অপরিচিত যুবকদের হাতে মার খেয়ে থানায় গিয়েছিলেন নালিশ জানাতে। কিন্তু থানায় খোদ পুলিশের হাতেই নিগৃহীত হওয়ার অভিযোগ করলেন কলকাতার ইতালীয় কনস্যুলেটের এক অফিসার।
গোপুর পিঙ্গল পল নামে ওই ব্যক্তি ইতালীয় দূতাবাসে অ্যাসিস্ট্যান্ট ভিসা অফিসার। তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে তিনি দুই ছেলেকে নিয়ে আইস স্কেটিং রিঙ্ক সংলগ্ন একটি ক্লাবে গিয়েছিলেন। রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ ক্লাব থেকে বেরোনোর সময় তিনটি ছেলে মোটরবাইকে চেপে তাঁদের গাড়ি আটকায়। গোপুরের বড় ছেলে অভিলাষ এর প্রতিবাদ করে। তখন ওই তিন যুবক আরও কয়েক জনকে ডেকে নিয়ে এসে গোপুর এবং তাঁর দুই ছেলেকে মারধর করে। তাঁদের সোনার হার, মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয়। এর পরই তিনি দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে কড়েয়া থানায় অভিযোগ জানাতে যান। ভিসা অফিসারের অভিযোগ, থানায় গিয়ে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করলে সাদা পোশাকের এক পুলিশকর্মী প্রথমে তাঁর বড় ছেলেকে চড় মারেন। তিনি ছেলেকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও ওই পুলিশকর্মী মারধর করেন। এর পরেই তিনি তাঁর প্রতিবেশী এবং বন্ধু মার্ক পিন্টোকে খবর দেন। মার্ক পৌঁছলে বিষয়টি তাঁরা থানার উচ্চপদস্থ অফিসারদের জানান। এর পর পুলিশ দু’টি এফআইআর দায়ের করে। একটি ওই যুবকদের বিরুদ্ধে। অন্যটি সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। পরে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গোপুর ও তাঁর ছেলেদের চিকিৎসা করানো হয়।
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “অভিযোগকারী থানার এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধেও পুলিশকর্মীকে নিগ্রহের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” পুলিশের দাবি, অভিযোগকারী ও তাঁর ছেলেরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। থানায় যাওয়ার আগে স্থানীয় নির্মাণকর্মীর সঙ্গে তাঁদের গণ্ডগোল হয়। তা লিপিবদ্ধ হয়েছে থানায়। এর পর থানায় তাঁরা কর্তব্যরত সাব-ইন্সপেক্টরের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সেই সময় সাব ইন্সপেক্টরও অভিযোগকারীকে ধাক্কা মারেন।
|
যান্ত্রিক গোলযোগে এয়ার ইন্ডিয়ার বাগডোগরার উড়ান বাতিল। শনিবার দুপুরের উড়ান ছাড়বে রবিবার। যাত্রীদের বলা হয় একদিন কলকাতায় থেকে যেতে। সবাই মোটামুটি রাজি হলেও বেঁকে বসেন ভুটানের এক যুবক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)। স্ত্রীর কফিন-বন্দি মৃতদেহ নিয়ে শনিবারই থিম্পু ফিরতে চাইছিলেন তিনি।
কিন্তু মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার মতো বাগডোগরার উড়ান আর ছিল না। শহরে মৃতদেহ রাখার ঠান্ডা ঘরেও জায়গা নেই। তবে এই গরমে মৃতদেহ নিয়ে কোথায় যাবেন বিদেশি যুবক! অগত্যা দেহের ঠাঁই হল বিমানবন্দরে, এয়ার ইন্ডিয়ার পণ্য বিভাগে। কোনও ঠান্ডা ঘরেও নয়, অন্য পণ্যের পাশেই পাখার হাওয়ায় পড়ে রইল কফিন!
অ্যানাটমির অধ্যাপক মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, মৃতদেহ দীর্ঘক্ষণ অবিকৃত রাখতে ঠিক ভাবে যদি ওষুধ প্রয়োগ করা থাকে, তবে তা দিন দুয়েক থাকতে পারে। কিন্তু ওষুধ ঠিক মতো না দিলে এই গরমে পচন ধরতে পারে। ভুটানি যুবকের বক্তব্য, “আমার স্ত্রীর ক্ষেত্রে তেমন কিছু হলে বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করব।” বিমান সংস্থার দাবি, পণ্য বিভাগে মৃতদেহ রাখার ব্যবস্থা নেই জেনেই যুবক তাঁর স্ত্রীর দেহ রাখতে রাজি হন। সংস্থা সূত্রের খবর, শনিবার রাতেই পণ্য বিভাগের কম্পিউটার ঘর খালি করে দেহটি সেখানে রাখা হয়।
|
রাজ্য সরকারের বর্ষপূর্তি-উৎসব পালনের দিনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ কার্যত রাস্তায় নেমে এল। এক গোষ্ঠীর নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। অন্য গোষ্ঠীর নেত্রী দোলা সেন। শোভনদেববাবুর সমর্থনপুষ্ট ট্রাম-কর্মী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক-সহ এক দল সদস্যকে চার ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখলেন দোলা সেন অনুগামী এক দল ট্রাম কর্মী। দুই গোষ্ঠীর কোন্দলে এ দিন অশান্ত হয়ে ওঠে নোনাপুকুর ট্রাম ডিপো চত্বর। পুলিশ জানায়, ট্রাম কোম্পানির এক অফিসারকে মারধর করার অভিযোগে ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা শোভনদেব-ঘনিষ্ঠ। পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের বর্ষপূর্তি-উৎসব পালন করতে ট্রাম কোম্পানির একটি মালবাহী ট্রাম দেওয়ার দাবি জানিয়ে এ দিন ডিপোর ওয়ার্কস ম্যানেজারের কাছে যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত তৃণমূল সমর্থিত ইউনিয়নের (কলকাতা ট্রাম মজদুর সভা) সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস দে-সহ একদল কর্মী। ওয়ার্কস ম্যানেজার সীতাংশু ঘোষের কথায়, “ওঁরা ওয়াগনটি দেওয়ার জন্য জোর করেন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধের কথা জানালে ওঁরা আমাকে ধাক্কা মেরে দোতলা থেকে নীচে নামান।” যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করে দেবাশিসবাবু বলেন, “সিটু-র মদতে তৃণমূলেরই একটি গোষ্ঠী ওয়াগন পেতে বাধা দিয়েছে।” দোলা সেন অনুগামী ইউনিয়নের নেতা নকুল ভট্টাচার্য বলেন, “চাবি না পেয়ে সীতাংশুবাবু ও এক নিরাপত্তারক্ষীকে ওরা মারধরও করে। এটা মেনে নিতে পারেননি আমাদের কর্মীরা। পরে ওয়ার্কস ম্যানেজারের ঘরেই তাঁদের ঘেরাও করে রাখা হয়।”
|
রাস্তায় টহলরত দুই পুলিশকর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দুই নেশাগ্রস্ত যুবকের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক পুলিশকর্মীর চোখের আঘাত এতটাই গুরুতর যে, তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারানোরও আশঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার রাতে পাটুলি থানা এলাকার এই ঘটনার পরে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশকর্মীরাই যদি আক্রান্ত হন, তবে সাধারণ মানুষ কতটা সুরক্ষিত? তবে এই ঘটনায় শুভঙ্কর মণ্ডল ও নারায়ণ পুরকায়স্থ নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, সেই রাতে শহীদ ক্ষুদিরাম মেট্রো স্টেশনের কাছে জিপে টহল দিচ্ছিলেন পাটুলি থানার এস আই বলরাম দাস এবং এ এস আই পার্থ ঘোষ। সে সময় তাঁরা শুভঙ্কর ও নারায়ণকে দেখতে পান। নেশাগ্রস্ত বলে সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের নাম-ঠিকানা জানতে চান। তখনই দুই পুলিশকর্মীকে গালিগালাজ করেন শুভঙ্কর এবং নারায়ণ। তাঁদের ভদ্র ভাবে কথা বলতে বললে তাঁরা বলরামবাবু ও পার্থবাবুর উপরে চড়াও হন। মারের চোটে বলরামবাবুর চশমার কাচ ভেঙে বাঁ চোখে ঢুকে যায় বলে পুলিশ সূত্রের খবর। বলরামবাবুর চোখের আঘাত গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
|
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইডেন ওয়ার্ডের দোতলার কার্নিস থেকে ঝাঁপ দিলেন এক রোগিণী। শনিবার সন্ধ্যার ঘটনা। পুলিশ এবং এক যুবকের তৎপরতায় তাঁকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে মহিলা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। বছর পঁচিশের শামিনা খাতুন ১৭ মে হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৮ মে তাঁর একটি কন্যা হয়। প্রসবের পর থেকেই তিনি অবসাদে ভুগছিলেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। |