আনন্দবাজার পত্রিকা

ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে: প্রত্যাশা প্রাপ্তি

পুরভোটে ধূপগুড়ি

ওয়ার্ড ১ (সিপিএম জয়ী ১৩১ ভোটে)
নিকাশি তৈরি হয়নি। অল্প বৃষ্টিতে জল জমে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সব জায়গাতে পাকা রাস্তা তৈরি হয়নি। ১০ বছর আগে পুরসভা ঘোষণা হলেও গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের মতো সুযোগ-সুবিধাও মিলছে না। কমলা নন্দী, বধূ	বহু দাবিদাওয়ার পরে পানীয় জলের জন্য নলকূপ পৌঁছেছে। বহু জায়গাতে জল সরবরাহ শুরু হয়নি। পাকা রাস্তার প্রয়োজন মেটেনি। নিকাশি নালার অভাব থাকায় বাসিন্দাদের নানা সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। বিশ্বনাথ রায়, ছাত্র
পাঁচ বছর আগে মাত্র ৩০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল। এখন ১০০ শতাংশ বিদ্যুদয়ন হয়েছে। ৯০ শতাংশ এলাকায় পানীয় জল পৌঁছনো গিয়েছে। রণজিৎ ভাওয়াল, কাউন্সিলর

ওয়ার্ড ২ (সিপিএম জয়ী ১৩৬ ভোটে)
তাপস সরকার, ছাত্র বামনি নদীর উপর একটি সেতু হয়েছে। তা সত্ত্বেও সহজ পথে হাসপাতাল যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয়। পাকা রাস্তা তেমন নেই। এলাকায় নিকাশি নালা তৈরি হয়নি। তাপস সরকার, ছাত্র	পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই রাস্তায়। কৃষি ভিত্তিক এই এলাকায় জমিতে জল সেচের ব্যবস্থা করেনি পুরসভা। বহু দরিদ্র এই ওয়ার্ডে বসবাস করলেও বিপিএল তালিকায় অধিকাংশের নাম নেই। আশালতা সরকার, বধূ
দুটি জায়গা বাদে সর্বত্র রাস্তা হয়েছে। একটি পাকা সেতু তৈরি হয়েছে। আর একটিসেতুর প্রয়োজন। তবে ৫ বছরে তা করা সম্ভব হয়নি। সর্বত্র পানীয় জল পৌঁছেছে। জয়ন্তী বর্মন, কাউন্সিলর

ওয়ার্ড ৩ (তৃণমূল জয়ী ১০৬ ভোটে)
বাড়িতে জঞ্জাল জমে থাকে। পুরসভা ময়লা নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেনি। ওয়ার্ডের কিছু জায়গায় শৌচালয় প্রয়োজন। নিকাশি নালার মুখ বন্ধ থাকে। তা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। শর্মিষ্ঠা দাস, ছাত্রী	ওয়ার্ডের বহু রাস্তাই এখনও কাঁচা রয়েছে। বর্ষায় জল কাদা পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। নিকাশি নালার অবস্থা ভাল নয়। শিশুদের খেলাধুলার জন্য মাঠ নেই। অরুণা বসাক, বধূ
সিপিএমের পুরবোর্ড হওয়ায় উন্নয়নমূলক কাজে তেমন সাহায্য মেলেনি। তাও ৯টি কাঁচা রাস্তা পাকা হয়েছে। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। কিছু জায়গা বাদে সর্বত্র পানীয় জল পৌঁছেছে। কৃষ্ণা রায়, কাউন্সিলর

ওয়ার্ড ৪ (সিপিএম জয়ী ৪০ ভোটে)
সর্বত্র পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়নি। একটি নলকূপের উপর ১৫টি পরিবার নির্ভরশীল। নিকাশি তৈরি হয়নি। অনেক জায়গাতে মশার উপদ্রব। নিয়মিত মশামারার ওষুধ স্প্রে হয় না। সবিতা রায়, বধূ	নিকাশি নালার সংস্কার হয় না। তাতে সামান্য বৃষ্টি হলেই নালা উপচে রাস্তায় জল চলে আসে। অন্য সমস্ত পুরসভার মত এখানে ঘরে ঘরে পানীয় জল সরবরাহ করার ব্যবস্থা হয়নি। পাপাই বসাক, ছাত্র
পাঁচ বছর আগে ওয়ার্ডে অর্ধেক বিদ্যুৎ ছিল। এখন সর্বত্র বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। ৭০০ মিটার পাকা নিকাশি নালা তৈরি হয়েছে। ওয়ার্ডের পাশে বয়ে চলা বামনি নদীর বাঁধ তৈরি হয়েছে। রত্না অধিকারী, কাউন্সিলর

বন্ধনীতে আগের ভোটের ফল
সূত্র: নিলয় দাস। ছবি: রাজকুমার মোদক

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.