|
|
|
|
|
জীবাণুগণের প্রবেশ নিষেধ |
ভেজা ত্বকে ফাংগাস, জীবাণু বেশি বাসা বাঁধে। র্যাশ, ঘামাচি বের হয়। নিজেকে ও নিজের
চার পাশ, জিনিসপত্র, ধুয়ে, শুকিয়ে সাফা করে রাখুন। ব্যস, ওদের আসার দরজাও বন্ধ। |
গরমকালে আমাদের ত্বক ভীষণ হয়ে যায়। বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ে, ঘাম হয়। ভিজে ত্বকে র্যাশ, জ্বলুনি, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকজনিত সংক্রমণও বেশি হয়। তবে এ সব সমস্যা হওয়ার আগেই ঠেকিয়ে রাখার অনেক উপায় আছে।
• ত্বক ও চুল পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন। নিয়মিত শ্যাম্পু করুন। চুল পুরো শুকিয়ে বাইরে বের হন।
• স্নানের আগে অল্প করে ভাল তেল দিয়ে ত্বক মালিশ করা খুব জরুরি। এতে মরা ত্বক ঝরে যাবে। সুফল পেতে মাঝেমধ্যে স্নানের জলে ভেষজ বা ওষধি মিশিয়ে নিন। পুদিনা, গোলাপজল, ডেটল বা সুথল ইত্যাদি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক, মধু, দুধ বা লেবু মিশিয়ে স্নান করুন। স্নানের জলে এসেনশিয়াল অয়েল মেশালে আগে ত্বকের একটি অংশে লাগিয়ে প্যাচ টেস্ট করে নেবেন।
• স্নানের সময় ভাল করে, কিন্তু আলতো ভাবে লুফা ব্যবহার করুন। এ ভাবে স্ক্রাব করলে ত্বক পরিষ্কার ঝকঝকে হবে, কোনও ছত্রাক ইত্যাদি থাকলে নির্মূল হয়ে যাবে। স্নানের সময় শাওয়ার শু্য ব্যবহার করলে আঙুলের ফাঁকে জল বসবে না।
• স্নানের পর ভিজে অবস্থায় বেশি ক্ষণ থাকবেন না। পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে শরীর এবং নখের কোণগুলি একেবারে শুকনো করে মুছে নিন।
• বাথটাব, স্নানঘরের প্রতিটি কোনা, বাথম্যাট যেন ঝকঝকে তকতকে থাকে। ময়লা মাটি থেকে ত্বকে খুব সহজে সংক্রমণ ছড়ায়।
• গরমকালে র্যাশ বা ঘামাচি হলে, অনেকেই মেডিকেটেড পাউডার ব্যবহার করেন। কিছু ক্ষণ পর শুকনো পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে পাউডারটা মুছে ফেলে কোনও বডি লোশন লাগাতে পারেন। এমন লোশন লাগান যা ত্বক শুষে নেবে, অথচ তার পরেও ত্বক নরম থাকবে। ত্বকে বেশি ক্ষণ ক্রিম বা পাউডারের পরত থাকলে রোমকূপের মুখ বুজে যায়। ত্বকে জল লেগে থাকলে পাউডার দেওয়া উচিত না। তাতে পাউডার কাদা কাদা হয়ে যায়। এর থেকে ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। |
|
• অন্যের তোয়ালে, চিরুনি কখনওই ব্যবহার করবেন না। নিজেকে যেমন পরিষ্কার রাখেন, ঠিক তেমনই নিয়ম
করে নিজের প্রতিদিনের ব্যবহার্য সামগ্রীগুলোও পরিষ্কার রাখতে হবে। গরম জলে তোয়ালে, চিরুনি, লুফা ইত্যাদি ধুয়ে নিন।
• টেক্সচারড লঁজারির বদলে এই সময়টা সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করুন। এতে ত্বকে হাওয়া বাতাস লাগবে। প্রত্যেক দিন কাচা ও পরিষ্কার অন্তর্বাস পরা অত্যাবশ্যক।
• সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার পর ভিজে পোশাক তক্ষুণি ছেড়ে শাওয়ারের ‘রানিং ওয়াটার’-এ ভাল করে স্নান করে নিন। জিমে অনুশীলন করার পরও ঘর্মাক্ত জামা সঙ্গে সঙ্গে ছেড়ে ফেলতে হবে।
• চেহারাটা মেদবিহীন রাখতে চেষ্টা করুন। মেদের কারণে শরীরে ভাঁজ পড়লে সেখানে র্যাশ, লালচে ভাব, জ্বলুনি বেশি হয়।
• আঁটোসাঁটো জামা পরাও উচিত নয়। শরীরের যে অংশে জামা আঁকড়ে থাকে, সেখানে ঘষা লেগে লেগে ত্বকের ছাল উঠে, সংক্রমণ হয়।
• পায়ের নখ ছোট রাখুন। এতে অনেক রোগজীবাণুর থেকে রেহাই পাবেন।
• লোমওয়ালা প্রাণীদের থেকে মানুষের ত্বকে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হতে পারে। বাড়িতে পোষ্য থাকলে নিয়মিত ওদের লোম ছেঁটে দিন। প্রতি দিন আঁচড়ে মেডিকেটেড পাউডার লাগান। ও যেখানে বার বার চুলকাচ্ছে, সেখানে লালচে দানা দানা বেরিয়েছে কি না খেয়াল রাখুন। তেমন কিছু দেখলে নোটিক্স শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করান। |
|
|
|
|
|