রাস্তা না সারালে দুর্ভোগ কমবে না
প্রায় তিন বছর ধরে বেলমুড়ি স্টেশন থেকে মাকালপুর মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে বিশাল বিশাল গর্ত হয়ে গিয়েছে। সাটিথান, দাদপুর, মাকালপুর, বাবনান অঞ্চলের মানুষের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। প্রতি দিন হাজার হাজার মানুষ এই এলাকা থেকে প্রতি দিন কলকাতা, বর্ধমান, হাওড়ায় যাতায়াত করেন। এ ছাড়াও, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, পড়ুয়ারা ঝুঁকি নিয়ে খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হন। এই রাস্তার পাশেই পড়ে মাকালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পোস্ট অফিস, প্রাথমিক স্কুল, ব্যাঙ্ক, মাকালপুর পঞ্চায়েত অফিস প্রভৃতি নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়। ছোট-বড় দোকানবাজারও আছে। মুমূর্ষু রোগী, ছাত্রছাত্রী এবং সাধারণ মানুষ এই পরিস্থিতিতেই চলাফেরা করেন। পাণ্ডুয়া ও বেলমুড়ির মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী হিসাবে এই রাস্তার গুরুত্ব প্রচুর। বর্ষার আগে যদি রাস্তাটি সারানো না হয়, তা হলে বিপদের আশঙ্কা আরও বাড়বে। সাধারণ মানুষের দুর্দশা ঘোচাতে হুগলি জেলা পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বাসের সংখ্যা বাড়ানো হোক
হাওড়া জেলার মানচিত্রে গাদিয়াড়া একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র। উলুবেড়িয়া থেকে গাদিয়াড়া পর্যন্ত রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ কিলোমিটার। এই রাস্তার পাশে অবস্থিত বহু মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল। এ ছাড়াও শ্যামপুরে আছে একাধিক ব্যাঙ্ক, এসআই অফিস-সহ আরও নানা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র যেতেও এই পথ ব্যবহার করতে হয়। এই পথে সিএসটিসি এবং বসিরহাট-গাদিয়াড়া রুটের কিছু বাস চলাচল করে। কিন্তু নিত্যযাত্রীর সংখ্যার অনুপাতে বাসের সংখ্যা খুবই কম। ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগের একশেষ হতে হয়। সমস্যায় পড়ে বহু পড়ুয়া। আবার বিকেল ৪টের পরে স্কুল ও অফিস ছুটির সময়ে বাস স্ট্যান্ডে এসে শোনা যায়, কলকাতা-গাদিয়াড়া সিএসটিসি শেষ বাস বেরিয়ে গিয়েছে। ফলে, নানা যানবাহন পাল্টে গন্তব্যে পৌঁছতে হয় নিত্যযাত্রীদের। নিত্যযাত্রীদের পক্ষ থেকে আবেদন, উউলুবেড়িয়া স্টেশন রোড থেকে গাদিয়াড়া পর্যন্ত বাসের সংখ্যা বাড়ানো হোক। সেই সঙ্গে, কলকাতা-গাদিয়াড়া রুটেও বাড়ুক বাস।
বেঞ্চমার্ক সংরক্ষণ হোক
ব্যান্ডেল অক্সিলিয়াম কনভেন্ট-লাগোয়া একফালি জমিতে সার্ভে অব ইন্ডিয়ার একটি বেঞ্চমার্ক আছে। কিন্তু বর্তমানে সেটির অস্তিত্ব সঙ্কটজনক। ওই জায়গায় লোহার পোলের উপরে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বসানো হয়েছে। ফলে, এর মাথার সামান্য অংশ ছাড়া বাকিটা মাটির তলায় চাপা পড়ে গিয়েছে। প্রায় দু’শো বছর আগে সারা দেশে ‘গ্রেট ট্রিগনোমেট্রিক্যাল সার্ভে’র কাজ চলার সময়ে ওই স্তম্ভটি তৈরি হয়েছিল। এর নিকটতম সার্ভে স্টেশনটি আছে হুগলির মহসিন কলেজের ছাদে। ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভে ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা এই বেঞ্চ মার্ককে ভিত্তি করে এক সময়ে আরএল বহন করত। যা ইদানীং সম্ভব হচ্ছে না। ঐতিহ্যমণ্ডিত এই বেঞ্চ মার্কটি অবিলম্বে সংরক্ষণ প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সার্ভে অব ইন্ডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
টিকিট কাউন্টার চাই
সাঁতরাগাছি স্টেশনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ আন্দুল স্টেশনটি। সাঁতরাগাছির বিপরীতে, জগাছার দিকে টিকিট কাউন্টার আছে। পক্ষান্তরে, আন্দুল স্টেশনের উল্টো দিকে কোনও টিকিট কাউন্টার নেই। যদিও উল্টো দিকের ওই এলাকা থেকেও অনেক মানুষ ট্রেন ধরতে স্টেশনে আসেন। ওভারব্রিজ পেরিয়ে তাঁদের টিকিট কাটতে যেতে হয়। কাজটি এক দিকে যেমন পরিশ্রম সাপেক্ষ, তেমনই সময়ও লাগে। আর একটি টিকিট কাউন্টার তৈরি করলে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে উপকৃত থাকবেন নিত্যযাত্রীরা।
শৌচালয় হোক আবর্জনামুক্ত
উদয়নারায়ণপুর ব্লকের অন্তর্গত নিতাইমণ্ডল সরণীতে পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে ‘নির্মল গ্রাম’ পুরস্কারের টাকায় জন সাধারণের ব্যবহারোপযোগী শৌচালয় তৈরি হয়েছে। তাতে উপকৃত হয়েছেন মানুষ। কিন্তু শৌচালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাও জরুরি। এখানে নোংরা আবর্জনা পড়ে থাকে। ফলে ক্রমে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে উঠছে শৌচালয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ নজর দিলে ভাল।
সেতুতে যানজট কাটুক
আমতার দামোদর সেতু আমতা ১-২, জয়পুর ও উদয়নারায়ণপুরের মানুষের মধ্যে সংযোগরক্ষা করে। আমতার দিক থেকে সেতুতে ওঠার মুখে এবং সেতুর উপরেও পান-বিড়ির দোকান বসেছে। ফলের দোকান-সহ আরও আরও কিছু স্টল আছে। ফলে, সেতুতে যানজট লেগেই আছে। সন্ধ্যায় তা আরও ব্যাপক আকার নেয়। এমনিতেই এই সেতু দিয়ে সব সময় বালি-বোঝাই লরি, ইটের লরি যাতায়াত করে। ফলে মাঝে মধ্যেই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। আরও বড় ঘটনাও ঘটতে পারে। বিষয়টির দিকে নজর দিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
রাস্তা সারানো প্রয়োজন
হাওড়া-হুগলি দুই জেলার সংযোগকারী রাস্তা লক্ষ্মণপুর থেকে বড়গাছিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। লক্ষ্মণপুর থেকে একটি পথ মাইতাপুকুরের দিকে গিয়েছে। লক্ষ্মণপুর থেকে হুগলি জেলার মুণ্ডলিকা পঞ্চায়েতের মাইতাপুকুর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার মোরাম ফেলা পথ। পাঁচবেড়িয়া, শ্যাওড়াবেড়িয়া, সোনামাগুরি, মামুদপুর গ্রামগুলির মধ্যে দিয়ে রাস্তাটি গিয়েছে। পথটি পাকা করা জরুরি।
পথ মেরামত করা হোক
পাণ্ডুয়া ব্লকের মান্দারণ বামুনপাড়া মোড় থেকে ছোটসরসা গ্রাম হয়ে পাইকাড়া ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার পিচ রাস্তা তৈরি হয়েছিল ২০০০ সালে। জেলা পরিষদের উদ্যোগে তৈরি এই রাস্তা দিয়ে ইটাচুনা স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা যাতায়াত করে। কৃষকের জমিতে উৎপাদিত ফসল বাজারে যায়। খন্যান স্টেশন থেকে পাইকাড়া পর্যন্ত অটোও চলে। কিন্তু রাস্তাটির অবস্থা বর্তমানে খুবই খারাপ। খানাখন্দে ভরা। দুর্ঘটনাও ঘটছে। রাস্তাটি সারানো দরকার।
এটিএম কাউন্টার চাই
ভদ্রেশ্বরের কয়লাডিপোর কাছে জিটি রোডে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থাকলেও তার এটিএম কাউন্টার নেই। ফলে এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের ২০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে ভদ্রেশ্বর স্টেশনে যেতে হয়। সেখানে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টার আছে। ভদ্রেশ্বর বাজারে অন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থাকলেও পৃথক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের মাসে একাধিক বার সেখান থেকে টাকা তুললে বাড়তি টাকা গুনতে হয়। বিষয়টির সুরাহা হোক।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.