না। একটুও জঙ ধরেনি প্রাক্তন ভারতীয় সেনাকর্মী, শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা কবিতা প্রেমী প্রবীর দাসের হৃদয়ে। তাই তিনি লিখতে পারেন ‘আকাশ পথে দৃষ্টি দিলে কথা বলে ওঠে দীঘল ছায়ায় এলোমেলো গাছ...’ অথবা ‘উজ্জ্বল অদেখা আলোর খোঁজে’ কাব্যগ্রন্থের একটি কবিতা ‘ধরে নিলাম শখ অনুসারে আলমারি ভর্তি করেছেন পছন্দের বই পত্তরে, সাজিয়েছেন, পড়েছেন তবু কখন যে আঁকা হয়ে গ্যাছে ধুলো’। দীর্ঘ ১৬ বছর সেনাবাহিনিতে কাজ করেও তিনি কবিতা চর্চা করেছেন। এখনও পর্যন্ত ২২টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। ১৯৯৪ সাল থেকে নিয়মিত ত্রৈমাসিক কবিতা পত্র ‘আজকের কবিতা’ প্রকাশ করে আসছেন। নিউ ইয়র্কের ‘শব্দগুচ্ছ’ পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৯৫ সালে। শতাধিক লিটল ম্যাগাজিনে তাঁর কবিতা ছাপা হয়েছে ও হচ্ছে।
|
সিউড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আবাসনের কয়েকজন চিকিৎসকের স্ত্রীর উদ্যোগে গত ৩ বছর ধরে রবীন্দ্র বন্দনা চলছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় ওই আবাসনের আঙিনায় অনুষ্ঠিত হল বর্ণাঢ্য রবীন্দ্র জয়ন্তী। সেখানে ১২ জন শিল্পী (চিকিৎসক ও তাঁদের স্ত্রী) গাইলেন ৪টি কোরাসে রবীন্দ্রসঙ্গীত। চিত্রাঙ্গদা, চণ্ডালিকা ও মায়ার খেলা’র তিন বিশিষ্ট নারী চরিত্রে নৃত্য পরিবেশন করলেন। ছিল গান ও আবৃত্তির অনুষ্ঠানও। ২ ঘণ্টার ওই অনুষ্ঠান দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। মোট ২০ জন শিল্পী যোগ দিয়েছিলেন।
|
১৯৮৯ সালের ১৫ জানুয়ারি শেক্সপিয়রের ইংরেজি নাটক অনুবাদ ‘চৈতালী রাতের স্বপ্ন’ প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল কলকাতার রবীন্দ্র সদনে। অনুবাদ ও নির্দেশনায় ছিলেন বিখ্যাত নাট্যবিদ উৎপল দত্ত। সেখানে অন্যতম অভিনেত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন সিউড়ির ‘আনন’ নাট্যসংস্থার সেই সময়ের অভিনেত্রী পলি সেন। তাঁর কথায়, “ওই নাটকটি দীর্ঘ ৬ মাসে সপ্তাহে দু’দিন করে গিরীশ মঞ্চ, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতে অভিনীত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির প্রযোজনায় রাজ্যের বিখ্যাত মঞ্চ শিল্পী সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মেঘনাদ ভট্টাচার্য, রমাপ্রসাদ বণিক, বিষ্ণুপ্রিয়া দত্ত, মালা ভট্টাচার্য প্রমুখ শিল্পীদের সঙ্গে ওই নাটকে কাজ করেছি।” ‘আনন’-এ ম্যাক্সিম গোর্কির ‘মা’ নাটকে প্রথম বড় অভিনয়। পরে প্রচুর নাটক করেছেন তিনি। অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা এখনও নাটক থেকে অবসর নেননি। বর্তমানে সিউড়ির ‘এখনই’ নাট্যসংস্থার সঙ্গে যুক্ত। |