|
|
|
|
রেশন ডিলারদের সরকারি কমর্চারী করতে নারাজ রাজ্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রেশন ডিলারদের সরকারি কর্মচারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবে আপাতত সাড়া দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিল রাজ্য।
মে মাসের গোড়ায় রাজ্য সরকারের কাছে এ ব্যাপারে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক। মহাকরণ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের ২০ হাজার ২৮১ জন রেশন ডিলারকে এখনই সরকারি কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যে সম্ভব নয়, তা পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, কেন্দ্রের ওই প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে খাদ্য কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বিষয়টি পর্যালোচনা করে কমিটির রায়, মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতন দিয়ে ডিলারদের ‘সরকারি কর্মী’ হিসেবে গণ্য করা সম্ভব নয়। মন্ত্রী বলেন, “পনেরো হাজার টাকা মাসোহারা দিয়ে ডিলারদের সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি দিতে গেলে ৩০ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয় হবে। ওই বাড়তি ব্যয়ভার রাজ্যের পক্ষে বহন করা এখন সম্ভব নয়।” তাঁর পাল্টা প্রস্তাব, ডিলারদের মাসিক বেতনের দায়ভার কেন্দ্র নিলে বিষয়টি তাঁরা ভেবে দেখবেন।
খাদ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশে ৫ লক্ষ ৬ হাজার ১৯৮ জন স্বীকৃত রেশন ডিলার রয়েছেন। তার মধ্যে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে ডিলারদের সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ওড়িশার প্রায় ৬০ শতাংশ ডিলারও সরকারি কর্মী হিসেবেই মাসিক বেতন পান। খাদ্য মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তা জানান, গত ২৭ মার্চ তিন দফা দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে দেখা করেছিল রেশন ডিলারদের সর্বভারতীয় সংগঠন, অল ইন্ডিয়া ফেয়ারপ্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের প্রতিনিধি দল। সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, “সরকারি কর্মী হিসেবে ডিলারদের স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি রেশন দোকান থেকে ট্রেনের টিকিট, ডাকটিকিট বিক্রির পুরনো দাবিও ফের জানানো হয়েছিল।” এর পরেই বিভিন্ন রাজ্য সরকারের মতামত নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। |
|
|
|
|
|