এক তরুণী ও বছর পাঁচেকের এক শিশুর দেহ মিলল সাগরদিঘির মহীপাল স্টেশন লাগোয়া এক কালভার্টের কাছে। মৃতদের পরিচয় জানা না গেলেও পুলিশের অনুমান, তারা মা ও ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে দেহ দু’টি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। লাইনের পাশে দেহ দু’টি পড়ে থাকতে দেখে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ অনুমান করে, ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে তাঁদের। তবে ময়না-তদন্তের পরে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনা নয়, তাদের দু’জনকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, দু’জনের গায়ে অজস্র ক্ষতচিহ্ন। মহিলার পরনে লাল শাড়ি। কোমরে একটি চাবির গোছাও পাওয়া গিয়েছে। ছেলেটির পরণে রয়েছে হলুদ জামা-প্যান্ট। হাতে লোহার বালা। পূর্বরেলের আজিমগঞ্জ-ফরাক্কা রেলপথের মাঝখানে মহিপাল স্টেশন। সেখান থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দূরে রেল লাইন থেকে ফুট বারো নিচে দেহ দু’টি পড়ে ছিল। এলাকাটি জনশূণ্য। মাইল খানেক দূরে খামাড্ডাপাড়া নামে একটি গ্রাম রয়েছে। এ দিন মাঠে যাওয়ার সময়ে ওই গ্রামের বাসিন্দারাই দেহ দু’টি দেখতে পান। জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর অবশ্য বলেন, “ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। দেহ দু’টি শনাক্ত করা হলেই তদন্তের সূত্র মিলবে।”
|
রেল পুলিশকে প্রতারণা করার অভিযোগে ধৃত মহিলা শেষ পর্যন্ত মুখ খুললেন পুলিশের কাছে। বৃহস্পতিবার পুলিশি জেরায় তিনি জানান, তাঁর নাম অঞ্জলি চট্টোপাধ্যায়। বাড়ি বর্ধমানের কাঁকসা। বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ব্রাঞ্চ কর্মাশিয়াল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। রেল পুলিশের রানাঘাটের এসডিপিও চন্দ্রকান্ত দাস মহাপাত্র বলেন, “এর আগে ওই মহিলা যে কটি পরিচয় দিয়েছেন তার সবকটিই ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়েছে। এবারও তাঁর দেওয়া নাম ঠিকানা খতিয়ে দেখছি তা সত্যি কিনা।” গত ১৮ মে ওই মহিলা কৃষ্ণনগর স্টেশনে রেল পুলিশের কাছে নিজেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক ডিআইজির স্ত্রী বলে পরিচয় দেন। তারপর সর্বস্ব চুরি হয়ে গিয়েছে বলে সাহায্যও চান। এভাবে বেলডাঙা ও কাটোয়া রেল পুলিশকেও প্রতারণা করেন। গ্রেফতারের পরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। বৃহস্পতিবার কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
|
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির তিন নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, নৃপেন চৌধুরী এবং শ্যামল চক্রবর্তীর আগামী মঙ্গলবারের দলীয় সভায় যোগ দিতে জিয়াগঞ্জে আসছেন। তাঁদের পথ ‘মসৃণ’ করতে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভয় সিটু কার্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। শহরের অন্যত্র রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ না নিলেও সিপিএমের দখলে থাকা পুর কর্তৃপক্ষ ওই রাস্তাটুকু কংক্রিটের ঢালাই করছেন বলে অভিযোগ তুলল জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ টাউন কংগ্রেস। এ ব্যাপারে শহরের দু জায়গায় বুধবার পথ অবরোধও করে তারা। পুর কাউন্সিলর কংগ্রেসের মনোজ সরকার বলেন, “জিয়াগঞ্জের চুড়িপট্টির রাস্তা, বাজারের মোড় থেকে স্টেশন ও আমাইপাড়া যাওয়ার রাস্তা, রবীন্দ্রনাথের মূর্তির পাদদেশ থেকে হাসপাতাল ও স্টেশন যাওয়ার রাস্তা যারপরনাই বেহাল। তবুও সেই সব রাস্তা মেরামত হয়নি। অথচ ২৬ মে জিয়াগঞ্জে সিটুর মুর্শিদাবাদ জেলা সম্মেলনে যোগ দিতে দলের তিন নেতা আসছেন বলে রাস্তা কংক্রিট ঢলাই করা হচ্ছে।” পুরপ্রধান তথা সিপিএমের স্থানীয় জোনাল কমিটির সদস্য শঙ্কর মণ্ডল অবশ্য জানান, সিটু অফিস নয়, পুরসভার নির্মীয়মাণ সুইমিং পুলে যাওয়ার রাস্তাটাই নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “সে কাজে প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরত হবে। শহরের অন্যান্য রাস্তা সারাই করতে খরচ হবে ৫৫-৬০ লক্ষ টাকা। অথচ কংগ্রেসের জোট সরকার গত এক বছরে পুরসভাকে প্রাপ্য টাকার সামান্যও দেয়নি। ফলে জরুরি প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও সব বেহাল রাস্তার হাল ফেরানো যায়নি।”
|
কংগ্রেসে যোগ দিলেন কালীগঞ্জের রামরাজাতলা-ঘোড়াইক্ষেত্র পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মঞ্জুরা বিবি। বুধবার তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বলেন, “দলে কোনও সম্মান মেলেনি। তাই কংগ্রেসে ফিরে এলাম।” কংগ্রেসের কালীগঞ্জ ব্লকের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত রায় বলেন, “শুধু মঞ্জুরা বিবিই নয়, ওঁর সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের প্রায় ২০০ কর্মী সমর্থক।” রামরাজাতলা-ঘোড়াইক্ষেত্র পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সুব্রত মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “উনি একাধিক বার দল ছেড়েছেন। ওঁর দলবদলে পঞ্চায়েতের কোনও সমস্যা হবে না।”
|
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের ছাদের চাঙড় ভেঙে এক জন আহত হন মঙ্গলবার। তার পর ব্যাঙ্কের ওই কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার কার্যালয়টি খুলেছে। ব্যাঙ্কের জিয়াগঞ্জ শাখার ম্যানেজার সুজিত বসু বলেন, “বুধবার পর্যন্ত কার্যালয়টি বন্ধ ছিল। টাকা তোলা ও জমা দেওয়া হচ্ছে।”
|
লজেন্স ভেবে কীটনাশক খেয়ে বুধবার মৃত্যু হয় বছর দেড়েকের এনজাবুল মল্লিকের। সাগরদিঘির হলদি গ্রামের বাড়িতে রাখা কীটনাশক লজেন্স ভেবে মুখে দিতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে এনজাবুল। দুপুরেই তাকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলে সেখানেই মারা যায় সে।
|
গরমে বহরমপুরের সব আদালতেই কর্মবিরতি বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিল স্থানীয় বার অ্যাসোসিয়েশন। একই কারণে গত সপ্তাহে বহরমপুরের সব আদালতে আইনজীবীরা কর্মবিরতি পালন করেন। বহরমপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুক্কর সিদ্দিকি বলেন, “সোম ও মঙ্গলবার আদালত চালু ছিল। গরমে ফের এ দিন থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” |