ইন্দিরা ভবনের নাম পরিবর্তন নিয়ে রাজ্য সরকারের দুই শরিকের টানাপোড়েন আবার শুরু হল।
সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তির দিন, রবিবার সকালে সল্টলেকের ইন্দিরা ভবনে তাঁর নামাঙ্কিত গবেষণাগার তৈরির দাবিতে বিধাননগর টাউন কংগ্রেস ফলক লাগানোর পরেই তা খুলে ফেলে প্রশাসন। এই ঘটনার পরে ওই ভবনের নামকরণ নিয়ে সরকার
এ ভাবে ‘অনমনীয়’ থাকলে ফের তাঁরা পথে নেমে ‘বিরোধিতা’য় বাধ্য হবেন বলেও এ দিন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টচার্য। সরকার ফলকটি খুলে নিয়ে ‘অন্যায়’ করেছে বলেও মন্তব্য করেন প্রদেশ সভাপতি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রদীপবাবুর আর্জি, “আশা করি সরকার লড়াইয়ের রাস্তায় নামতে আমাদের বাধ্য করবে না। তেমন কিছু ঘটলে তার দায় রাজ্য সরকারের। কারণ, ইন্দিরাজি’র নামের সঙ্গে কংগ্রেসের আবেগ জড়িত। সেই আবেগকে মর্যাদা দেবেন, সেটাই আশা করি। ইন্দিরাজি’র নামেই ভবনের নাম রাখবেন, এটাই অনুরোধ।” |
আগামী ২৫ মে সরকারি ভাবে ইন্দিরা ভবনে নজরুল অ্যাকাডেমি গড়ার কাজ শুরু করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতেই ফের প্রতিবাদের পথে গিয়েছে কংগ্রেস। জোট সরকারের বর্ষপূর্তির মূল্যায়নের সময় শনিবারই প্রদীপবাবু বলেছিলেন, “ইন্দিরা ভবনের অন্য কোনও নামকরণ কংগ্রেস মেনে নেবে না।” যার ফলশ্রুতিতে এ দিন সকালে বিধাননগর টাউন কংগ্রেস সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেস সম্পাদক অনুপম ঘোষের নেতৃত্বে ইন্দিরা ভবনে গিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত ফলক লাগান। তাতে লেখা ছিল, ‘৭৪তম সর্বভারতীয় কংগ্রেস সম্মেলন উপলক্ষে ১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর ওই বাড়িতে ছিলেন এশিয়ার মুক্তিসূর্য ইন্দিরা গাঁধী।’ পরে জয়প্রকাশবাবু বলেন, “রাজারহাট বা অন্য কোথাও কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত ভবন তৈরি হোক। কিন্তু ইন্দিরা ভবনে নয়।”
ফলক লাগানোকে কটাক্ষ করে নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ফলক লাগানোটা ছেলেমানুষি। ফলক তো খুলে ফেলা হবেই।” বরং শরিক দলকে তাঁর পরামর্শ, “এ ব্যাপারে কংগ্রেসের কিছু বলার থাকলে দলের মন্ত্রীরা সরকারি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন।” |