ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের নির্দেশে ক্লাব তাঁবুতে না গিয়ে ইউরোপে বেড়াতে গেলেন টোলগে ওজবে। এবং তাঁকে নিয়ে বিতর্কে পাশে পেয়ে গেলেন ভাইচুং ভুটিয়াকে। ভারতীয় ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট ভাইচুংয়ের মন্তব্য, “চল্লিশ বছর আগে বিদেশে এমন বিতর্ক তৈরি হত।” বোঝাতে চাইলেন, ক্লাব কর্তারা মানসিক ভাবে চল্লিশ বছর পিছনে।
শনিবার হাওড়া স্টেডিয়ামে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে এসেছিলেন ভাইচুং। সেখানে বলেন, “আমি চাই ফিফার নিয়ম অনুযায়ী দশ দিনের মধ্যে আইএফএ বা এআইএফএফ সিদ্ধান্ত নিক। আর ক্লাবগুলোর আরও পেশাদার হওয়া উচিত।” এফপিএআইয়ের অন্যতম সদস্য দেবাঞ্জন সেনের স্মৃতিতে ওই প্রদর্শনী ম্যাচে হাওড়া মেয়র একাদশের কাছে ০-২ হেরে গেল ভাইচুংদের দল। যে দলে খেললেন রেনেডি, নবি, মেহতাব, দীপেন্দুরা। ভাইচুং খেলেন অল্প সময়ের জন্য। পরে মাঠে নামেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক টিম ব্রাউন। যিনি অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ লিগে টোলগের সতীর্থ ছিলেন। ২০০৬-০৭ মরসুমে নিউক্যাসল জেটস ক্লাবে। টোলগের দলবদলের সমস্যা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও ব্রাউন বললেন, “টোলগে যে পরিমাণ অর্থ নিয়ে দলবদল করতে চলেছে সেটা বিশাল।”
এ দিকে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় কলকাতা ছাড়ার ব্যাপারে দ্বিধায় ছিলেন টোলগে। সকালে মোহন কর্তা ও আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আইনজ্ঞরা তাঁকে জানান, বেড়াতে গেলে কোনও সমস্যা নেই। মোহনবাগান অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, “ইস্টবেঙ্গল যত চেষ্টাই করুক সফল হবে না। টোলগে মোহনবাগানেই খেলবে।” লাল-হলুদের প্রধান কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “আমরা টোলগের কাগজপত্র নিয়ে আলোচনায় বসছি। মঙ্গলবার যা বলার বলব।”
|
মোহনবাগানের অসীম বিশ্বাস যোগ দিলেন মহমেডানে। বঙ্গসন্তান এই স্ট্রাইকারের সঙ্গে চুক্তিও হয়ে গেল। অসীম বললেন, “মহমেডানের হয়েই সেরা খেলাটা খেলতে চাই। তুলতে চাই জাতীয় লিগের প্রথম ডিভিশনে।” |