আশঙ্কা হইতেছে, কলিকাতা পুরসভার মেয়রের স্বপ্নে গুগাবাবা-র হাল্লার মন্ত্রী দেখা দিয়াছেন, এবং বলিয়াছেন এত খাই-খাই কীসের? স্বপ্নে সেই মন্ত্রীর মুখটি জহর রায়ের ছিল, নাকি অন্য কাহারও, সেই প্রশ্নে যাইবার প্রয়োজন নাই। কিন্তু, মেয়র বিলম্ব করেন নাই। পুরসভার বৈঠকের খাদ্যতালিকা হইতে বিরিয়ানি, চাঁপ-আদি সকলই বাদ পড়িয়াছে। আসিয়াছে শুষ্ক স্যান্ডুইচ এবং পট্যাটো চিপস। একেবারে ব্রিটিশ জলযোগ। কলিকাতা যখন লন্ডন হইবার জন্য প্রাণ পণ করিয়াছে, তখন খাদ্যতালিকাটিও ব্রিটিশ হইবে, আশ্চর্য কি? দ্বিতীয় কথা, বিরিয়ানি, চাঁপ খাইলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়, ব্যাধির আশঙ্কা বাড়ে। রাজনীতিকরা সর্বদাই হরেক কিসিমের চাপে থাকেন। ঝুঁকি না লওয়াই ভাল। স্যান্ডুইচ তুলনায় নির্দোষ খাদ্য। তবে, মুড়ি-তেলেভাজা সম্ভবত আরও ভাল। স্বাস্থ্যের দিক হইতে না হইলেও, অন্য রকম ভাল। পরের বৈঠকের খাদ্যতালিকা দেখিবার জন্য নগরবাসীর আগ্রহ থাকিল। তৃতীয় কথা, গোটা দুনিয়াতেই এখন বীজমন্ত্রের ন্যায় ‘স্লিম অ্যান্ড ট্রিম’ জপ করা হইতেছে। বাহুল্য বর্জন। খাদ্যতালিকার বাহুল্য বাদ পড়িল। তাহার প্রত্যক্ষ ফলে মেদবাহুল্যও কমিবে। দেহকোষেও, রাজকোষেও। এখন ভাবিয়া দেখিবার, মেয়র পারিষদ বা মন্ত্রীর সংখ্যাতেও বাহুল্য কতখানি। তাহা কাটছাঁট করিবার সম্ভাবনাই বা কতটুকু? |