প্রচণ্ড গরমের জন্য সরকারি অফিসগুলি সকালে খোলার আর্জি জানিয়ে শুক্রবার মুখ্যসচিবকে চিঠি দিলেন বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার জেলাশাসক। এ দিন পুরুলিয়ার তাপমাত্রা (৪৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) মরসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পোঁছয়। বাতাসে গরম হাওয়ার আঁচ কিছুটা কমলেও শুক্রবার আপেক্ষিক আদ্রতার বাড়বাড়ন্তে (৭৭ শতাংশ) বাসিন্দাদের গলদঘর্ম অবস্থা হয়। বাঁকুড়ায় অবশ্য গত কয়েকদিনের তুলনায় এ দিন তাপমাত্রা কিছুটা নেমেছে (৪০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।
|
গত বছর পুরুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪ মে, ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা অশ্বিনীকুমার কুণ্ডু বলেন, “এ দিনে আদ্রতা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩২ শতাংশ বেশি ছিল।” কার্যত গত রবিবার থেকে পুরুলিয়ায় চড়তে শুরু করেছে পারদ। এই অবস্থায় বান্দোয়ান থেকে ঝালদা বা নিতুড়িয়া থেকে বাঘমুণ্ডির বাসিন্দারা আকাশের দিকে চাতকের দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছেন। পুরুলিয়ায় বিকেলে মেঘ ঘনিয়ে এলেও বৃষ্টি নামেনি। একই অবস্থা বাঁকুড়া জেলাতেও। বেলা বাড়তেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে পথঘাট। যাঁরা পথে নামছেন মাথা-মুখ গামছা বা তোয়ালেতে ঢাকছেন। বাঁকুড়ার উপকৃষি অধিকর্তা অনন্তনারায়ণ হাজরা বলেন, “জলস্তর নেমে যাওয়ায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। শীঘ্র বৃষ্টি না নামলে সঙ্কট তৈরি হবে।” বাঁকুড়া পুরসভা জানিয়েছে, জলস্তর নেমে যাওয়ায় নদীর আরও গভীরে গর্ত করে জল তুলতে হচ্ছে। যদিও তাতে বাসিন্দাদের জলের চাহিদা মিটছে না। |