টুকরো খবর
ডাল কাটা নিয়ে সংঘর্ষ, গুলি
আমগাছের ডাল কাটা নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল সমর্থক দুই প্রতিবেশীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক কংগ্রেস সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আরও এক কংগ্রেস সমর্থক। শনিবার ইংরেজবাজারের মিল্কির সাতঘড়িয়া গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম জাফরুল শেখ (২২)। জখম হয়েছেন কংগ্রেসের ৪ এবং তৃণমূলের ৩ জন সমর্থক। তাঁদের ছ’জন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। জখম এক অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “ডাল কাটা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধ হন। একজন মারা গিয়েছেন। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর গ্রামবাসীরা তৃণমূলের দুই সমর্থককে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরীর অভিযোগ। তিনি বলেন, “তৃণমূলে যেতে নারাজ কংগ্রেস কর্মীদের নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এ দিন পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে। আম গাছের ডাল দিয়ে গোলমালে পাইপগানের ব্যবহার তারই প্রমাণ।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী তথা মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। তিনি বলেন, “এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে গোলমালে কংগ্রেস রাজনীতির রং লাগিয়ে ফায়দা তুলতে চাইছে।”

অধিকর্তার নালিশ নস্যাৎ কর্মীদের
উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অধিকর্তাকে রাতভর ঘেরাও আন্দোলনের সময়ে খাবার কিংবা জল না দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করলেন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কর্মীরা। আইসিএআর আওতাভুক্ত কর্মীর পুরানো স্বীকৃতির দাবিতে বৃহস্পতিবার সবিতা সেনাপতি নামে ওই অধিকর্তাকে প্রশাসনিক ভবনের একটি ঘরে ঘেরাও করে রাখেন ওই কর্মীরা। আন্দোলনকারীদের তরফে সুব্রত মান্না বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতভর ওই অধিকর্তাকে আটকে রেখে আন্দোলন করা হলেও তাঁকে খাবার দেওয়া হয়। জলও ছিল। খাবার না নিলেও জল খেয়েছেন।” একই সঙ্গে মোবাইলে চার্জ না থাকায় ওই অধিকর্তা রাতভর বাড়িতে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। সুব্রতবাবুর অবশ্য দাবি, “উপাচার্য আলোচনায় বসার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন না বলেই সবিতাবাবুকে আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তার ঘরে ল্যান্ডফোন রয়েছে। ফলে যোগাযোগ করতে না পারার অভিযোগ ঠিক নয়।”

বর্ষপূর্তি নিয়ে তৃণমূলে ‘দ্বন্দ্ব’ মালদহে
রাজ্য সরকারের বর্ষপূর্তি উদ্যাপনে মালদহে শনিবার সকালে পুরানো সার্কিট হাউসের একটি সভা করেন তৃণমূল নেতা তথা ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বাবলা সরকার ও তাঁর অনুগামীরা। সেখানে দলের জেলার সভানেত্রী তথা মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র’র অনুগামীদের দেখা যায়নি। কিন্তু বিকেলে জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অম্লান ভাদুড়ির নেতৃত্বে একটি বড় মিছিল হয় শহরে। প্রসঙ্গত, অম্লানবাবু দলের অন্দরে সাবিত্রীদেবীর অনুগামী বলে পরিচিত। সাবিত্রীদেবী বলেন, “বর্ষপূর্তিতে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি অম্লান ভাদুড়ির নেতৃত্বে বিশাল মিছিল হয়েছে। কলকাতায় থাকায় মিছিলে থাকতে পারিনি। অন্য কোনও অনুষ্ঠানের কথা আমার জানা নেই।” বাবলাবাবু অবশ্য জানান, মন্ত্রী কলকাতায় থাকায় আসতে পারেননি। তিনি বলেন, “গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও বিষয় নেই।”

বিরোধিতাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল
আলিপুরদুয়ারকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সবাই যখন ঐক্যমতে পৌঁছেছে, সেই সময় মোর্চার বিরোধিতাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। শুক্রবার মোর্চার জয়গাঁও-এর নেতারা আলিপুরদুয়ারকে জেলা ঘোষণার বিরোধিতা করে। তাঁদের দাবি, জিটিএ-তে তরাই ডুয়ার্সের মৌজা অন্তর্ভুক্তি নিয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির সিদ্ধান্তের পরই পৃথক জেলা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হোক। তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জহর মজুমদার বলেন, “মোর্চাকে জেলার ইস্যুতে গুরুত্ব দিতে চাই না।” আদিবাসী বিকশ পরিষদের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকি বলেন “আলিপুরদুয়ার পৃথক জেলা হলে চা বাগানগুলির উন্নয়ন হবে। এতে মোর্চার আপত্তি করার কিছু নেই।”

দুর্ব্যবহারের নালিশ
বিডিও-র সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ছাত্র পরিষদের হলদিবাড়ি ব্লক সভাপতি সঞ্জয় সাহার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে হলদিবাড়ির গিরিয়া মোড়ের ঘটনা। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে যাওয়ার সময় বিডিও-র হাতে ট্রাক্টরটির ধাক্কা লাগে। বিডিওর অভিযোগ, সঞ্জয়বাবু ট্রাক্টর থেকে নেমে তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। পুলিশের দাবি, ট্রাক্টর চালক লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। ট্রাক্টরের নথিও সঙ্গে ছিল না। পুলিশ চালক ও সঞ্জয়বাবুর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সঞ্জয়বাবুর অবশ্য দাবি, বিডিও-র গাড়ি রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকায় সমস্যা হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.