|
|
|
|
ঝড়বৃষ্টিতে দুই জেলায় মৃত ৪ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
শুক্রবারের ঝড়বৃষ্টির জেরে হুগলি ও বর্ধমানে মৃত্যু হল চার জনের। ওই সন্ধ্যায় একটি দুর্ঘটনা ঘটে সিঙ্গুরের জলাঘাটায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ে মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল এ বারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রিয়াঙ্কা মালাকার (১৮) এবং তার বোন, সপ্তম শ্রেণির রিয়াঙ্কা। তার আগেই ঝড়ের দাপটে রাস্তায় জেনারেটরের তার ছিঁড়ে পড়েছিল। সেই তারে পা জড়িয়ে যায় প্রিয়াঙ্কার। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট দিদিকে বাঁচাতে গিয়ে রিয়াঙ্কাও তড়িদাহত হয়। তাদের মায়ের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে দুই বোনকে উদ্ধার করে সিঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকেরা প্রিয়াঙ্কাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠায়।
হুগলিরই পুড়শুড়ায় অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটে শনিবার সকালে। খেত থেকে ঢেঁড়শ তুলতে যাওয়ার সময়ে আগের রাতের ঝড়ে ছিঁড়ে পড়া উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের তারে পা লেগে যাওয়ায় তড়িদাহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হাটি গ্রামের বাসিন্দা অজয় ঘোষের (৪৭)। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার বিরুদ্ধে এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃতদেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। ওই সংস্থার ডিহিবাতপুর সাব-স্টেশনের ঠিকাদার এবং সেখানকার কর্মীদের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় শাস্তির দাবি তোলেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আরামবাগ ডিভিশনের ম্যানেজার চন্দন মণ্ডল বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। গাফিলতির প্রমাণ মিললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বর্ধমানের কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের হাতিপোতা গ্রামের বাসিন্দা শাকিলা বিবি (৩৩) শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতেই ছিলেন। তাঁর বাড়ির অদূরেই একটি বাড়িতে নির্মাণকাজ চলছিল। পলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ে ওই নির্মাণকাজে ব্যবহৃত একটি রডের খাঁচা উড়ে এসে শাকিলা বিবির বাড়ির খুঁটিতে লাগে। খুঁটি নড়ে যাওয়ায় দেওয়াল চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন শাকিলা বিবি। কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, শুক্রবার রাতে ঝড় থামার পরে পূর্বস্থলীর নাদনঘাটের বাসিন্দা অশোক ঘোষ (৪৩) গোয়ালে গরু দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানেই বিদ্যুতবাহী তার গায়ে লাগলে ঘটনাস্থলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। |
|
|
|
|
|