|
|
|
|
|
|
|
নানা রকম... |
|
অসাধারণ দক্ষতায় |
আশিস চট্টোপাধ্যায় |
|
ছবি: দেবাশিস রায় |
ভারতীয় ধ্রুপদ সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম অনুরাগী ও পৃষ্ঠপোষক মন্মথনাথ ঘোষ স্মরণে ও শ্রদ্ধায় ভবানীপুর স্বজনের উদ্যোগে মহাজাতি সদনে সরোদে আমান আলি খান ও তবলায় শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি সঙ্গীতাসরের আয়োজন হয়। সেই সন্ধ্যায় আমানের সরোদে প্রথম ধ্বনিত হয় পুরিয়া কল্যাণ। রাগ বিন্যস্ত হল আলাপ ও ঝাঁপতালে। আলাপে কল্যাণ ও পুরিয়ার প্রত্যেকটি স্থান সুচিহ্নিত হচ্ছিল বার বার। আমানের টোনাল কোয়ালিটি এবং ডান ও বাম হাতের তৈয়ারির উদাহরণ প্রতিক্ষণেই তাঁর গুরু ও পিতা আমজাদ আলি খান সাহেবকে মনে করে দিচ্ছিল। ঝাঁপতালে তানের প্রকার ও লয়কারি নিয়ে সঠিক চিন্তাভাবনা ও অনায়াস বিচরণ অবাক করছিল। অসাধারণ দক্ষতায় বাজানো তিন তালের গত ও ঝালা দিয়ে পুরিয়া কল্যণের সমাপ্তি হয়। আমানের দ্বিতীয় উপহার ঝিঁঝিট। বন্দিশটি সাড়ে নয় মাত্রায় নিবদ্ধ। অসাধারণ পরিবেশনা। এ রকম একটি দুরূহ তালে শিল্পী ও তবলিয়া সুন্দর সমঝোতার সঙ্গে একে অপরকে অনুপ্রাণিত করছিলেন। বাস্তবিক এই পর্বে দু’জনের আদান-প্রদান অতুলনীয়। দ্রুত ত্রিতাল ও ঝালা দিয়ে ঝিঁঝিট শেষ। আমানের শেষ নিবেদন রাগ সরস্বতী। একতালে গত। সরস্বতী রাগের। মপধন-এর অসাধারণ স্বরসংযোজনা এবং ঋষভে ফেরার জায়গাগুলো মুহূর্তে আবহ রচনা করে দিল। এই রাগের গত বিস্তার ও তালের সঙ্গে বিভিন্ন লয়কারি ও তেহাই রচনায় আমান ও শুভঙ্করের অসাধারণ আদান-প্রদানের উদাহরণ মিলল। শ্রোতারা মুগ্ধ।
|
তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা |
সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে সুরমল্লার আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্পী ছিলেন নীলা মজুমদার ও শ্রীকান্ত আচার্য। অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত, দ্বিজেন্দ্রলালের গান গাইলেন নীলা মজুমদার। অবশ্য শুরু করেছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে ‘ভালবাসি ভালবাসি’। দ্বিতীয় গানটি রসোত্তীর্ণ হতে পারেনি শিল্পীর কণ্ঠস্বরে কিছু অসুবিধা থাকায়। তৃতীয় গানটি থেকে স্বাভাবিক স্বরেই গাইলেন। রজনীকান্তের ‘আমায় সকল’, অতুলপ্রসাদের ‘এসো দু’জনে’, ‘কে তুমি’ গানগুলি। দ্বিজেন্দ্রলালের ‘আয় রে বসন্ত’ (চন্দ্রগুপ্ত), ‘আমরা মলয় বাতাসে’ (ভীষ্ম) গানগুলি যেন আজও মনকে উদ্বেলিত করে। সব শেষে ‘তোমারেই ভালবেসেছি’ (পরপারে) মনে থাকবে বহু দিন।
শ্রীকান্ত আচার্য শুরু করলেন রজনীকান্তের গান দিয়ে ‘তব উৎসবময়ী’। এর পরে রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘গ্রাম ছাড়া’ ও ‘তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা’। রবীন্দ্রসঙ্গীতের পর চলে গেলেন তিনি আধুনিক গানে। ‘এখনও সময় আছে’, ‘মেঘের দেশে’, ‘এসেছে ফিরে সেই দিন’। পরে ভাল লাগল তাঁর কণ্ঠে আবার রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘মনে কী দ্বিধা’। |
|
|
|
|
|