ফের জটিল অস্ত্রোপচার পুরুলিয়ায় |
জটিল অস্ত্রোপচার করে এক বধূর বুক ও পেটের মধ্যে ঢুকে যাওয়া লোহার রডের তিন ইঞ্চি অংশ বের করলেন পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের তিন শল্যচিকিৎসক। সীমিত পরিকাঠামো নিয়ে সম্প্রতি এই হাসপাতালেই তিন শল্যচিকিৎসকের দল এক কিশোরের পেটে আমূল ঢুকে যাওয়া একটি কাটারি বের করেছিলেন জটিল অস্ত্রোপচার করে। হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁওতালডিহির ইছড় গ্রামের বাসিন্দা, সুখদা বাউরি নামে ওই গৃহবধূকে এ দিন বাড়ি থেকে লোহার রডবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠান গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল ওই বধূর স্বামী, বছর পঞ্চাশের উমাপদ বাউরিকে। তিনিও পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের মেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বছর বিয়াল্লিশের ওই বধূর পিঠে প্রায় আড়াই ফুট লম্বা লোহার রডের সাড়ে তিন ইঞ্চি অংশ ঢুকে গিয়েছিল। রডের ধারালো অংশটি ঢুকে ছিল বুক ও পেটের মাঝে ফুসফুসের নীচে প্লীহার কাছে। এ দিন সন্ধ্যায় জটিল ও ঝুঁকিবহুল অস্ত্রোপাচার করেন হাসপাতালের তিন শল্যচিকিৎসক নয়ন মুখোপাধ্যায়, আশিস কপাট ও পবন মণ্ডল। হাসপাতালের সুপার স্বপন সরকার বলেন, “ওই মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁর যা অবস্থা ছিল, তাতে অন্যত্র পাঠানো সম্ভব ছিল না। চিকিৎসকরা যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়ে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অস্ত্রপাচার করেছেন।” চিকিৎসক নয়নবাবুর কথায়, “অস্ত্রোপচারটি খুবই জটিল ছিস। ওই মহিলার প্লীহা, অন্ত্র ও পাকস্থলীতে আঘাত ছিল। পেটে তিন লিটার রক্ত জমে ছিল। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তবে ৭২ ঘণ্টা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।”
|
ওষুধে অসুস্থ শতাধিক ছাত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
একই দিনে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ফলিক অ্যাসিডের ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল শতাধিক ছাত্রী। পুলিশ ও অসম স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, ছাত্রীদের রক্তাল্পতা কমাবার জন্য, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট পাঠানো হয়েছিল। অসম স্বাস্থ্য বিভাগের তরফেই ট্যাবলেট পাঠানো হয়। আজ সকালে সেই ট্যাবলেট খাওয়ার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল থেকে ছাত্রীদের অসুস্থ হওয়ার খবর আসতে থাকে। গোহপুরের হাওয়াজান উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের ৫০ জন ছাত্রী ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়। সিপাঝার বিজি হাইস্কুলের ৪৮ জন ছাত্রী, ঢেকিয়াজুলির সিংগোরি ওপি কানোই হাইস্কুলের ১৫ জন ছাত্রী, ডুবিয়া হাইস্কুল ও যুগল হাইস্কুলের কয়েকজন ছাত্রী বমি, মাথা ঘোরা ও পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • নৈহাটি |
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘরে গেলেন নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। দিন কয়েক আগে রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর চলে এই হাসপাতালে। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক অভিযোগ তোলেন, সিপিএমের স্থানীয় কিছু কর্মী-সমর্থকই ওই ঘটনায় জড়িত। সে কথা অবশ্য অস্বীকার করেন সিপিএম নেতৃত্ব। হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে যেতে পার্থবাবু অনুরোধ করেছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে। বুধবার দুপুরে হাসপাতালের পরিস্থিতি ঘুরে দেখে চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “হাসপাতালে এমন বর্বরোচিত ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। সিপিএম এ ভাবে সন্ত্রাস চালাতে পারবে না। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” হাসপাতালের পরিকাঠামোও ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। কিছু বিষয় চিহ্নিত করে তা খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দেন।
|
বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইউনিট ও পেডিয়াট্রিক মেডিক্যাল আইসিইউ চালু হল ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতালে। বুধবার প্রতিষ্ঠাতা চিকিৎসক সরোজ গুপ্ত-র দ্বিতীয় মৃত্যুদিবসে ওই দুই পরিষেবা শুরু হল। হাসপাতালের বর্তমান কর্ণধার চিকিৎসক অর্ণব গুপ্ত জানান, হাই ডোজ কেমোথেরাপিতে অনেক ক্ষেত্রে রোগীর শরীরের অস্থিমজ্জা নষ্ট হয়। ফলে রক্তাল্পতা, প্রতিরোধ শক্তি কমে যাওয়া, রক্তক্ষরণ প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়। বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইউনিট থাকলে দূষণ প্রতিরোধকারী ঘরে রেখে রোগীর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা যাবে। ফলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। পেডিয়াট্রিক মেডিক্যাল আইসিইউতে কেমোথেরাপি চলাকালীন শিশুর শারীরিক অবস্থার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া সম্ভব হবে। |