আমাদের স্কুল |
বাঙ্গালপুর ইউনিয়ন চমৎকারী উচ্চ বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠা ১৯৩৩। ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১৮৭১ জন।
শিক্ষক-শিক্ষিকা ৩৪ জন। অশিক্ষক কর্মচারী ৪ জন।
অণুশিক্ষক ৪ জন। ২০১১ সালে মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ১৯৩ জন।
২০১২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ২৬৬ জন। |
|
গ্রন্থাগারিক না পাওয়ায় সমস্যা বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের |
|
সন্দীপকুমার ষড়ঙ্গী
(প্রধান শিক্ষক) |
|
বাঙ্গালপুর গ্রাম নিবাসী দরিদ্র নিপীড়িত সন্তান অশ্বিনী কুমার মণ্ডল (পরবর্তী কালে হাওড়ার একজন লব্ধ প্রতিষ্ঠ শিল্পপতি)-এর আন্তরিক প্রয়াস ও আর্থিক সহায়তায় ১৯৩৩ সালে এই বিদ্যালয়ের পথ চলা শুরু। ১৯৪৯ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় হিসেবে অনুমোদন লাভের পর শিক্ষার জগতে এই বিদ্যালয় হাওড়া জেলাতে তার স্বকীয়তা প্রমাণ করেছে। পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে বলা চলে এই বিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্রের প্রতি আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হয়। কেউ পড়া বুঝতে না-পারলে তাকে তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ করে মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে ছাত্রদের বিশেষ কোচিং করানো হয়। আমাদের বিদ্যালয়ের সুনাম শুধু পড়াশোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। খেলাধূলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও আমাদের বিদ্যালয়ের কৃতিত্ব রয়েছে। |
|
আমাদের বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ বেশ উপযুক্ত। শুধু তাই নয়, রয়েছে স্যুইমিং পুলও। বিভিন্ন বিতর্কমূলক প্রতিযোগিতা বা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়মিত যোগদান করে। সর্বশিক্ষা প্রকল্পের কল্যাণে আমাদের বিদ্যালয়ে ভবন সংক্রান্ত কোনও সমস্যা নেই বললেই চলে।
তবে দু’একটি সমস্যার কথা না-তুললেই নয়। আমাদের বিদ্যালয়ের কম্পিউটারগুলি কিছু দিন আগে চুরি হয়ে যায়। এর পরে অনেক কষ্ট করে স্কুলের নিজস্ব তহবিলের টাকায় ফের তিনটি কম্পিউটার মনিটর কেনা হয়েছে। তাতে কিন্তু অভাব পুরোপুরি মেটেনি। এ ছাড়া, আমাদের বিদ্যালয়ে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার বই। কিন্তু এখনও কোনও গ্রন্থাগারিক নিয়োগ করা হয়নি।
|
|
আমার চোখে
দেবারুণ ঘোষ
(ক্লাস টেন-এর ফার্স্ট বয়) |
|
আমাদের বিদ্যালয় আমার কাছে গর্ব। কী পঠন-পাঠন বা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সব সময়ে আমাদের অনুপ্রেরণা জোগান। পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের বাড়ির মতো করে আমাদের সমস্যাগুলি বুঝিয়ে দেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীবৃন্দের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি স্নেহ-ভালবাসা এবং অভিভাবকদের সঙ্গে মেলবন্ধন সুন্দর ও সুস্থ পড়াশোনা করার মতো পরিবেশ
সৃষ্টি করেছে। |
|