পুরীর মন্দিরে পিক ফেললে শাস্তি মন্দির কর্মীদেরও
সংবাদসংস্থা • ভুবনেশ্বর |
পাণ্ডা-সেবায়েত বা মন্দিরের নিজস্ব কর্মী হলেও রেয়াত নেই। এখন থেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ধূমপান এবং দোক্তা বা তামাকজাত কোনও বস্তুসেবন নিষিদ্ধ হল। ধূমপান এবং দোক্তা খেয়ে যত্রতত্র পিক ফেলার বদভ্যাস বন্ধেই এই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করল পুরীর শ্রীজগন্নাথ মন্দির প্রশাসন (এসজেটিএ)। মন্দিরের নতুন মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাঢ়ী জানিয়েছেন, পবিত্র মন্দির চত্বরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যেই এই কড়াকড়ি। শুধু মন্দিরে আগত বাইরের লোক বা ভক্তরাই নন, এই নিষেধাজ্ঞা মানতে হবে সেবায়েত ও পাণ্ডাদেরও। যদি দেখা যায়, খোদ মন্দিরের কোনও কর্মী তামাকু সেবন করছেন বা পিক ফেলছেন, তবে শাস্তি হিসাবে তাঁর একদিনের বেতন কাটা হবে। মন্দির প্রশাসনের তরফে এই মর্মে ইতিমধ্যে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।দ্বাদশ শতাব্দীর এই জগন্নাথ মন্দিরে গোটা দেশ থেকেই আসেন ভক্তরা। কিন্তু মন্দির চত্বরে নানা স্থানেই দেখা যায় পিকের দাগ। নতুন মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাঢ়ী দিন কয়েক আগে মন্দিরে ঘোরার সময় দেখেন অনেককে পিক ফেলতে। তার পরেই তাঁর ঘোষণা, “মন্দিরের পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা রাখতে এমন নোংরা অভ্যাস বন্ধ করতেই হবে।” খোঁজ নিতে গিয়ে অরবিন্দবাবু দেখেছেন, মন্দিরে বাইরে থেকে আসা লোকজ ন খুব কমই পিক ফেলেন। বরং মন্দিরের লোকজনই অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই অপকর্মটি করেন। |
মুম্বই রোডে দুর্ঘটনার জেরে শনিবার দীর্ঘ ক্ষণ যানজটে থমকে গেল হাওড়া। মুম্বই রোড, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, আন্দুল রোড, এমনকী দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতেও যানজট ছড়িয়ে পড়ে। বালি থেকে আলমপুর হয়ে ধূলাগড় পর্যন্ত সার দিয়ে আটকে পড়ে যানবাহন। পুলিশ জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে মুম্বই রোডের পাকুড়িয়া সেতুতে বালি এবং লোহা বোঝাই দু’টি ট্রাক মুখোমুখি ধাক্কা মারে। এর উপরে অন্য একটি ট্রাক এসেও দুর্ঘটনাগ্রস্ত একটি ট্রাককে ধাক্কা মারে। তিনটি লরি সেতুর এক দিক আটকে দাঁড়ানোয় অন্য কোনও গাড়ি চলতে পারেনি। শনিবার বেলা আড়াইটে নাগাদ গাড়িগুলিকে সরানো হয়। সন্ধ্যার পরে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়। |