সম্পাদক সমীপেষু ...
ঝুঁকির যাত্রা বন্ধ হোক
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়
শিয়ালদহ মেন লাইনে বিধাননগর রেল স্টেশনে নিত্য ট্রেনের যাত্রীরা বিপজ্জনক ভাবে রেল লাইনের উপর দিয়ে হাঁটতে থাকেন। কিছু দিন আগে হাওড়া শাখায় সাঁত্রাগাছি স্টেশনে লাইন পারাপারে একসঙ্গে চার জন যাত্রী রেল লাইন পারাপারের সময় কাটা পড়ে মারা যান। তা সত্ত্বেও বিধাননগর স্টেশনে রেল লাইন পারাপার বন্ধ হয়নি। বিপদের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের উপর দিয়ে হাঁটা চলছে। বিধাননগর স্টেশনের ৩ নং প্ল্যাটফর্মটি খুবই সরু হওয়ায় এবং অফিস টাইমে বহু যাত্রী নামার ফলে, স্টেশন প্ল্যাটফর্মটি ভরে যায় এবং তাড়াহুড়ো করে বের হওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা এখানে রেল লাইনের উপর দিয়ে হাঁটতে শুরু করেন। অতীতে এখানে বহু বার দুর্ঘটনা ঘটে গেলেও রেল লাইন পারাপারে এমন ঝুঁকির যাত্রা বন্ধ হয়নি। কিন্তু সময়ের থেকে জীবনের মূল্য যে অনেক বেশি, সেটা বোঝা খুবই প্রয়োজন। রেল কর্তৃপক্ষ এমন ঝুঁকির যাত্রা বন্ধ করুক।
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে
লোকসভার গত শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক উত্থাপিত সরকারি/আধাসরকারি কর্মচারীদের পেনশন বেসরকারিকরণ বিল প্রসঙ্গে আপনি সরকারি প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেছিলেন, পেনশন মানুষের শেষ সময়ের অবলম্বন। তাকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিয়ে প্রবীণ নাগরিকদের জীবন ও জীবিকাকে কেউ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিক তা কখনওই সমীচীন নয়। তার পর আপনার কয়েকটি জনমুখী পদক্ষেপ আমাদের মনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে এই চিঠির অবতারণা।
১৯৯৬ সালে বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে যখন দ্বিতীয় ও শেষ বারের মতো রোপা ১৯৮১ অনুযায়ী আমাদের কাছে জি পি এফ, পেনশন অথবা সি পি এফ-এ থাকার বিষয়ে অপশন চাওয়া হয়, তখন আমরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সাত হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী সি পি এফ-এ থাকার বিষয়ে অপশন জমা দিই। এর পিছনে একাধিক কারণ ছিল। আমরা বেশির ভাগ শিক্ষক তখন চাকুরিজীবনের শেষ সীমায় উপনীত। বাড়িতে অবিবাহিতা মেয়ে, বেকার ছেলে। তাতে তখন নগদ প্রাপ্তির উপরেই আমরা সমধিক গুরুত্ব দিয়েছিলাম। তা ছাড়া তখন পেনশন পাওয়াও এখনকার মতো সহজ ছিল না। ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরে স্থায়ী আমানতের উপর সুদের হারও (প্রায় ১৩ শতাংশ) বেশি ছিল। ইতিমধ্যে পেনশন পাওয়া সহজ হয়েছে। অন্য দিকে, সুদের হারও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গেছে। ফলে, এখন আমাদের হাতে নিছক খেয়েপরে বাঁচার মতো অর্থও আর অবশিষ্ট নেই। আমরা অধিকাংশই সত্তরোর্ধ্ব বয়স্ক (বর্তমানে কর্মরত অল্পবয়স্ক কিছু শিক্ষকও আছেন)। নিদারুণ অনটনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।
বিগত বামফ্রন্ট সরকার তাদের কার্যকালের শেষ দিকে আমাদের মতো পাঁচ/ছ’হাজার (কারণ, ইতিমধ্যে এক-দেড় হাজার শিক্ষক/শিক্ষাকর্মী মৃত) শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর পেনশন দানের ব্যাপারটি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিল। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সে সংক্রান্ত কাগজপত্র ও নথি সংশ্লিষ্ট জেলা স্কুল পরিদর্শকের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছিল। তার পর তাদের কার্যকালে বিষয়টি আর বেশি দূর এগোয়নি। আমরা যত দূর জানি, আমাদের মতো ভুক্তভোগী কতিপয় শিক্ষক এবং দু’-একটি শিক্ষক সংগঠন বিষয়টির প্রতি পশ্চিমবঙ্গের নতুন জোট সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী তাতে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বিষয়টি আপনার গোচরে এনেছিলেন। আপনিও সহানুভূতি সহকারে এ বিষয়ে আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করেছিলেন। এ সংক্রান্ত ঘটনাটি নাকি এখন অর্থমন্ত্রকের বিবেচনাধীন। অবশ্য এ সবই আমাদের শোনা কথা। প্রকৃত সত্য কী তা আমরা জানি না।
এমতাবস্থায় আপনার কাছে আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ, আপনি এ ব্যাপারে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে যাতে বিষয়টি অর্থমন্ত্রকের ছাড়পত্র পায়, অনুগ্রহ করে তার ব্যবস্থা করুন এবং আমাদের মতো আর্থিক দুর্দশাগ্রস্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের দ্রুত পেনশনের আওতায় এনে জীবনের বাকি দিনগুলি একটু স্বস্তিতে কাটাবার সুযোগ করে দিন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.