|
|
|
|
নন্দীগ্রাম কাণ্ড |
ক্যাম্প সরাতে নির্দেশ দেননি, জেরায় দাবি প্রাক্তন ডিজি-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও তমলুক |
তেখালি সেতুর কাছে পুলিশ ফাঁড়ি সরানোর নির্দেশ তিনি দেননি বলে দাবি করলেন রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি অনুপভূষণ ভোরা। বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে সিআইডি কর্তাদের প্রাক্তন ডিজি জানান, ওই ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়ার পর তিনি বিষয়টি জানতে পারেন।
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডের তদন্তের জন্য এ দিন ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয় প্রাক্তন ডিজিকে। সকাল সাড়ে ন’টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ডিজি (সিআইডি) ভি ভি থাম্বির ঘরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দা অফিসারেরা। সিআইডি-র এক কর্তা বলেন, “প্রাক্তন ডিজি ওই ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।” |
|
ভবানী ভবনে প্রাক্তন ডিজি অনুপ ভোরা। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।। |
এ দিনই পাঁশকুড়ায় পুরভোটের প্রচারে গিয়ে তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী এক ধাপ এগিয়ে দাবি করেন, “আজ অনুপভূষণ ভোরা সিআইডিকে বলেছেন, তিনি তেখালি ফাঁড়ি তুলতে চাননি। আগের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় তেখালি ফাঁড়ি তোলা হয়েছিল। নন্দীগ্রামের মানুষ অপেক্ষা করে আছেন, কবে বুদ্ধবাবুর জেল হবে। উনি নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত।” এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক কানু সাহু বলেন, “উনি তো যা মুখে আসে, তাই বলেন। আমরা বিষয়টি ভাল ভাবে না জেনে কোনও মন্তব্য করব না।”
সিআইডি-র কর্তারা জানান, ২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর সকালে তেখালি সেতুর কাছে ওই পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই ফাঁড়িতে ইএফআর জওয়ানেরাও ছিলেন। হামলায় এক জওয়ান গুলিবিদ্ধ হন। ৬ নভেম্বর সরিয়ে নেওয়া হয় ফাঁড়িটি। সিআইডি সূত্রের খবর, ওই ফাঁড়িটি প্রাক্তন ডিজির নির্দেশেই সরানো হয়েছিল, এই মর্মে
নন্দীগ্রাম থানার তৎকালীন ওসি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। এর পরে ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মিছিলে সিপিএমের ‘সশস্ত্র বাহিনী’ হামলা চালায় বলে অভিযোগ। নিখোঁজ হন কমিটির ছয় সদস্য। সিআইডি সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার সত্যশঙ্কর পাণ্ডা-সহ কয়েক জন পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ফাঁড়ি সরানোর নির্দেশের বিষয়টি জানা যায়। কী উদ্দেশ্যে ফাঁড়িটি সরানো হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। সিআইডি অফিসারেরা জানান, প্রয়োজনে নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের সময় ওই জেলায় কর্মরত পুলিশ অফিসারদের ফের জেরা করা হতে পারে। ফের ডাকা হতে পারে প্রাক্তন ডিজি-কে। |
|
|
|
|
|