গোঘাটের গ্রামে মারধরে মাথা ফাটল পঞ্চায়েত কর্মীর |
গ্রামীণ কর্ম সুনিশ্চিৎ প্রকল্পে পুকুর কাটার মাটি যত্রতত্র ফেলার প্রতিবাদ করায় কোদালের হাতল দিয়ে এক পঞ্চায়েত কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে গোঘাটের রঘুবাটি পঞ্চায়েতের রাজগ্রামে। প্রহৃত পঞ্চায়েত কর্মীর নাম দীপক মালিক। তাঁর বাড়ি ওই গ্রামেই। বিশ্বনাথ মালিক নামে এক শ্রমিকের (জবকার্ড হোল্ডার) বিরুদ্ধে গোঘাট ১-এর বিডিও জয়ন্ত মণ্ডলের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন দীপকবাবু। বিডিও বলেন, “ওই পঞ্চায়েত কর্মীর অভিযোগপত্রটি থানায় পাঠিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজগ্রামে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে একটি পুকুর পুনর্বার খননের কাজ চলছে। পুকুরের মাটি যেখানে-সেখানে ফেলছিলেন শ্রমিকরা। দীপকবাবুর জমিতেও মাটি ফেলা হয়। তিনি তাতে বাধা দেন। দীপকবাবু বলেন, “আমি ওঁদের বলি মাটি ফেলায় আমার জায়গা নষ্ট হচ্ছে। তা ছাড়া, সরকারি প্রকল্পের মাটি ব্যক্তিগত জায়গায় ফেলা আইনবিরুদ্ধ। এতে পঞ্চায়েতের সঙ্গে চুক্তি করতে হয়। আমি একথা বলায়, উন্নয়নে বাঁধা দিচ্ছি অভিযোগ তুলে বিশ্বনাথ আমাকে প্রথমে চড় মারে। পরে কোদালের বাঁট দিয়ে মাথায় মারে। বিকেলে বিশ্বনাথ লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে চড়াও হয়। অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে বাড়ির লোকজনকে খুন করা হবে বলে ওরা শাসিয়ে যায়।” আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দীপকের মাথায় সেলাই পড়ে। বিশ্বনাথ মালিকের অবশ্য দাবি, “তর্কবিতর্ক হয়েছে। তবে, মারিনি। হুমকিও দিইনি।”
|
চশমার বাক্সে দাম লিখতে হবে: কোর্ট |
চশমার বাক্সে সর্বোচ্চ মূল্য (ম্যাক্সিমাম রিটেল প্রাইস) লিখে দেওয়ার নির্দেশ দিল হুগলি জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। ওই আদালতের বিচারক নারায়ণ চক্রবর্তী শুক্রবার ওই রায় দেন। জেলার সমস্ত চশমার দোকানের ক্ষেত্রে ওই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে চুঁচুড়ার বাসিন্দা শুভেন্দু মজুমদার ইমামবাড়া হাসপাতালের কাছে একটি দোকান থেকে ২টি চশমা কেনেন। ওই চশমার বাক্সে সর্বোচ্চ মূল্য লেখা ছিল না। বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দুবাবু ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ জানান। পরে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন। তাঁর বক্তব্য, মূল্য লেখা না থাকায় ক্রেতাদের থেকে যেমন খুশি দাম নেওয়া হয়। ক্রেতারা প্রতারিত হন। এ দিন মামলার রায়ে বিচারক সংশ্লিষ্ট দোকানদারকে নির্দেশ দেন, ৫ হাজার টাকা শুভেন্দুবাবুকে জরিমানা হিসেবে দিতে হবে। এর মধ্যে ১ হাজার টাকা মামলা চালানোর খরচ। বাকি ৪ হাজার টাকা মানসিক হেনস্থার জন্য।
|
তীব্র গরমের কারণে শুক্রবার থেকে যৌথ ভাবে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিল আরামবাগ মহকুমা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশন এবং ল’ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশন। আগামী বুধবার থেকে এই কর্মবিরতি চলবে জানিয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অরূপ হাজরা বলেন, “আবহাওয়ার পরিবর্তন না হলে কর্মবিরতির দিন বাড়ানো হবে। তীব্র গরমে বিচারপ্রার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আইনজীবী এবং ল’ক্লার্করাও কাজ করতে পারছেন না।”
|
লরির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু গোঘাটে |
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক মোটরবাইক আরোহীর। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটে গোঘাটের কামারপুকুরে। মৃতের নাম হাসমত মল্লিক (২৭)। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর থানার ধুলাডাঙ্গায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের দিক থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময়ে লরিটির সঙ্গে মোটর বাইকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। তাঁরাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসমতকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই পরে মারা যান ওই যুবক। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
মুম্বই রোডে গাড়ি ছিনতাইবাজরা যে এখনও সক্রিয়, শুক্রবার ফের তার প্রমাণ মিলল। তমলুক থেকে ছিনতাই হওয়া গাড়ির ব্যাটারি ভর্তি একটি ট্রাক এ দিন আটক হল হাওড়ার ইছাপুর থেকে। পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া ব্যাটারির দাম প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) অখিলেশ চর্তুবেদী জানান, দাশনগর ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ বিভিন্ন গাড়ির কাগজ পরীক্ষা করার সময়ে একটি ট্রাকের চালক ট্রাক ফেলে পালানোয় তাদের সন্দেহ হয়। ট্রাকটিতে প্রচুর নতুন ব্যাটারি মেলে। জানা যায়, ওই গাড়িটি বৃহস্পতিবার তমলুক থেকে ছিনতাই করে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।
|
শুক্রবার সকালে শ্রীরামপুরের ধর্মতলা এলাকা থেকে কয়েকটি কৌটোবোমা উদ্ধার হয়েছে। |