|
|
|
|
পুকুর থেকে বন্দুকের নল উদ্ধার, নাম জড়াল তমালিকার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
সামনেই হলদিয়া পুর-ভোট। তার আগে পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া বন্দুকের কিছু অংশের সঙ্গে নন্দীগ্রাম-পর্বের যোগ টেনে হলদিয়ার বিদায়ী পুরপ্রধান সিপিএমের তমালিকা পণ্ডা শেঠের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল। নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়েই এখন জেলে রয়েছেন তমালিকাদেবীর স্বামী প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ।
এসডিপিও (হলদিয়া) অমিতাভ মাইতি জানান, বন্দুকের অংশগুলি অনেকদিন আগেই পুঁতে রাখা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান।
রবিবার সকালে হলদিয়ার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পুকুর থেকে তিনটি একনলা বন্দুকের ব্যারেল ও দু’টি বাঁট উদ্ধার হয়। সেগুলি একটি ব্যাগে ভরা ছিল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আজিজুল রহমানের অভিযোগ, “নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে এগুলি ব্যবহারের পরে বিধানসভা ভোটের আগেও কাজে লাগিয়েছিল সিপিএম। পরে এখানে পুঁতে দিয়েছে।” রাতে তমালিকাদেবী-সহ ১০ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা লক্ষ্মণ শেঠের ছায়া-সঙ্গী প্রণব বসুর স্ত্রী কাজলদেবীও। কাজলদেবী এক সময় হলদিয়ার কাউন্সিলর ছিলেন। তবে তমালিকাদেবী এবং প্রণববাবু বলেন, “গোটাটাই ষড়যন্ত্র। পুর-ভোটে হারের ভয়ে তৃণমূলই এ সব করছে।”
পক্ষান্তরে হলদিয়ায় সিপিএম কার্যালয়ে ভাঙচুর-লুঠপাট, দলীয় প্রার্থীর স্বামীকে মারধর ও এক সিপিএম কর্মীকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে গাঁধীনগরে সিপিএমের লোকাল কমিটির অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে টিভি-সহ বেশ কিছু জিনিস লুঠপাট করা হয় বলে অভিযোগ। তখনই স্থানীয় ক্লাবঘরে ঘুমিয়ে থাকা সিপিএম সমর্থক নাড়ু জিতিকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ১১ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। রঘুনাথচকের ডি ব্লকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী মঞ্জু দাসের স্বামী সঞ্জীব দাসকে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ মান্নার ক্ষোভ, “তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়ে আমাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে।” আর তৃণমূলের শহর কমিটি সভাপতি সাধন জানার বক্তব্য, “সিপিএম মিথ্যা অভিযোগ করছে।” |
|
|
|
|
|