|
নিজস্ব চিত্র। |
জন্ম থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগত ছেলে। কিন্তু তখন থেকেই তাকে ডাক্তার করার স্বপ্ন দেখতেন বাবা। দিনমজুরের কাজ করে নাজিমুদ্দিন খানের পক্ষে ছেলেকে ডাক্তার করা সহজ ছিল না। আর তাই জয়েন্টে মেডিক্যালে ছেলে ১০১৮ র্যাঙ্ক করার পরেও স্বপ্ন পূরণ হবে কি না সেই চিন্তায় কপালে ভাঁজ তাঁর। জলঙ্গির হুকাহারা গ্রাম থেকে এ বার মেডিক্যালে সুযোগ পেয়েছে ফিরোজ খান। সারা গ্রামে তাই খুশির হাওয়া। কিন্তু ডাক্তারি পড়ার খরচ যে অনেক। তাই ফিরোজের পরিবারের সঙ্গে চিন্তায় গ্রামবাসীরাও। স্কুল, স্থানীয় প্রতিষ্ঠিত মানুষ সকলের কাছেই তাই দরবার করছেন তাঁরা। স্কুল, কলেজ পড়ুয়া তিন ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে সংসার নাজিমুদ্দিনের। ছেলেমেয়েদের পড়ার খরচ মেটাতেই জেরবার তিনি। তবুও হাল ছাড়েননি এখনও। বলেন, “অনেক কষ্ট করে পড়াচ্ছি ওদের। সবসময় স্বপ্ন দেখতাম ওরা বড় হোক। কিন্তু এখন বিপদে পড়েছি। শুনেছি ডাক্তারি পড়ার খরচ অনেক। এ বার হয়তো আর টানতে পারব না।” হুকাহারা থেকে এই প্রথম মেডিক্যালে সুযোগ পেয়েছে কেউ। জলঙ্গি হাইস্কুলের বরাবরের মেধাবি ছাত্র ফিরোজ। কিন্তু এই টানাটানির সংসারে র্যাঙ্ক করাটা তার কাছেও ‘ভুল’। সে বলে, “অনেক কষ্ট করে জয়েন্টে বসেছিলাম। কিন্তু র্যাঙ্ক করার পরে মনে হচ্ছে পরীক্ষায় বসাটাই ভুল হয়েছে। আমাদের মতো পরিবারের ছেলেদের এমন স্বপ্ন দেখাটাও অন্যায়।” জলঙ্গি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসুজ্জোহা বিশ্বাস বলেন, “ওই ছাত্রকে আগেও বিভিন্ন ছাড় দেওয়া হয়েছে। স্কুল শুরু হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। যতটা সম্ভব ওর পাশে থাকব আমরা।”
|
বিদ্যুতের বিল এসেছে ৮২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। প্রায় চার মাস পরে শুক্রবার বাড়ি ফিরে ওই বিল দেখে তাই রীতিমতো মাথায় হাত জঙ্গিপুরের মুকুন্দপুর গ্রামের আয়ুব শেখের পরিবারের। আয়ুব শেখের ছেলে রাহুল শেখ বলেন, “সাধারণত প্রতি তিন মাস অন্তর পাঁচশো টাকা মতো বিল আসে। কিন্তু এ বারের বিল দেখে আমরা হতভম্ব। চার মাস আগে যখন অন্য বাড়ি যাই তখন মিটার রিডিং ছিল ০৩৫৮০, এখনও তা একই রয়েছে। অথচ বিলে দাবি করা হয়েছে আমরা ৯,৯৯,৪৪৮ ইউনিট বিদ্যুৎ পুড়িয়েছি। ফলে বিল এসেছে ৮২ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৮১ টাকা। শনিবার বিদ্যুৎ দফতরে গেলেও কারও দেখা পাইনি।” বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগের জঙ্গিপুর অফিসের সহকারি বাস্তুকার রোহিত রঞ্জন বলেন, “এ ধরনের ভুল কীভাবে হল তা না দেখে বলতে পারব না। তবে গৃহস্থের বাড়ির বিল এত টাকার হতে পারে না নিশ্চিত। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবশ্যই সংশোধন করা হবে।”
|
মোটর সাইকেল ও লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল একজনের। নাম বসিরুদ্দিন শেখ (৫৫), বাড়ি সাগরদিঘির গাঙ্গাঁড্ডা গ্রামে। শনিবার রাতে সাগরদিঘির জনসির কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন বসিরুদ্দিন শেখের ছেলে খোসদিল শেখ। তিনিই মোটর সাইকেলটি চালাচ্ছিলেন। তাঁকে বহরমপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। একটি পা কাটা গিয়েছে তাঁর। পুলিশ জানায়, এ দিন সন্ধ্যায় ঝড়-বৃষ্টির পরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাড়ি ফেরার পথে একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাইকটির। তাতে উল্টে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকে বাইকটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান বসিরুদ্দিন শেখ। |
আবর্জনার স্তূপে পড়ে থাকা তাজা বোমা ফেটে আহত হয়েছে চার বালক। নবদ্বীপের ফুলবাগানের বাসিন্দা বিশ্বনাথ দেবনাথ, নন্দ হাড়ি, সন্দীপ শীল ও রাহুল দেবনাথ নামে ওই চার বালককে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আবর্জনার স্তূপ থেকে জিনিসপত্র কুড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করাই ওই চার বালকের পেশা। তারা চারটি তাডা কৌটো বোমা পেয়ে তা বিক্রি করতে গিয়েছিল। বিক্রি হবে না শুনে বেরিয়ে আসার সময়ে একটি হাত থেকে পড়ে ফেটে গেলে তারা আহত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, কী করে ওই আবর্জনার স্তূপে চারটি তাজা কৌটো বোমা এল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। রবিবার সকালে নবদ্বীপের দণ্ডপাণিতলা ঘাট রোডে জনবহূল এলাকায় কী করে ওই বোমা এল, তা নিয়ে বিস্মিত শহরের বাসিন্দারাও। বিশ্বনাথ বলে, “ওগুলো কুড়িয়ে পেয়ে মনে হয়েছিল ভালই দাম পাব। তা নিয়ে একটি দোকানেও গিয়েছিলাম। সেই দোকানদার আমাদের বলেন, ওগুলো ফেলে দিতে। তখনই দোকান থেকে বেরিয়ে একটা আমার হাত থেকে পড়ে ফেটে যায়। তারপরে প্রচণ্ড শব্দে আর কিছু মনে নেই।” ওই শব্দেই লোকজন ছুটে আসেন। তবে ওই দোকানের মালিক বলেছেন, “ওই বাচ্চারা আমার দোকানে কিছু বিক্রি করতে আসেনি।” তবে পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার যে দু’টি দোকানে ভাঙাচোরা জিনিসপত্র কেনাবেচা করা হয়, তার মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভারতী ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা বারবার লোকালয়ের মাঝখানে ভাঙাচোরার ব্যবসা করতে বারণ করেছি। তবু তা শোনা হয় না।” |
ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে মিনতি অধিকারি (৬০) নামে এক মহিলার। বাড়ি কৃষ্ণনগরের কাঁসারিবাগানে। রবিবার সন্ধ্যার ঘটনা। হাসপাতালে আনার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
|
প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ভেজাল বিদেশি মদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার মুর্শিদাবাদ থানার সন্ন্যাসীডাঙার একটি বাড়িতে হানা দিয়ে কয়েকশো বোতল ভেজাল মদ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সুখেন সরদার নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, “দীর্ঘ দিন ধরে ভেজাল মদ তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর পেয়ে সন্ন্যাসীডাঙার ওই বাড়িতে হানা দিয়ে কয়েকশো বোতল ভেজাল মদ, নামী কোম্পানীর ফাঁকা বিদেশি বোতল, মদ তৈরির উপকরণ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বাড়ির মালিককে।” |
বাজ পড়ে মৃত্যু হল কাকা-ভাইপোর। শনিবার সামসেরগঞ্জের চাচন্ডা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম সহিদুর রহমান (৩০) ও মোসলাউদ্দিন (১৫)। এ দিন ঝড় বৃষ্টির সময় পাশের একটি বাগানে আম কুড়োতে গিয়ে মারা যান তাঁরা। |