বাঁকুড়ার পারদ মাপল এখনও পর্যন্ত মরসুমের উষ্ণতম দিনের তাপমাত্রা। ৪৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরুলিয়া ছুঁল ৪৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পিচগলা রোদ্দুরে বৃহস্পতিবার দুই জেলার বাসিন্দারা সূর্যের তাপ চড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরমুখো হয়েছিলেন। আপেক্ষিক আদ্রতা নেমে যাওয়ায় দিনভর লু বয়েছে। ফলে নিতান্ত কাজের দায়ে বাড়ির বাইরে বের হওয়া মানুষজনের ভোগান্তি চরমে ওঠে। এ দিন পুরুলিয়ার কাশীপুরে শিকারিপাড়ায় শেখ আফজল (৪৬) নামে এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ হাট থেকে ফেরার পথে জয়পুরের জগন্নাথ সর্দার (৫৫) নামে এক সব্জি বিক্রেতার মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, অতিরিক্ত গরমেই তাঁর অসুস্থ হয়ে পড়ে মারা যান।
বাঁকুড়া জেলা আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই গ্রীষ্মে ৪৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস আগে ওঠেনি। তার উপর এ দিন আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ২২ শতাংশ। সকাল থেকেই তাই বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, খাতড়ার রাস্তা অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ ফাঁকা ছিল। অফিসগুলিতেও নানা কাজে আসা লোকজনের সংখ্যা বেশ কম দেখা যায়। পুরুলিয়ার জেলা কৃষি উপ অধিকর্তা অশ্বিনী কুণ্ডু বলেন, “বুধবারের তুলনায় এ দিন তাপমাত্রা ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এর কারণ গত পাঁচ দিন ধরে এক ফোঁটাও বৃষ্টি হয়নি। গরম বাতাস ঢুকে আদ্রতাও কমিয়ে দিয়েছে।” পুরুলিয়া বাস মালিক সমিতির সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক’দিন ধরে বাসে যাত্রী সংখ্যা কমে যাচ্ছে। দাবদাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জলকষ্ট। |