মাজরা পোকার আক্রমণে বোরো ধান নষ্ট হওয়ায় হুগলির এক ভাগচাষি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও তিনি যে এলাকার বাসিন্দা, সেই পাণ্ডুয়ায় মাজরা পোকা তেমন ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে বলে জেলা কৃষি দফতর মানতে চায়নি।
|
নিজস্ব চিত্র। |
মৃত তপন মুন্ডার (৪২) বাড়ি পাণ্ডুয়ার গোড়াগোড়ি গ্রামে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি নিজের বাড়িতেই তিনি কীটনাশক খান বলে অভিযোগ। বর্ধমানের মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও পরের দিন বিকেলে তিনি মারা যান। শনিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে দেহের ময়না-তদন্ত করানো হয়েছে। মেমারি থানা সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, সাংসারিক অশান্তির জেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছে বলে খবর।
মৃতের ছেলে অরুণ মুণ্ডার দাবি, তপনবাবু চুক্তিতে প্রায় ৮ বিঘে জমি নিয়ে বোরো চাষ করেছিলেন। মাজরা পোকার আক্রমণে পুরো ধান নষ্ট হয়ে যায়। প্রচুর কীটনাশক ছড়িয়েও ফসল বাঁচানো যায়নি। তপনবাবুর দাদা স্বপন মুন্ডার অভিযোগ, “ভাই যে চুক্তিতে জমি নিয়েছিল তার শর্ত ছিল, ফসল হোক বা না হোক, জমির মালিকদের নির্দিষ্ট পরিমাণ ধান দিতে হবে। কিন্তু ধান হয়নি। ওরা টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল।” তাঁর দাবি, স্থানীয় একটি কৃষি সমবায় সমিতির কাছ থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন তপনবাবু। সব মিলিয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তিনি আত্মঘাতী হন।
পান্ডুয়া ব্লকের সহকারী কৃষি অধিকর্তা বুলবুল মণ্ডলের বক্তব্য, “পোকার আক্রমণে এক জনের ধান না হওয়ায় তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে শুনেছি। কিন্তু ওই এলাকায় মাজরা পোকার বড় উৎপাতের খবর পাইনি।” তপনবাবুর প্রতিবেশী সুকুর আলি অবশ্য বলেন, “আমাদের গ্রামে বেশ কয়েক জনের জমিতেই মাজরা পোকা হানা দিয়েছে। ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও কৃষি আধিকারিকেরা আসেননি।” সহকারী কৃষি অধিকর্তা বলেন, “সোমবার আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে গোটা বিষয়টি দেখব।”
|
এক তরুণীর গলার নলি কাটা দেহ মিলল বর্ধমান শহরের তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি হোটেলের ঘরে। মাত্র কয়েক দিন আগেই ওই হোটেলেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত এক মহিলার দেহ মিলেছিল। পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ হোটেলের খাতায় নন্দন পাল ও পারমিতা পাল (৩২) নাম লিখে ও মেমারির ঠিকান দিয়ে দু’জন হোটেলে ঘর নেন। দুপুর ৩টে নাগাদ তরুণীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার আগেই অবশ্য তাঁর পুরুষ সঙ্গী হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান। হোটেলের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিসিটিভি-র ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |