চড়া গরমে নাকাল দুই জেলা
রমের মাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে এবং মালদহে। পানীয় জলের ওই সঙ্কট মোকাবিলায় নেমেছে বিএসএফ। বুধবার বালুরঘাটে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে বালুরঘাট শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আত্রেয়ী কলোনীতে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সুধীরচন্দ্র সরকার (৮২)। মৃতের ছেলে অক্ষয় সরকার জানান, সকাল থেকেই অসহ্য গরম পড়ে। দুপুরে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান। স্থানীয় আরএসপি-র ওয়ার্ড কাউন্সিলর তথা পুরসভার চেয়ারপার্সন সুচেতা বিশ্বাস বলেন, “গরমের কারণে ওই বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। দুঃস্থ পরিবারটিকে পুরসভার সহায়তা করা হবে।” আলিপুর আবহাওয়া দফতর উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানালেও দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টির কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গরমের তীব্রতায় শহর ও গ্রামাঞ্চল থেকে একাধিক বাসিন্দাদের অসুস্থ হওয়ার খবর মিলেছে। গত দুদিনে গরমে অসুস্থ হয়ে বালুরঘাটের রামপুর কিসমত, ডাঙা এবং তপন এলাকা থেকে ১৬ জন বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। খাঁপুর এলাকার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পেটের রোগে অসুস্থ হয়ে আমাদের এলাকার ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি।” অন্য দিকে, প্রচন্ড গরমে আজ, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুইদিন মালদহ আদালতে কর্মবিরতির ঘোষণা করেছে মালদহ বার অ্যসোসিয়েশন। বার অ্যসোসিয়েশনের সম্পাদক আমিনূল ইসলাম বলেন, “প্রচন্ড গরমে প্রবীণ আইনজীবিরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এদিন একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ওই বৈঠকে দুই দিনের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” আবহওয়া দফতর সূত্রের খবর, মালদহের তাপমাত্রা প্রায় ৪৫ ডিগ্রি হওয়ায় অসহ্য গরমে নাজেহাল হচ্ছেন বাসিন্দারা। হাসপাতাল সূত্রের খবর, মহিলা ও শিশুরাই ডায়েরিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। একটানা দাবদাহের জেরে জলস্তর হু হু করে নামতে থাকায় গঙ্গারামপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার নলকূপ থেকে জল উঠছে না। তীব্র জল সঙ্কটে তপনের মালঞ্চা অঞ্চলের পাহাড়পুর, সন্ধ্যাপুকুর, অর্জুনপুর, অভিরামপুর, হরিবংশীপুর এলাকাগুলিতে স্থানীয় ডাকুহারা বিএসএফ ফাঁড়ি থেকে ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। এলাকাগুলিতে জলস্তর ৮০ ফুট নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপ থেকে জল উঠছে না। বাসিন্দারা বাধ্য হচ্ছেন পুকুরের জল খেতে। ডাকুহারা ফাঁড়ির বিএসএফ কমান্ড্যান্ট মহাবীর সিংহ জানান, খুব ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গ্রামবাসীরা পুকুরের জল ব্যবহার করছেন। ক্যাম্পের জল বাসিন্দাদের মধ্যে সরবরাহ হচ্ছে। ফাঁড়ির বিএসএফ জওয়ানেরাও জল সঙ্কটে ভুগছেন। মালদহ সদর ক্যাম্প থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার গ্যালন পানীয় জল আনা হচ্ছে। প্রতিদিন দুপুর ১২টা নাগাদ জলের ট্যাঙ্কার পৌঁছাতেই জওয়ানেরা গ্রামগুলিতে ঘুরে বাসিন্দাদের মধ্যে জল সরবরাহ করেন। গ্রামবাসীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি গ্রামগুলিতে জল দেওয়া হবে। অর্জুনপুর, পাহাড়পুর গ্রামের বধূ তুলসী বর্মন, অনিমা বর্মন বলেন, “বিএসএফ এগিয়ে না এলে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হত।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.