শিক্ষা, শিল্প-বাণিজ্য, পর্যটন সব ক্ষেত্রেই এ রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী রাশিয়া। শুক্রবার কলকাতায় এসে এমনই বার্তা দিলেন রুশ কনসাল জেনারেল ইরিনা বাস্কিরোভা। এ দিন মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহ প্রকাশ করেন। দেশের পর্যটন মানচিত্রে রাজ্যের নাম সেভাবে না দেখে কিছুটা বিস্মিতও হন তিনি। রিনা মহাকরণে বলেন, “রাশিয়ার বিভিন্ন শহর ও কলকাতার মধ্যে সমন্বয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। গোটা রাজ্যের সঙ্গেই রাশিয়ার বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ তৈরি হতে পারে।” তাঁর কথায়, “শিল্প-বাণিজ্য, শিক্ষা, কয়লা, ইস্পাত, তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, শহরের পরিকাঠামো সব ক্ষেত্রেই সম্পর্ক দৃঢ় করার সম্ভাবনা রয়েছে। রাশিয়া কয়লা ও ইস্পাত উৎপাদনে যথেষ্ট এগিয়ে।” ইরিনা জানান, এটিই তাঁর প্রথম কলকাতা সফর। বলেন, “সম্পর্ক গড়ে তোলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হল পর্যটন। রাশিয়া থেকে অনেক মানুষ এ দেশে বেড়াতে আসেন। শুনেছি তাঁরা গোয়ায় যান। আমিও গোয়া, হিমালয়ে গিয়েছি। কিন্তু এ রাজ্যের কথা তো শুনি না। এখানে দার্জিলিং, সুন্দরবন, সমুদ্র আছে। এ রাজ্যের একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে।”
দার্জিলিঙে যে ভাল চা হয়, ইরিনা তা জানেন। রুশ নাগরিকেরা চায়ের খুব ভক্ত, কথা প্রসঙ্গে তা-ও জানান তিনি। কলকাতার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে রাশিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ তৈরির সুযোগ রয়েছে বলে ইরিনা মনে করেন। তিনি জানান, মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পরে বলেন, “পর্যটন, শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি নিয়ে ওঁরা কাজ করতে চান। বিভিন্ন বিষয়ে ওঁরা নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠাবেন বলেও শুনেছি। গোটা বিশ্বের কাছ থেকেই আমাদের সাহায্য দরকার।”
|
ভিয়েতনামের দূত কলকাতায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্য সরকারি সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ সেরে গেলেন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন থানতেন। আগামী বছর ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নগুয়েন তান দুনের ভারতে আসার কথা। |