এলাকায় বেআইনি মদ বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত প্রধানকে গুলি করে খুনের চেষ্টা হয়েছে। বুধবার রাত আটটা নাগাদ বৈষ্ণবনগর থানার শবদলপুরে এই ঘটনাটি ঘটে। এলাকার বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান তারাপদ মণ্ডল রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলি তারাপদবাবুর ডান পায়ের উরুতে ঢুকে যায়। রাতে তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গুলি বার করতে না-পেরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ওই ব্যক্তিকে কলকাতায় রেফার করেন। বৃহস্পতিবারই পরিবারের লোকেরা তারাপদবাবুকে নিয়ে কলকাতায় রওনা হন। প্রধানের স্ত্রী শকুন্তলা দেবী হামলার ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেও নির্দিষ্ট কারও নাম উল্লেখ করেননি। জখম প্রধানও জানিয়েছেন, হামলার সময়ে এলাকা অন্ধকার থাকায় তিনি কাউকে চিনতে পারেননি। সম্প্রতি তারাপদবাবু এলাকায় বেআইনি মদ বিক্রির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই কারণেই হামলাকারীদের সঙ্গে বেআইনি মদ বিক্রির সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “জমি থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার ধারে লুকিয়ে থাকা দুষ্কৃতীরা প্রধানের উপর হামলা করে বলে জানা গিয়েছে। এলাকাটি অন্ধকার থাকায় প্রধান কাউকে চিনতে পারেননি বলে জানান। প্রধানের স্ত্রী শকুন্তলা দেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্ত করতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” দলের কর্মীর উপর গুলি চালিয়ে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “পুলিশি নিস্ক্রিয়তার সুযোগে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বেড়ে গিয়েছে। একের পর এক খুন, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এলাকায় বেআইনি মদের ঠেক বন্ধ করার জন্য আমাদের দলের প্রধান উদ্যোগী হয়েছিলেন। সেই কারণে প্রধানকে গুলি করে খুন করতে চেয়েছিল দুষ্কৃতীরা।” জখম কংগ্রেস প্রধানের স্ত্রী শকুন্তলা দেবী বলেন, “গ্রামে কয়েকজন দুষ্কৃতী একটি বেআইনি মদের ঠেক চালাচ্ছিল। সেই মদের ঠেক গিয়ে গ্রামের বহু যুবক সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছিল। গ্রামের বহু মানুষ প্রধানের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই বেআইনি মদের ঠেক বন্ধ করার জন্য আমার স্বামী উদ্যোগী হয়েছিলেন। আর সেই আক্রোশেই স্বামীকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা হয়। কপাল জোরে বেঁচেছেন।” |