এগিয়ে গেল শোভাযাত্রা।
দুপুর ১২টা ১০ মিনিট
এক্সাইডের মোড়ে পৌঁছল শোভাযাত্রা।
দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিট
মহাকরণে পৌঁছল নাইটদের শোভাযাত্রা। টিমবাস পৌঁছে গেছে আগেই। ট্রেলার তার পেছনে। মহাকরণের বাইরে বেরিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে রেলমন্ত্রী মুকুল রায়, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, চিত্র তারকা জিত্ এবং দেব। অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর আইপিএল ট্রফি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। অপরদিকে প্রত্যেক টিম সদস্যের হাতে পুষ্পস্তবক এবং উত্তরীয় তুলে দিলেন মমতা।
দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট
মহাকরণের সামনে এসে পৌঁছলেন শাহরুখ খান এবং জুহি চাওলা। তাঁদের পুষ্পস্তবক এবং উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। কিং খান আইপিএল ট্রফি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।
দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিট
মহাকরণ থেকে ইডেনের উদ্দেশে রওনা হল নাইট দল। শাহরুখ খান হুড খোলা জিপে যেতে চাইলেও নিরাপত্তার কারণে পুলিশের অনুমতি মেলেনি। ইডেনে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের অনেক মন্ত্রীরা উপস্থিত হয়েছেন। ইডেন প্রস্তুত নাইটদের বরণ করে নিতে।
দুপুর ১২টা ৫৪ মিনিট
টিম বাস এসে পৌঁছল ইডেনে। ট্রফি নিয়ে মাঠে ঢুকলেন নাইট বাহিনী।
দুপুর ১টা
মঞ্চে উঠে গানের তালে বাংলার চিত্র তারকাদের সঙ্গে পা মেলালেন কিং খান। তদারকি করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
দুপুর ১টা ৮ মিনিট
জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে গলা মেলালেন নাইট দল এবং গোটা ইডেন গার্ডেন্স। উপস্থিত ছিলেন মাননীয় রাজ্যপাল।
দুপুর ১টা ১৫ মিনিট
উত্তরীয় পরিয়ে নাইটদের সম্মান জানালেন রাজ্যপাল।
দুপুর ১টা ২৫ মিনিট
কর্তাব্যক্তি-সহ সমস্ত নাইটদের সোনার হার পরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুপুর ১টা ৩১ মিনিট
অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর, শাহরুখ খান এবং জুহি চাওলা এক সঙ্গে কেক কাটলেন।
দুপুর ১টা ৪১ মিনিট
শাহরুখ-সহ গোটা দলের ট্রফি নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ।
দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট
জাতীয় সংগীত দিয়ে শেষ হল নাইটদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
দুপুর ২টো
শাহরুখ-সহ নাইটরা বিদায় নিলেন ইডেন থেকে। |
|
আজ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হল। পাশের হার ৮১.০৬ শতাংশ। গতবারের তুলনায় পাশের হার এবার বেড়েছে। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১০ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৩৩ জন। পাশের হারে জেলার মধ্যে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর (৯১.৪২ শতাংশ), দ্বিতীয় কলকাতা (৮৭.০১ শতাংশ), তৃতীয় স্থানে উঃ ২৪ পরগনা (৮২ শতাংশ)। |
স্থান |
নাম |
স্কুল |
প্রাপ্ত নম্বর |
প্রথম |
সুহার্ত মল্লিক |
চন্দননগর শ্রী অরবিন্দ বিদ্যামন্দির |
৬৭৬ |
দ্বিতীয় |
সুপ্রভ ঘোষ
শৌর্য রায় |
জামালপুর হাইস্কুল
আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশন |
৬৭৫ |
তৃতীয় |
অর্পণ ঘোষ |
জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল |
৬৭৩ |
চতুর্থ |
প্রীতম সেন
সাত্যকি গিরি
সাহিন ইশা |
পুরুলিয়া জেলা স্কুল
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন
বেড়াচাঁপা দেউলিয়া উচ্চবিদ্যালয় |
৬৭২ |
পঞ্চম |
ময়ূখ মল্লিক
শৌভিক গোস্বামী
অর্কপ্রভ সাহা
অনন্যা মণ্ডল |
বেলদা গঙ্গাধর অ্যাকাডেমি
গড়গড়িয়া সুভাষ হাইস্কুল
জলপাইগুড়ি ফনীন্দ্রদীপ
বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাইস্কুল |
৬৭০ |
|