|
|
|
|
চাই কাঁটায় কাঁটায় হাজিরা |
অফিসে-ডিপোয় নেতানেত্রীদের ছবি চলবে না, ফরমান মদনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পরিবহণের অফিস ও ডিপোগুলিকে তিনি রাজনীতির আখড়া করতে দেবেন না বলে ঘোষণা করেছেন পরিবহণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। পরিবহণের সঙ্গে সম্পর্কহীন রাজনৈতিক নেতা ও নেত্রীদের ছবি অফিস ও ডিপোগুলিতে টাঙানো নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন তিনি। শুধু পরিবহণ ডিপো ও অফিস নয়, এই নিয়ম মেনে চলতে হবে ক্রীড়া দফতরের অফিস আর স্টেডিয়ামেও। দেওয়ালের যত্রতত্র পোস্টার সাঁটাও বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সেই সঙ্গে মদনবাবু জোর দিচ্ছেন কর্মসংস্কৃতির উপরে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, হাজিরা আর অফিস ছাড়ার সময় কাঁটায় কাঁটায় মানতে হবে। এবং ডিপোয় সভা-সমাবেশ করতে হলে তা করতে হবে নিয়ম মেনেই।
ছবি টাঙানোর বিরুদ্ধে পরিবহণ তথা ক্রীড়ামন্ত্রী মদনবাবু হঠাৎ এমন খড়্গহস্ত হয়ে উঠলেন কেন?
পরিবহণমন্ত্রী বৃহস্পতিবার মহাকরণে বলেন, “অফিসগুলোয় গিয়ে দেখছি, এমন কিছু মানুষের ছবি টাঙানো রয়েছে, পরিবহণের সঙ্গে যাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। আগে দেখেছি, ঠাকুর-দেবতা ও মনীষীদের ছবি টাঙানো থাকত। কিন্তু এখন তো পরিবহণের অফিসে ঢুকলে বোঝাই যায় না, আলিমুদ্দিনে ঢুকেছি না অন্য কোথাও!” অর্থাৎ তাঁর তর্জনীটা অবশ্যই বাম জমানার দিকে।
একই সঙ্গে পরিবহণমন্ত্রী অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, অফিসে বা ডিপোয় মনীষী বা দেবতাদের ছবি লাগানোর উপরে কোনও বারণ থাকছে না। তার সঙ্গে টাঙানো যেতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। কারণ, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে আসীন ব্যক্তিদের ছবি টাঙানোর ক্ষেত্রেও কোনও অসুবিধে নেই। ছবি টাঙানোর উপরে নিয়ন্ত্রণ বা বাছবিচারের এই ব্যবস্থার ইঙ্গিত বাম জমানার দিকে। তবে
সিপিএমের তরফে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সিপিএম সূত্রের খবর, পরিবহণমন্ত্রীর বক্তব্য বিস্তারিত ভাবে জানার পরেই তারা প্রতিক্রিয়া জানাবে।
রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের ছবি টাঙানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির সঙ্গে সঙ্গে ডিপোগুলি পরিচ্ছন্ন করে তোলার উপরেও জোর দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। তিনি বলেন, “পরিবহণের অফিস কোনও অবস্থাতেই নোংরা করা যাবে না। সভা-সমাবেশের পোস্টার লাগাতে হলে নোটিস বোর্ডে লাগান। দেওয়ালে লাগিয়ে অফিস নোংরা করবেন না।” অফিসগুলিকে সুন্দর করে সাজানো পরামর্শও দিয়েছেন মন্ত্রী।
আর কর্মসংস্কৃতি?
হাজিরার ব্যাপারে তিনি যে কঠোর হচ্ছেন, এ দিন তা-ও ঘোষণা করেছেন মদনবাবু। তিনি বলেন, “এ বার থেকে ১১টা বেজে যাওয়ার পরে অফিসে ঢুকলে অনুপস্থিত বলে চিহ্নিত করা হবে। পরিবহণের কর্মচারীদের অফিস ছাড়ার সময়টাও রেজিস্ট্রারে লিখতে হবে। এই নিয়ম সব ডিপো এবং স্টেডিয়ামের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।”
এ বার থেকে ডিপোগুলিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশও নিয়ম মেনে করার নির্দেশ দিয়েছেন মদনবাবু। তিনি বলেন, “ডিপোগুলিকে কখনওই রাজনীতির আখড়া করে তুলতে দেব না।” |
|
|
|
|
|