উত্তরবঙ্গে ভেষজ চাষে উৎসাহ দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য গবেষণা কেন্দ্র চালু হল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে ওই ‘ভেষজ উদ্ভিদ গবেষণা’ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন উপাচার্য সমীরকুমার দাস। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা প্রকল্পে, উদ্যান পালন দফতরের বরাদ্দে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। ছিলেন শিলিগুড়ির উদ্যান পালন বিভাগের আধিকারিক প্রণব সাহা। উত্তরবঙ্গে সর্পগন্ধা, অশ্বগন্ধার মতো ভেষজ চাষে চাষিদের উৎসাহীত করার কাজও ইতিমধ্যে তাঁরা শুরু করেছেন। উপাচার্য বলেন, “নতুন এই কেন্দ্রে ভেষজ গবেষণার কাজ সমৃদ্ধ হবে বলে আশাবাদী। বর্তমান সরকার উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এমনকী বিভিন্ন বেসরকারি উদ্যোগও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ সে ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে।” প্রকল্পের মুখ্য গবেষক অভয়াপ্রসাদ দাস জানান, বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণার জন্য এই কেন্দ্র চালু করা হল। ভেষজ চাষে কৃষকদের উৎসাহ দিতে এই কেন্দ্র কাজ করবে। তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। ভেষজ চাষে সরকারি ভর্তুকিও মেলে। কোথায় কী ভাবে তা চাষিরা পাবেন বিস্তারিত এই কেন্দ্রে তাঁরা জানতে পারবেন। তাঁর কথায়, “এক সময় শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে সুকনা এলাকায় প্রচুর সর্পগন্ধা মিলত। এখন পাওয়া যায় নামমাত্র। সম্প্রতি সর্পগন্ধা এবং অশ্বগন্ধা চাষে উৎসাহ দেওয়া হয়। মহকুমার ফাঁসিদেওয়া এবং খড়িবাড়িতে অনেক কৃষক ওই চাষ করছেন। বর্তমানে তা বন দফতরের তরফে কিনে নেওয়া হচ্ছে। তাঁরাই বিপণনের ব্যবস্থা করছেন।” বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেষজ উদ্ভিদ গবেষণা কেন্দ্র এবং চাষের প্রসারে দফতর থেকে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা গবেষণা কেন্দ্রে তৈরিতে খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ কেনা হয়েছে। কেন্দ্রের ৩ টি ঘরের মধ্যে একটি প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার কাজের জন্য। একটি যন্ত্রাংশ রাখার। অপরটি তথ্য সংরক্ষণের কাজে এবং অফিস হিসাবে ব্যবহার করা হবে। উদ্যানপালন দফতরের শিলিগুড়ির দায়িত্বে থাকা তথা ভেষজ বিভাগের প্রধান আধিকারিক প্রণববাবু বলেন, “ওই বরাদ্দ ছাড়া বাড়তি ৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে ভেষজ উদ্ভিদের চারা তৈরি এবং তা চাষিদের মধ্যে নিখরচায় বিলি করতে। চুক্তি মতো বছরে প্রায় ৭০ হাজার চারা বিলি করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ।” |